Featured Post

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

ছবি
    সম্পাদকীয় প্রিয় বন্ধুরা, পুজো শেষ! ঢাকের আওয়াজ থেমে গেছে, প্যান্ডেলগুলো ভাঙছে, বিজয়া শেষে একটু মনখারাপ হলেও পুরোপুরি আনন্দের রেশ কাটেনি। নতুন জামাগুলো আলমারিতে, ফুচকার স্বাদ এখনও জিভে, আর মনে এখনো সদ্য মজার দিনগুলোর রেশ! পুজো শেষ মানেই কিন্তু মন খারাপ নয়—কারণ সামনে আরও অনেক মজার দিন বাকি! এই মাসেই আসে কালী পুজো, দীপাবলি আর ভাইফোঁটা। অক্টোবর মানেই শরতের নীল আকাশ, সাদা মেঘ আর হালকা ঠান্ডা হাওয়া। অনেকে বেড়াতে গেছো, মজা করেছো। এখন সময় আবার নতুন করে শুরু করার—স্কুলে ফেরা, বন্ধুদের আড্ডা, পড়াশোনার মাঝে খানিকটা হাসি-মজা। পুজোর আনন্দের মতোই আমাদের মনটাও থাকুক রঙিন আর উজ্জ্বল। তবে বিভিন্ন জায়গায় বন্যার জন্য মনটা একটু খারাপ। প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়। অথচ সেই প্রকৃতির জন্য আমরা অনেকেই ভাববার সময় পাই না। প্রকৃতিকে ভালোবাসলে তবেই না আমরা প্রকৃতির ভালোবাসা পাবো! এই সংখ্যায় পাবে ভ্রমনের গল্প, মজার গল্প, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ আর তোমাদেরই আঁকা ছবি। পড়ে ফেলো, মজা করো, আর পরের সংখ্যার জন্য তোমার লেখাটাও পাঠিয়ে দিও। তাহলে চল, পুজোর আনন্দটুকু সঙ্গে নিয়ে শুরু হোক নতুন উদ্যমের আগা...

Click the image below to explore all deals & offers

ছোটগল্প ।। হেমন্ত দাদার সাথে ।। দীপক পাল


 হেমন্ত  দাদার সাথে 

দীপক পাল



            এবারে পূজোটা সোনামনির একদম ভাল কাটলো না। পুজোর মুখে এত বৃষ্টি এত বৃষ্টি স্কুলে যেতে আসতে বৃষ্টি  বাড়ীতে ফিরেও কোথাও বেরনোর উপায় নেই। মা বাবা স্কুল থেকে সে বাড়ী ফেরার আগেই হসপিটাল ডিউটিতে বেরিয়ে যায়। যদিও সকালে বাবা গাড়ী করে স্কুলে পৌঁছে দেয় আর মা ডিউটির মাঝে গাড়ী করে এসে ওকে স্কুলে  ছুটির পর তাকে বাড়ী পৌছে দিয়েই আবার হসপিটাল ডিউটিতে চলে যায়। কল্পনা মাসী বারান্দায়  দাঁড়িয়ে থাকে।  মাসী নেমে এসে গাড়ী থেকে সোনামনিকে নিয়ে ঘরে ঢোকে। তারপর স্কুলের ইউনিফর্ম পাল্টে  দিয়ে হাত পা ধুইয়ে কিছু খাইয়ে দেয়। বৃষ্টির কিন্তু  কোন বিরাম নেই। বাবা বলছিল বহু জায়গায় বন্যায় মানুষের ঘর বাড়ী ও তাদের গ্রাম বন্যার জলে সম্পূর্ণ  ভাবে ডুবে গেছে। হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়ে এই পূজোর সময় অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোর আনন্দতো দুরের কথা ছোটদের  একটা নতুন জামা পর্যন্ত  জোটেনি। তারা খালি গায়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছে। মার কাছে এ কথা শুনে তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। কারণ সোনামণির তো ছ ছ জোড়া নতুন জামা হয়েছে এখন পর্যন্ত এবারের পূজোয়। এদিকে বর্ষা দিদি সেই যে একবার  প্রথমের দিকে দেখা করে গিয়েছিল, পরে আর কোন দিন আসেনি। দাদাভাই এর সাথেও দেখা হয়নি।

            অষ্টমীর দিন দুপুরে দাদু ঠামমীর বাড়ী গিয়েছিল ব্যারাকপুরে আবার দ্বাদশীর দিন সকালে দুর্গাপুরে ফিরে এসেছে। ঐ কটাদিনই যা একটু মজা হয়েছে। ঐ দিনগুলোতে দাদাভাই যদি সাথে থাকতো তবে আরো মজা হতো। কিন্তু জোকাতে  দাদাভাইদের যে নিজেদেরই দুর্গাপুজো হয় ও সেই পুজোয় খুব আনন্দ করেছে। এছাড়া দাদাভাই কলকাতার অনেক ঠাকুর দেখেছে মা-বাবা আর দাদু-দিদুনের সাথে। ও শুনেছে মিষ্টি মামীর কাছে যে ওদের নিজেদের পুজোর প্যনডেলের মধ্যেই কি কি প্রতিযোগিতায় দাদাভাই পুরস্কার পেয়েছে। আরো বলেছে কালী পূজোর পরে কিছু দিনের জন্য দুর্গাপুরে আসবে। এখন থেকেই তাই সোনামনি দিন গুনছে সেই দিনটা জন্য।
            
এদিকে দেওয়ালীর পরের দিন রাতে মানে সন্ধ্যার ঠিক পরে বাকি বাজীগুলো বাবুসোনা বাবা-মার সাথে ছাদে উঠে সেগুলোকে পুড়িয়ে ফেললো। তারপর নিচে নেমে এসে কিছু বাকি থাকা গোছগাছ গুলোও করে ফেললো চটপট সবাই মিলে। কাল খুব ভোরেই ওদের বেরোতে হবে।হাওড়া স্টেশনে গিয়ে সকাল ছটা পাঁচ মিনিটের শতাব্দী এক্সপ্রেস ধরে ওরা দুর্গাপুর যাবে। রাত চারটে সময় মায়ের ডাকে ধড়মড় করে উঠে বসল বাবুসোনা ওর হাতে পেস্ট  লাগান ব্রাশ দিয়ে মা বললো, ' যা চটপট দাঁত মেজে মুখটা ধুয়ে আয়, আমরা এখুনি বেরবো। বাবুসোনা ব্রাশ  নিয়ে বাথরুমে ঢুকলো। ঠিক সাড়ে চারটেয় ওরা সব রেডি হয়ে নিচে নেমে ওদের জন্য দাঁড়ান গাড়ীর ডিকিতে মালপত্র তুলে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। হাওড়া স্টেশনে ওরা পৌছল সাড়ে পাঁচটায়। সামান্য পরে ট্রেন  দিতেই ওরা ট্রেনে উঠে সিট দেখে বসে পড়লো। কিছু পরে ট্রেন ছেড়ে দিল।

            সকাল সাড়ে আটটার পরেপরেই  বাবুসোনারা ঢুকে পড়লো  সোনামনিদের বাড়ীতে। এর পরেই শুরু হয়ে গেল  দুই ভাই-বোনের দৌড়া দৌড়ি লাফা লাফি নাচা নাচি আর তাদের নিয়ে সবার চেঁচামেচি বকাবকি। একেবারে হৈ হৈ কান্ড  বাড়ীতে। অনেকদিন পর দেখা হলে যা হয় আরকি। কিছুক্ষণ পরে অবস্থা  একটু শান্ত  হলে মলি হাঁক পড়লো, ' এই বাবুসোনামনি খালি খেললেই হবে, কিছুকি খিদে পায়নি তোদের, আয় খাবি আয় তাড়াতাড়ি। কল্পনাদি টেবিলে ব্রেকফাসট সাজিয়ে দিয়েছে ।  বৌদি তুমিও দাদাভাইকে নিয়ে এসে বস টেবিলে। ' সবাই একে একে এসে বসলো ব্রেকফাসট টেবিলে। সঞ্জয়  ও সোমারা তখনও পোষাক পাল্টায়নি। বাবুসোনাতো নয়ই। আসলে অনিরুদ্ধ ও মলিরাতো হসপিটাল ডিউটিতে যাবে তাই ওদের ভীষণ তাড়া  ডিউটিতে যাবার। আজকে ওরা এক ঘন্টা  দেরীতে বেরোচ্ছে। অনিরুদ্ধের আজ বেশী পেসেনট
নেই সে চারটের পর যে কোন সময়ই ফিরতে পারে। মলি সন্ধে ছটা সাড়ে ছটার আগে ফিরতে পারবে না।

            ব্রেকফাসট করতে করতে গল্প হতে লাগলো। সবচেয়ে ভাল খবরটা অনিরুদ্ধ  পেশ করলো। ' কাল রবিবার সবাই মিলে শ্রীনিকেতন হয়ে
শান্তিনিকেতনে যাবে। শ্রীনিকেতনে বিখ্যাত একান্ন সতী পীঠের এক পীঠ কঙকালীতলা মন্দিরে দেবী দর্শন ও পূজা দিয়ে কোপাই নদী ঘুরে ফিরে
একদম সোজা সোনাঝুরির কাছে এক গেস্ট  হাউসে গিয়ে থাকবে। গেস্ট হাউসে স্নান খাওয়া দাওয়া করে সোনাঝুরিটা একটু ঘুরেফিরে ওখান থেকে সোজা শান্তিনিকেতনে। ওখানে বেশ কিছুটা সময় লাগবে পুরোটা দেখতে। তারপর এদিক সেদিক ঘুরে সন্ধের পর গেস্ট  হাউসে ফিরবে।
তারপরদিন সকালে চা টা খেয়ে সোজা দুর্গাপুর ও হসপিটাল ডিউটি। ' কথা শেষ করে অনিরুদ্ধ উঠে পড়লো। মলিও উঠে পড়ে বললো, ' আমিও
চলিরে দাদা, বৌদি চললাম ফিরতে ফিরতে সাড়ে ছটা বাজবে। অনিরুদ্ধ তাড়াতাড়ি ফিরবে। '  ' আমি আসছি এবার। ' বলেই অনিরুদ্ধ  বেরিয়ে
গেল। একটু পরে মলিও বেরিয়ে গেল। দুজনেরই গাড়ী আছে।
            ওরা বেরিয়ে যাবার পর সঞ্জয় ও সোমা পোষাক পাল্টে নিল আর বাবুসোনার পোষাকও পাল্টে দিল। সঞ্জয় খবরের কাগজটা নিয়ে আরাম করে সোফায় বসলো। সোমা রান্নাঘরে ঢুকলো যদি কল্পনাকে কিছু সাহায্য করতে হয়। এই সুযোগে সোনামনি বাবুসোনার হাত ধরে দরজা খুলে সোজা বাগানে পা রাখলো। বাবুসোনা দেখলো কিছুই  পালটায়নি। সেই দুটো কলাগাছ, গাছে কলার কাঁদি ঝুলছে। লেবু গাছ, লজ্জাবতী, গন্ধরাজ, কাঁঠালীচাঁপা, লিলি ফুলগাছ ইত্যাদি প্রায় সব আগের মতই আছে। শুধু গতবার আগাছা অনেক দেখেছিল, এবার কিন্তু  সব পরিস্কার করা হয়েছে। তাই বাগানটাকে আরো সুন্দর দেখাচ্ছে। মনে হয় নতুন কিছু গাছ লাগানোর হয়েছে। হঠাৎ সোনামনি ' দাদাভাই ' বলে ডাকতে বাবুসোনা ওর কাছে যেতে ও আবার বললো, ' জানিস দাদাভাই এই চাপা গাছের নিচে তোকে লেখা সেই চিঠিটা রেখেছিলাম। পরেরদিন সকালে এসে দেখি সেই চিঠিটা নেই। বসন্ত দাদা সেই চিঠিটা ঠিক তোর কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। আর দেখ ঐ দিকের পাঁচিলে হেলান দিয়ে শীত বুড়ি, ফড়িং আর প্রজাপতিদের সাথে আমাদের খেলা দেখছিল আর মিটি মিটি হাসছিল। মনে আছে তোর?' বাবুসোনা বললো, ' হ্যাঁ  মনে আছে। তুইতো খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলি।'

             হঠাৎ কোত্থেকে একটা হালকা ঠান্ডা বাতাস বাগানের সব গাছেদের দুলিয়ে দিয়ে কে যেন বলে উঠলো, ' আমার বড়দির কথা হচ্ছে বুঝি? জানতো আমার বড়দির ডাক নামও বুড়ি। বড়দির অনেক বয়স হয়েছে কিন্তু কোন অসুখ বিসুখ নেই। কিন্তু ডাক নামটা এখন বেশ মিলে গেছে।' সোনামনি বললো, ' কিন্তু তুমি কে?' ' তবে শোন, আমার নাম হেমন্ত। আমি এই বাংলার বাতাসে নতুন চালের গন্ধ আর নলেন গুড়ের সুবাস বয়ে নিয়ে আসি। এরপরে পিঠে পুলির গন্ধে আকাশ বাতাস ভরে উঠবে। এবার যাই কেমন।' বাবুসোনা বলে ওঠে, ' শোন হেমন্ত দাদা, শরৎ দাদা তো আসেনি। ওদিকে বর্ষা  দিদি সেই কবে দেখা করে গেল আর কিন্ত এলো না।' হেমন্ত দাদা বলে, ' আর কি বলবো তোমাদের, আমাদের বর্ষা বোন সবার খুব আদরের। ও সেই সুযোগটা নেয়। শরত ওকে বারবার ডাকলে ও খালি বলে আর কটাদিন থাকি। শরতও কিছু বলে না। এই করে বর্ষা এক মাস বেশী কাটিয়ে দিল। শরৎ তারপর এসে জোর করে ওকে বাড়ী পাঠিয়ে দিল। শরৎ এসে দেখে অতি বৃষ্টির জন্য বহু জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কত মানুষ ঘর ছাড়া এই বৃষ্টির মধ্যে। তাদের মাথা গোঁজার একটু সংস্থান হলেও খাওয়া জুটছেনা ঠিকমত। কখনো কখনও খিচুড়ি জুটেছে একটু আধটু। দুর্গাপুজোর খবর ওরা রাখেনা। শরতের মনটা ভারী নরম তাই খুব দুঃখ পেল। চতুর্দিকে জল আর জল । কাশফুল কোথাও চোখে পরেনা। প্রতিবছর শরৎ এসে আবহাওয়ার কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে দেয়। এবারে সে দিশেহারা হয়ে দশদিন বেশী থেকে গেল। তাই আমারও আসতে দশদিন দেরী হলো। যাই হোক, এবার তোমাদের কথা বলো। সোনামনি বলে, ' জান হেমন্তদাদা, দাদাভাইরা আজকে সকালেই আমাদের বাড়ী এসেছে। ' ' ও তাই নাকি? তবে আমার ভাগ্য ভাল বলো? একসাথে দুজনের সাথেই দেখা হলো। কবে ফিরবে বাবুসোনা তুমি?'  ' বাবা বলেছে আমরা মঙ্গলবার সকালে ফিরবো। পোপো বলেছে কাল খুব সকালে আমাদের সবাইকে শান্তিনিকেতন বেড়াতে নিয়ে যাবে। '  সঙ্গে  সঙ্গে  সোনামনি বললো,  ' আমরা ওখানে একদিন থাকবো তারপর কঙকালীতলায় যাব আর অনেক কিছু দেখবো সেখানে জান।'  ' বা বা বাঃ, তোমরা খুব মজা করে বেড়াবে সেখানে বেশ বেশ খুব ভাল। এবার আমি চলি।'  বলে সে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল কোথায়। ঠিক তক্ষুনি সোমার ডাক শুনতে পেল ওরা, কিরে বাবুসোনামনি তোরা আর কত দেরী করবি, এবার আয় তাড়াতাড়ি স্নান খাওয়া দাওয়া করতে হবেতো।' ওরা চটপট বাগানের দরজা বন্ধ করে ফিরে এলো।

            পরের দিন খুব সকাল সকাল উঠে ওরা সবাই গাড়িতে চড়ে রওনা দিল প্রথমে কঙকালীতলা মন্দিরের উদ্দেশ্যে। গাড়ী চালাচ্ছে অনিরুদ্ধ। গাড়ী পৌঁছল একেবারে মন্দিরের কাছে। যতক্ষণ গাড়ী চললো ততক্ষণ বাবুসোনামনি বাকি ঘুমটা প্রায় ঘুমিয়েই  কাটিয়ে দিল। গাড়ী থেকে নেমেই আবার তারা ছোটা ছুটি শুরু করে দিল। মলি  ও সোমা পুকুর থেকে জল নিয়ে ফুল টুল যা আগে কিনেছিল সেসব নিয়ে ভক্তি ভরে মায়ের পূজো দিল। তারপর যে দোকান থেকে পূজোর ডালি নিয়েছিল সে দোকানে রাখা জুতোগুলো পড়ে একটা খাবার দোকানে গিয়ে কিছু খেয়ে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে উঁচু নিচু মাটির রাস্তা  পেরিয়ে একেবারে কোপাই নদীর ধারে চলে এলো। ওদিকে সর্ষে ফুলের খেত হাওয়ায় দুলছে। ভারী সুন্দর  লাগছে দেখতে। কোপাই এর দিকে তাকিয়ে বাবুসোনামনি একসাথে আবৃত্তি শুরু করলো,  ' আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে.....' পুরো কবিতাটা বলার পর বড়োরা সবাই হাততালি দিতেই ওরা একসাথে নেচে উঠলো।

            এরপর সবাই গেস্ট হাউসে এসে ঢুকলো। স্নান খাওয়া দাওয়া সেরে ওরা ফের বাইরে এসে প্রথমে সোনাঝুরিটা ঘুরে ঘুরে দেখলো তারপর সোজা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে গিয়ে  পৌঁছল। কিন্তু বন্ধ থাকায় আসলটাতেই ঢুকতে পারলো না। ঘুরে ঘুরে দেখে আর এদিক সেদিক বেরিয়ে টেরিয়ে সন্ধের পরে গেস্ট হাউসে ফিরলো। পরের দিন সোজা দুর্গাপুর। অনিরুদ্ধ আর মলি ওদের বাড়ীতে নামিয়ে দিয়ে ডিউটিতে চলে গেল। বললো তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করবে। তারপর বাবুসোনামনির সারাদিন দুষ্টুমি লাফালাফি ঝাঁপাঝাঁপি আবার ঝগড়াঝাঁটিও। একেবারে অতিষ্ঠ সবাই। আবার বাবুসোনা যেদিন সকালে চলে গেল সেদিন বাবুসোনা আর সোনামনির দুজনের চোখেই জল।
      


                                                                    ----------------------------------------------------

Address :-
----------‐------
Dipak Kumar Paul,
DTC. Southern Heights,
Block-8,  Flat-1B,
Diamond Harbour Road,
Kolkata- 700104.










মন্তব্যসমূহ

সূচিপত্র

আরও দেখান

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

ছড়া ।। ভালো দাদু ।। জীবন সরখেল

ছড়া।। পুজো এলো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কবিতা ।।  হাসি ।। মৌসম সামন্ত

কবিতা ।। হে ঠাকুর ।। অনিন্দ্য পাল

কবিতা ।। হযবরলর জঙ্গলে ।। দীপক পাল

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৪ ।। জুলাই ২০২৫

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় মাসিক পত্রিকা ।। সপ্তচত্বারিংশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২৫

কিশোর ভ্রমণ উপন্যাস ।। তিতলির বিশ্বভ্রমণ ।। ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

কিশোর ভ্রমণ উপন্যাস ।। তিতলির বিশ্বভ্রমণ ।। ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়

কবিতা ।। রাত্রিযাপন ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

কবিতা ।। মুঠোফোন ।। জীবন সরখেল

ছড়া।। পুজো এলো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

কবিতা ।। হযবরলর জঙ্গলে ।। দীপক পাল

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৫ ।।আগস্ট, ২০২৫

ছড়া ।। ভালো দাদু ।। জীবন সরখেল

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় মাসিক পত্রিকা ।। ষটচত্বারিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৫

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৪ ।। জুলাই ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪১ ।। এপ্রিল ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪২ ।। মে ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ,39th issue: February 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৫ ।।আগস্ট, ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৩ ।। জুন ২০২৫

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২