প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪১ ।। এপ্রিল ২০২৫

বাসাটা পুরো তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বাসাটা দেখে গুনগুন অবাক হয়ে গেলো। বাসাটা গোল থেকে লম্বা হয়ে নিচের দিকে নেমেছে। গুনগুনের এখন একটাই কাজ। স্কুল থেকে ফিরে দূরবীন হাতে নিয়ে বাসাটার দিকে চোখ রেখে বসে থাকা। বাসাটার মুখ দিয়ে কি ভাবে পাখি দুটো বাসার ভিতরে ঢুকছে , কি ভাবে বেরোচ্ছে তা লখ্য করা। একদিন দেখল পাখি দুটো মুখে করে খাবার নিয়ে বাসায় ঢুকছে আর বেরোচ্ছে।
এরপর একদিন বাসা থেকে কিচকিচ ডাক শোনা গেল।পাখির ছানা গুলোকে দেখার জন্য গুনগুন সময় পেলেই দূরবীন চোখে দিয়ে জানলার সামনে বসে পরে। এরকম এক ছুটির দিনে গুনগুন দূরবীন চোখে দিয়ে বাসাটা দেখছে। হঠাৎ, সে দেখল একটা সাপ বাতাবি লেবুর গাছ বেয়ে উপরের দিকে বাসাটার কাছে জাচ্ছে। গুনগুন খুব ভয় পেয়ে গেলো। সাপটা যদি পাখির ছানাগুলোকে খেয়ে নেয়। গুনগুন দৌড়ে তার বাবার কাছে গিয়ে বলল, “পাপা বাসাটার মধ্যে সাপ ঢুকছে। তাই শুনে পাপা বলল, ভয় পাস না, কিচ্ছু হবে না। সাপ টা বাসার মধ্যে ঢুকতে পারবে না। গুনগুন দূরবীন দিয়ে দেখল সাপ টা বাসায় ঢোকার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। সাপ টা ঘুরে গাছটার নীচের দিকে নেমে চলে গেলো। গুনগুন খুব খুশি হয়ে পাপা কে বলল সাপ টা চলে গেছে। পাপা হেসে বলল কেন চলে গেল জানিস? গুনগুন বলল না। পাপা জানলা দিয়ে বাসাটার দিকে তাকিয়ে বলল, বাসার মুখে দুটো দরজা বা দুটো ফুটো আছে। যে দরজা তা দেখা যাচ্ছে সেটা নকল দরজা। ঠিক তার উপরে ঐ রকম র একটা দরজা আছে যেটা শুকনো পাতা, খড় কুটো দিয়ে ঢাকা আছে। ওটাই আসল দরজা।সাপ টা নকল দরজা দিয়ে বাসা টার ভিতরে ঢুকতে পারে নি। বাবুই পাখিরা নিজের ছানাদের এভাবেই রক্ষা করে। গুনগুন অবাক হয়ে শুনল আর খুব খুশি হল যে পাখির ছানা গুলো বেঁচে গেলো। পাখির ছানা গুলোকে দেখার অপেক্ষায় গুনগুনের দিন কাটতে লাগলো।
______________________________________________
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন