প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪১ ।। এপ্রিল ২০২৫

মাটির ঘরের ঐ একটাই দোষ।কারণে অকারণে একটু ফুরসত পেলেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ড বানিয়ে ফেলে রাজ্যের যত ইঁদুর।সভা সমিতির নাম করে ওরা ঠিক করে ঠিক এর পরেই কে ঠাকুমার তোষক,বাবার বই ,কাকিমার শাড়ি,দাদাবাবুর রুমাল আর বৌদির লুকিয়ে রাখা কাঁচাবাদামের কৌটো উদ্ধার করবে।
সব ঠিকঠাক থাকলে কলকল্লোলও বাদ যাবে না।মুখ দিয়ে নয়, চোখ দিয়ে নয় স্রেফ দাঁতে টুংএ দেখবে খবর গুলো সত্যিই বাসী কিনা।ওদিকে বৃন্দাবনীমাসী rat ফো বা জাঁতকলের দ্বারা ইঁদুর নিধনের ঘোর বিরোধী। ওঁর জীবে প্রেমে দেখে শুঁটকি বেড়ালটারও জিভে জল আসে ! নোলা লকলক করে ।পুষিটা ইঁদুর ধরে শুধু খেলায় না।বৃন্দাবনী মাসির চোখের সামনে কড়মড় করে যখন ইঁদুরাসুরের মাথা খায়।বাল্য বিধবা মাসিকে চোখের সামনে ইঁদুর ভক্ষণের আনন্দে উতলা হতে দেখে আমি বিরক্ত হয়ে বলি,কি গো বৃন্দাবনী মাসি এই কি তোমার জীবে প্রেমে নমুনা?একমুঠো ভাত না দিয়েও দিব্যি বুঁচকো কুমড়োর মতো গতর করালে রোগাপুষিটার ---এ কথা বলতে গিয়ে রাগে আমার তেলোয় কথা আটকে যায় ।
মাসি আমার মাথায় ফু দিয়ে বলে বালাই ষাট রে বাপ বলাই, জীভে প্রেমটাকেও তুই মানতে পারিল না চিরটাকাল কঙ্কালকুলের প্রেসিডেন্ট হয়েই রইলি।
_____________________________________________
বিশ্বনাথ পাল
সহ শিক্ষক
রামগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়
পূর্ব বর্ধমান ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন