Featured Post

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

ছবি
  সম্পাদকীয় আশা করি ভালো আছো ছোট্ট বন্ধুরা।কন কনে শীতের আবেশ ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে ঋতুরাজের স্পর্শে প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে উঠেছে।কচি পাতা আর রঙিন ফুলের সৌরভে মন কেমন করা পরিবেশ, তাই না? শিমুল পলাশে সব পথ রাঙিয়ে দিয়েছে যেন কেউ। দু-চোখ জুড়িয়ে যায়। সামনেই দোলযাত্রা, রঙের উৎসব। প্রকৃতির সাথে সাথে তোমরাও মেতে উঠবে সেই উৎসবে।খুব মজা করো, তবে সাবধানে, দেখো রং যেন কারোর চোখে না লাগে। যারা এ বছর মাধ্যমিক দিলে তাদের তো বেশ মজা। অনেকটা সময় পাচ্ছো ঘুরে বেড়ানোর , আনন্দ করার। এই অখণ্ড অবসরে আনন্দ উৎসবের মাঝেও একটু গল্প উপন্যাস পড়া, লেখালিখি,আঁকার জন্যও একটু সময় দিও। ভালো লাগবে।বসন্ত ঋতু সৃষ্টির ঋতু। নিজেদের সৃজনশীলতা যাতে ধীরে ধীরে বিকাশ হয় তার জন্য তো তোমাদের কিশলয়ের পাতা রয়েছে। তোমাদের ছোট ছোট প্রয়াস গুলোকে মেলে ধরাই তো এর কাজ। তাই দ্বিধা না করে ভালো মন্দ যাই লেখো,  আঁকো না কেন পাঠিয়ে দাও আমাদের দপ্তরে। তোমাদের কচি হাতের ছোঁয়ায় ভরে উঠুক তোমাদের প্ৰিয় কিশলয়। সবাই ভালো থেকো, সুস্থ থেকো আনন্দে থেকো।     শুভকামনাসহ-- প্রিয়ব্রত দত্ত ও কার্তিক চন্দ্র পাল। কার্যনির্বাহী যুগ্ম...

জ্ঞানবিজ্ঞানের খবর ।। মহাকাশে ময়লা ।। রমলা মুখার্জী

[ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]

 

মহাকাশে ময়লা

ডঃ রমলা মুখার্জী


মানুষ পৃথিবীকে দূষিত তো প্রতিনিয়তই করে চলেছে মানবসভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে, কিন্তু ১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর স্পুটনিক উৎক্ষেপণের পর থেকে যেমনি মহাকাশযুগ শুরু হয়ে গেল অমনি শুরু হয়ে গেল মহাকাশেরও দূষণ। প্রতিবারই যখন মহাকাশে যান পাঠানো বা স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে তখনই মহাকাশে কিছু না কিছু বস্তু থেকে যাওয়ার ফলে ক্রমশই সেখানে জমে উঠেছে পরিত্যক্ত আবর্জনার স্তূপ। বায়ুমণ্ডলের ক্ষতিকর গ্যাস ও ভাসমান কণাকে মেঘ ও বৃষ্টি বেশ কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে, দূষকগুলি নিয়ে বৃষ্টি মাটিতে পড়ে ফলে বায়ুমণ্ডল পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু মহাকাশের জমা জঞ্জাল তো বৃষ্টির ধারা দিয়ে নামানো যাবে না, তাই মহাকাশের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার আমাদের কাছে এক সমাধানহীন সমস্যা। 
      মহাকাশের কৃত্রিম আবর্জনার মধ্যে পাঁচ শতাংশ হল সক্রিয় উপগ্রহ এবং ষাট শতাংশের বেশি হল ১০সেমি অধিক মাপের নানা আবর্জনা। ভরবেগ ধর্মটির জন্য মহাকাশে আধ কিমি ব্যাসের একটি ধাতুকণা ঘণ্টায় যদি ৩০,০০০ কিমি বেগে ছোটে তো সেটি মহাকাশচারীর স্পেস সুট ভেদ করে প্রাণহানিও ঘটাতে পারে অনায়াসেই।
     মহাকাশে জঞ্জাল সৃষ্টির জন্যে দায়ী প্রধাণত উন্নত দেশগুলি। এই দেশগুলি ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠিয়েছে। একসময় তো মহাকাশ মহাশূন্যই ছিল কিন্তু এখন সেখানে পাঁচ লাখের বেশি যন্ত্রপাতির টুকরো ঘুরছে প্রচণ্ডগতিতে। এই আবর্জনাগুলি বর্তমানে উৎক্ষিপ্ত স্যাটেলাইটগুলির খুবই মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। সচল স্যাটেলাইটগুলি বিকল হয়ে পড়ছে, একটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে অপর স্যাটালাইটের ধাক্কা লেগে যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিকরা তাই বাতিল স্যাটেলাইটগুলিকে আবার কাজে লাগানো যায় কিনা তার জন্য গবেষণা করছেন এবং কিভাবে একেবারেই অকেজোগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছেন। 
    জার্মান বিজ্ঞানী আডলফ গিনেস একটি নতুন ধরণের লেজারের ব্যবস্থা করার জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা লেজার কামান নিয়ে কাজ করছেন। বিজ্ঞানী গিনসের মতে মহাকাশে যে ছোট ছোট ধাতব টুকরো ঘোরে তা একমাত্র লেজার দিয়েই ধ্বংস করা সম্ভব। কিন্তু এই লেজার তৈরী বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিজ্ঞানীরা তাই খুবই উদ্বিগ্ন কারণ উপগ্রহের এইসব ধ্বংসাবশেষ আবার পৃথিবীতে ফিরেও আসতে পারে, আবার অচল উপগ্রহ বা যন্ত্রপাতি অংশের সঙ্গে যদি সচল উপগ্রহের ধাক্কা লাগে তো সচল উপগ্রহটি তৎক্ষণাৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুটি উপগ্রহের মধ্যে। ১৯৫৭ সাল থেকে এখন অবধি ছয় হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হলেও মাত্র এক হাজার এখন সচল আছে এবং গবেষণা, সামরিক, টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
     সচল উপগ্রহগুলিতে নিরাপদে রাখতে অন্যান্য দেশগুলিও সচেষ্ট হচ্ছেন এবং মহাকাশে ভেসে বেড়ানো অকেজো বস্তুগুলির ওপর নজরদারি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু কাজটি খুবই কঠিন এবং এই মুহূর্তে তা কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা আশা রাখবো অদূর ভবিষ্যতে হয় তো মহাকাশকে কিছুটা ময়লামুক্ত করতে সক্ষম হবোআমরা। তবে ভবিষ্যতে আমাদের মহাকাশে যে খুব সাবধানে পদক্ষেপ রাখতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  
_____________________________________________




 
 
 
 
 
 
 
 
 
ডঃ রমলা মুখার্জী
বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী,
জেলা হুগলী, পিন 712134

মন্তব্যসমূহ

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

দুটি ছড়া ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

গল্প ।। দিন বদলায় ।। চন্দন দাশগুপ্ত

ছড়া ।। ঝগড়া নিয়ে ছড়া ।। অরবিন্দ পুরকাইত

গল্প ।। সূর্যোদয় ।। দীপক পাল

ছড়া ।। চৈতালি সুর ।। দুর্গা চরণ ঘোষ

ছড়া ।। ঐক্যতান ।। সুদানকৃষ্ণ মন্ডল

ছোটর কলম ।। মামারবাড়িতে দুপুরবেলা ।। অনমিতা মুখার্জি

কবিতা ।। মোদের ছোট্র গাঁ ।। খগেশ্বর দেব দাস

ডালমুটের ছড়া ।। গোবিন্দ মোদক

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ,39th issue: February 2025

দুটি ছড়া ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

গল্প ।। দিন বদলায় ।। চন্দন দাশগুপ্ত

ছড়া ।। ঝগড়া নিয়ে ছড়া ।। অরবিন্দ পুরকাইত

গল্প ।। সূর্যোদয় ।। দীপক পাল

ছড়া ।। চৈতালি সুর ।। দুর্গা চরণ ঘোষ

ছড়া ।। ঐক্যতান ।। সুদানকৃষ্ণ মন্ডল

গদ্যরচনা ।। অচেনাকে ভয় ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

ছোটগল্প ।। একটি গাছ একটি প্রাণ ।। সুজয় সাহা

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। চতুর্ত্রিংশ সংখ্যা ।। জুলাই ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ,39th issue: February 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 30th issue : March 2024

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২