Featured Post

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

ছবি
  প্রচ্ছদ-চিত্রঃ সুনীত নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সম্পাদকীয় কেমন আছো ছোট্ট বন্ধুরা। গরমের ছুটি তো শেষ হয়ে এল। স্কুল খুলে যাচ্ছে। কিন্তু গরমের দাবদাহ কিন্তু এতটুকু কমেনি। এই গরমে  খুবই সাবধানে নিয়ম মেনে চলতে হবে তোমাদের। এখন তো আম, জাম কাঁঠালের সময়। এখন এইসব মৌসুমী ফল খেতে হবে। তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে। শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকবে। মন সুস্থ থাকলে পড়াশুনো ভালো হবে।           আশাকরি এতদিন বাড়িতে থেকেই মন দিয়ে পড়াশুনো করেছ। সঙ্গে অনলাইন কিশলয়ের পাতায় চোখও রেখেছ। পড়াশুনোর পাশাপাশি গল্প লেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদির শখও মনের মধ্যে লালন পালন করতে হবে তোমাদের। পড়াশুনোর চাপে সব ছেড়ে দিলেও চলবে না কিন্তু। স্কুলের পড়া, বাড়ির পড়ার পাশাপাশি গল্প- কবিতা লেখা, প্রবন্ধ লেখা, ছবি আঁকা ইত্যাদি চালিয়ে যাও। তোমাদের প্রতিভার বিকাশ হোক। তোমাদের সৃজনীসত্ত্বার প্রকাশ হোক তোমাদের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। আর সাথে সাথে তোমার সেই সৃষ্টি অনলাইন কিশলয়ে প্রকাশের জন্য পাঠিয়ে দাও। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাকি বন্ধুরাও জানুক তোমার সৃষ্টি সম্পর্কে। আর কী? সবাই সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, আনন্দে থাকো।   শুভকামনাসহ-- প্রিয়ব্রত দত্ত ও কার্

জ্ঞানবিজ্ঞানের খবর ।। মহাকাশে ময়লা ।। রমলা মুখার্জী

[ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]

 

মহাকাশে ময়লা

ডঃ রমলা মুখার্জী


মানুষ পৃথিবীকে দূষিত তো প্রতিনিয়তই করে চলেছে মানবসভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে, কিন্তু ১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর স্পুটনিক উৎক্ষেপণের পর থেকে যেমনি মহাকাশযুগ শুরু হয়ে গেল অমনি শুরু হয়ে গেল মহাকাশেরও দূষণ। প্রতিবারই যখন মহাকাশে যান পাঠানো বা স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে তখনই মহাকাশে কিছু না কিছু বস্তু থেকে যাওয়ার ফলে ক্রমশই সেখানে জমে উঠেছে পরিত্যক্ত আবর্জনার স্তূপ। বায়ুমণ্ডলের ক্ষতিকর গ্যাস ও ভাসমান কণাকে মেঘ ও বৃষ্টি বেশ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে, দূষকগুলি নিয়ে বৃষ্টি মাটিতে পড়ে ফলে বায়ুমণ্ডল পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু মহাকাশের জমা জঞ্জাল তো বৃষ্টির ধারা দিয়ে নামানো যাবে না, তাই মহাকাশের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার আমাদের কাছে এক সমাধানহীন সমস্যা। 
      মহাকাশের কৃত্রিম আবর্জনার মধ্যে পাঁচ শতাংশ হল সক্রিয় উপগ্রহ এবং ষাট শতাংশের বেশি হল ১০সেমি অধিক মাপের নানা আবর্জনা। ভরবেগ ধর্মটির জন্য মহাকাশে আধ কিমি ব্যাসের একটি ধাতুকণা ঘণ্টায় যদি ৩০,০০০ কিমি বেগে ছোটে তো সেটি মহাকাশচারীর স্পেস সুট ভেদ করে প্রাণহানিও ঘটাতে পারে অনায়াসেই।
     মহাকাশে জঞ্জাল সৃষ্টির জন্যে দায়ী প্রধাণত উন্নত দেশগুলি। এই দেশগুলি ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠিয়েছে। একসময় তো মহাকাশ মহাশূন্যই ছিল কিন্তু এখন সেখানে পাঁচ লাখের বেশি যন্ত্রপাতির টুকরো ঘুরছে প্রচণ্ডগতিতে। এই আবর্জনাগুলি বর্তমানে উৎক্ষিপ্ত স্যাটেলাইটগুলির খুবই মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। সচল স্যাটেলাইটগুলি বিকল হয়ে পড়ছে, একটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে অপর স্যাটালাইটের ধাক্কা লেগে যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিকরা তাই বাতিল স্যাটেলাইটগুলিকে আবার কাজে লাগানো যায় কিনা তার জন্য গবেষণা করছেন এবং কিভাবে একেবারেই অকেজোগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছেন। 
    জার্মান বিজ্ঞানী আডলফ গিনেস একটি নতুন ধরণের লেজারের ব্যবস্থা করার জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা লেজার কামান নিয়ে কাজ করছেন। বিজ্ঞানী গিনসের মতে মহাকাশে যে ছোট ছোট ধাতব টুকরো ঘোরে তা একমাত্র লেজার দিয়েই ধ্বংস করা সম্ভব। কিন্তু এই লেজার তৈরী বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিজ্ঞানীরা তাই খুবই উদ্বিগ্ন কারণ উপগ্রহের এইসব ধ্বংসাবশেষ আবার পৃথিবীতে ফিরেও আসতে পারে, আবার অচল উপগ্রহ বা যন্ত্রপাতি অংশের সঙ্গে যদি সচল উপগ্রহের ধাক্কা লাগে তো সচল উপগ্রহটি তৎক্ষণাৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুটি উপগ্রহের মধ্যে। ১৯৫৭ সাল থেকে এখন অবধি ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হলেও মাত্র এক হাজার এখন সচল আছে এবং গবেষণা, সামরিক, টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
     সচল উপগ্রহগুলিতে নিরাপদে রাখতে অন্যান্য দেশগুলিও সচেষ্ট হচ্ছেন এবং মহাকাশে ভেসে বেড়ানো অকেজো বস্তুগুলির ওপর নজরদারি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু কাজটি খুবই কঠিন এবং এই মুহূর্তে তা কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা আশা রাখবো অদূর ভবিষ্যতে হয় তো মহাকাশকে কিছুটা ময়লামুক্ত করতে সক্ষম হবোআমরা। তবে ভবিষ্যতে আমাদের মহাকাশে যে খুব সাবধানে পদক্ষেপ রাখতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  
_____________________________________________




 
 
 
 
 
 
 
 
 
ডঃ রমলা মুখার্জী
বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী,
জেলা হুগলী, পিন 712134

মন্তব্যসমূহ

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

ছোটোদের আঁকা ।। মনামি মন্ডল, রায়সী চক্রবর্তী ও নিশান্তিকা নস্কর।

ছড়া ।। একটা খুশি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২

ধারাবাহিক উপন্যাস ।। তিতলির বিশ্বভ্রমণ ।। ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ছড়া ।। ও জোনাকি ।। কান্তিলাল দাস

দুটি ছড়া ।। গোবিন্দ মোদক

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

কবিতা || মর্যাদা || অবশেষ দাস

ছোটোদের আঁকা ।। মনামি মন্ডল, রায়সী চক্রবর্তী ও নিশান্তিকা নস্কর।

নিবন্ধ ।। কোনারক মন্দিরের ভয়াবহতা ।। সুজয় সাহা

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

ছোটর কলম ।। বইপড়া ।। উন্নীত কর্মকার

গল্প ।। রবীন্দ্রজয়ন্তী ।। কুহেলী ব্যানার্জী

ছড়া ।। একটা খুশি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

অণুগল্প ।। পুরস্কার ।। চন্দন দাশগুপ্ত

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 29th Issue: February

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 24th issue: September 2023

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 25th issue: October 2023

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 30th issue : March 2024

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 23rd issue: August 2023

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 26th issue: November 2023

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২