Featured Post

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

ছবি
  সম্পাদকীয় আশা করি ভালো আছো ছোট্ট বন্ধুরা।কন কনে শীতের আবেশ ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে ঋতুরাজের স্পর্শে প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে উঠেছে।কচি পাতা আর রঙিন ফুলের সৌরভে মন কেমন করা পরিবেশ, তাই না? শিমুল পলাশে সব পথ রাঙিয়ে দিয়েছে যেন কেউ। দু-চোখ জুড়িয়ে যায়। সামনেই দোলযাত্রা, রঙের উৎসব। প্রকৃতির সাথে সাথে তোমরাও মেতে উঠবে সেই উৎসবে।খুব মজা করো, তবে সাবধানে, দেখো রং যেন কারোর চোখে না লাগে। যারা এ বছর মাধ্যমিক দিলে তাদের তো বেশ মজা। অনেকটা সময় পাচ্ছো ঘুরে বেড়ানোর , আনন্দ করার। এই অখণ্ড অবসরে আনন্দ উৎসবের মাঝেও একটু গল্প উপন্যাস পড়া, লেখালিখি,আঁকার জন্যও একটু সময় দিও। ভালো লাগবে।বসন্ত ঋতু সৃষ্টির ঋতু। নিজেদের সৃজনশীলতা যাতে ধীরে ধীরে বিকাশ হয় তার জন্য তো তোমাদের কিশলয়ের পাতা রয়েছে। তোমাদের ছোট ছোট প্রয়াস গুলোকে মেলে ধরাই তো এর কাজ। তাই দ্বিধা না করে ভালো মন্দ যাই লেখো,  আঁকো না কেন পাঠিয়ে দাও আমাদের দপ্তরে। তোমাদের কচি হাতের ছোঁয়ায় ভরে উঠুক তোমাদের প্ৰিয় কিশলয়। সবাই ভালো থেকো, সুস্থ থেকো আনন্দে থেকো।     শুভকামনাসহ-- প্রিয়ব্রত দত্ত ও কার্তিক চন্দ্র পাল। কার্যনির্বাহী যুগ্ম...

গল্প ।। মিনির পিতৃপ্রেম ।। মিঠুন মুখার্জী


মিনির পিতৃপ্রেম

মিঠুন মুখার্জী 


কোলকাতার এক বড় বাড়ির কথা। জমিদারের বংশধর এরা। শশীভূষণ মুখোপাধ্যায় তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটে। ছেলে সরকারি চাকরি করতেন। একদিন পথ দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। শশীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের মেয়ের স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়ে মিনিকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিল সে। শ্বশুর বাড়ির সকলে ছেলে চলে যাওয়ার পর মিনির মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন না। তাছাড়া মিনির মা শর্মিলার প্রতি ভাসুর ও দেওরের কু-নজর ছিল। তাই একপ্রকার বাপের বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল সে। মিনির বয়স তখন পাঁচ বছর। ফুটফুটে সুন্দর ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে সে। এই বয়সের ছেলে - মেয়েরা যেখানে খুব চঞ্চল হয়, বাবা-মাকে জ্বালাতন করে মার খায়, সেখানে এই ছোট্ট মেয়েটি শান্ত ও সহ্যশীলা। মিনিকে‌ রাগ করতে কেউ কখনো দেখে নি। রান্নাবাটি‌‌ নিয়ে একা একা খেলা করে সে। তাই দাদু বাড়ির কারো কাছে সে কখনো বকা খায় নি। তার মাও তাকে কখনোই বকে নি। তবে মাঝে মাঝে বাবার জন্য মনটা কেমন খারাপ হয়ে যেত তার। একা একা বসে কান্না করত। মা কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলত-- " মা আমার বাবা কি আর কখনো ফিরে আসবে না? বাবা কি তারাদের দেশে চলে গেছে?" মা শর্মিলা তখন বলত -- "তোমার বাবা তারাদের দেশ থেকে তোমায় দেখছেন। একদিন তুমি জ্যোতির্বিজ্ঞানি হবে, তখন তারাদের দেশে তোমার বাবাকে তুমি দেখতে পাবে। তোমার বাবা তোমার জন্য একদিন অনেক খেলনা পাঠাবেন।" মায়ের কাছ থেকে এই কথাগুলো শুনে সে চুপ করে যেত। মেয়েকে সান্ত্বনা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় শর্মিলার দুচোখ চিকচিক করে উঠত।
   দাদু শশীভূষণ মুখোপাধ্যায় মিনিকে প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির পাশের একটি শিশু উদ্যানে নিয়ে যেতেন। মিনি তার বয়সি অনেক বন্ধু-বান্ধবী পেয়ে খুব খুশি হত। দোলনা চড়ে, স্লিপ চড়ে, একটু দৌড়াদৌড়ি করে সন্ধ্যা বেলা বাড়িতে ফিরত সে। মিনির মুখে মাঝে মাঝে প্রকাশ পাওয়া পাকাপাকা কথা শুনে শশীভূষণ মুখোপাধ্যায় হেসে দিতেন। বলতেন -- ' দিদিভাই তুমি খুব পাকা হয়েছ। এই বয়সে এমন জ্ঞানের কথা তুমি জানলে কি করে? তোমার বুদ্ধি বড়দেরও হার মানিয়ে দিতে পারে।" সেদিন বিকেলে দাদুকে মিনি প্রশ্ন করেছিল--- " আচ্ছা দাদুভাই, এই জগতে বাবা বড়, না মা? আমার মা তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, না দিদুকে? আমরা মরে যাই কেন? আমার বাবা কি আর ফিরে আসবে না?" পাকা পাকা কথার মাঝে বাবা আর ফিরে আসবে না বলে মিনির চুপ করে যাওয়া ও চোখে সামান্য জল দেখে শশীভূষণ মুখোপাধ্যায় বুঝেছিলেন এই টুকু মেয়ের মধ্যে বাবার প্রতি টান প্রবল। বাবার কথা চিন্তা করে সে প্রতিনিয়ত কষ্ট অনুভব করে। তিনি নিজেও একজন বাবা। তার প্রতি শর্মিলার প্রবল টান থেকে তিনি অনুভব করেন মেয়েদের বাবার প্রতি টান ও ভালোবাসাটা একটু বেশিই থাকে।
       একদিন রাতে ঘুমানোর দশমিনিট পর হঠাৎ একটা স্বপ্ন দেখে মিনি। এমন স্বপ্ন সে আগে কখনো দেখে নি। সে তারাদের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারিদিক ঝিকিমিকি করছে। আলো আর আলো। কত মানুষ সেখানে। ছোট থেকে বড়, ছেলে থেকে মেয়ে। একজন বুড়ি সেখানে চরকায় সুতো কাটছে। মিনি তাকে গিয়ে বলে-- 'আচ্ছা বুড়িমা তুমি আমার বাবাকে দেখেছ? অনেক লম্বা ও দেখতে খুব সুন্দর।' বুড়িমা মিনির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না। আপন মনে তিনি চরকায় সুতো কেটেই চলেছে ।এরপর মিনি দেখে একজন রাজার ছেলে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধবিদ্যা রপ্ত করছে। মুখে নানান রকমের আওয়াজ করছে। মিনি তার কাছে গিয়ে বলে--- " তুমি আমার বাবাকে দেখেছ। উচু - লম্বা ও ফর্সা আমার বাবা। নাম সজনীকান্ত মিশ্র।" সেও বুড়ির মতো কোনো উত্তর দেয় না। কেবল চোখদুটো বড় বড় করে তার দিকে তাকায়। মিনি তার চোখদুটো ও তলোয়ার উঠানো দেখে ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর কিছুক্ষণ হেটেই যায় সে। কাউকে দেখতে পায় না। হঠাৎ একজন পুরুষ মানুষের কাতর কন্ঠস্বর শুনতে পায় সে।  মিনি মা, মিনি মা বলে কে যেনো তাকে ডাকছে। সে চারিদিকে সেই ব্যক্তির খোঁজ করে। অবশেষে তার বাবাকে খুঁজে পায়। মিনি দেখে তার বাবার সারা গায়ে রক্ত। খুব কষ্ট পাচ্ছে সে। পা দুটো ভাঙা, ঘষতে ঘষতে তার দিকে আসছে। মিনি ছুটে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে--- " বাবা, তোমার কি হয়েছে? তোমার এমন অবস্থা কেন? তুমি বাড়ি চল।" মেয়ের কথা শুনে বাবা বলেন --- " আমি আর পৃথিবী লোকে ফিরতে পারব না রে মা। আমার দেহের অস্তিত্ব সেখানে নেই। একজন শয়তান গাড়িচালক ইচ্ছা করে আমায় চার চাকার গাড়িতে পিষে মেরেছে। আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি মটরসাইকেল নিয়ে নিজের সাইড দিয়েই আসছিলাম। আমার খুব কষ্ট। তুই ফিরে যা। অনেক বড় হতে হবে তোকে। তোর মধ্যে দিয়েই আমি পৃথিবী লোকে বেঁচে থাকব। তোর সাফল্যে সবাই বলবে সজনীকান্তের একটি মেয়ে হয়েছে, যেমন ধারে তেমনি ভারে। বাবা-মার মুখকে উজ্জ্বল করেছে এই মেয়েটি। ঘরে ঘরে এমন মেয়েই চাই।" বাবার এই কথা শুনে মিনি খুব কান্না করে। বাবাকে বলে --- " বাবা আমি তোমাকে না নিয়ে যাব না। তুমি আমাদের সঙ্গে না থাকলে আমার ভালো লাগে না। মা তোমার জন্য মাঝেমাঝে খুব কান্না করে। মায়ের মুখ থেকে হাসি হারিয়ে গেছে। তুমি চলো না বাবা, চলো না।" এরপর খুব কান্না করতে থাকে ছোট্ট মিনি। হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙার পরও মিনি কান্না করে। পাশের ঘর থেকে মা শর্মিলা ও দাদুভাই ছুটে আসেন। কান্না থামছে না দেখে শর্মিলা বুঝতে পারে মিনি নিশ্চয় খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখেছে। তাই ও এতো কাঁদছে। অনেকবার জিজ্ঞাসা করার পর সে মাকে জড়িয়ে ধরে ও একে একে স্বপ্নের সকল বিষয় জানায়। মেয়ের কাছে সব শুনে মায়েরও দুচোখে জল দেখা যায়। শশীভূষণ বাবু মেয়ে ও নাতনিকে অনেক বুঝিয়ে শান্ত করেন।
     এই ঘটনার একসপ্তাহ পর মিনির দাদুর বাড়ির সামনে দিয়ে একজন ফেরিওয়ালা মাটির খেলনা ফেরি করে যাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন -- " পুতুল নেবে গো পুতুল। মাটির ভালো ভালো পুতুল আছে আমার ঝুড়িতে। খুব সস্তায় দিয়ে দেব।" ফেরিওয়ালার গলা শুনে মিনি বাইরে এসে বলে-- 'ও ফেরিওয়ালা তোমার পুতুল কত করে? আমি দেখি তোমার ঝুড়িতে কী কী পুতুল আছে ‌‌।' মিনি এই কথাগুলো মাথা নিচু করে বলতে বলতে আসছিল। মাথা তুলে সে যখন ফেরিওয়ালার দিকে তাকায়, তখন সে অবাক হয়ে যায়। লোকটি হুবহু মিনির বাবার মতো দেখতে। কিন্তু ইনার গালে দাড়ি আছে। মিনি তখনি ছুটে ঘরে গিয়ে মাকে ও দাদুকে নিয়ে আসে। তারাও ফেরিওয়ালাকে দেখে অবাক হয়ে যান। একদম সজনীকান্তের মুখ বসানো। শশীভূষণ মুখোপাধ্যায় বলেন---" তুমি কে ভাই? কোথায় থাক?" মিনির দাদুর প্রশ্নের উত্তরে ফেরিওয়ালা বলে--- " বাবু, আমার বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। আমি প্রতিবছর কোলকাতায় পোড়ামাটির পুতুল বেঁচতে আসি। আপনারা খুকির জন্য নিতে পারেন। এগুলো ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে খুব সুন্দর।" এরপর শর্মিলা ভাবে 'এই পৃথিবীতে একই দেখতে অনেক মানুষই থাকে। আজ আমার সজনী যদি বেঁচে থাকত তবে মিনির অত কষ্ট পেতে হত না।' শশীভূষণ বাবু মিনির পছন্দমত তিনটি পুতুল রেখে দেয়। ফেরিওয়ালা নিজের থেকে পয়সা না‌ নিয়ে মিনিকে আরও একটি পুতুল দেয়। ফেরিওয়ালা চলে গেলে মিনি তার মাকে বলে--- " মা, উনি আমার বাবা না? উনি চলে যাচ্ছে, বাবাকে আটকাও।" মিনি খুব কাঁদতে থাকে। শর্মিলা ও মিনির দাদুর মনটা ভাড়াক্রান্ত হয়ে ওঠে।

=====================

মিঠুন মুখার্জী
গ্ৰাম : নবজীবন পল্লী
পোস্ট+থানা -- গোবরডাঙা
জেলা -- উত্তর ২৪ পরগণা





মন্তব্যসমূহ

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

দুটি ছড়া ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

গল্প ।। দিন বদলায় ।। চন্দন দাশগুপ্ত

গল্প ।। সূর্যোদয় ।। দীপক পাল

ছড়া ।। চৈতালি সুর ।। দুর্গা চরণ ঘোষ

ছড়া ।। ঐক্যতান ।। সুদানকৃষ্ণ মন্ডল

ছড়া ।। ঝগড়া নিয়ে ছড়া ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ডালমুটের ছড়া ।। গোবিন্দ মোদক

কবিতা ।। মোদের ছোট্র গাঁ ।। খগেশ্বর দেব দাস

ছোটর কলম ।। মামারবাড়িতে দুপুরবেলা ।। অনমিতা মুখার্জি

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ,39th issue: February 2025

দুটি ছড়া ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

গল্প ।। দিন বদলায় ।। চন্দন দাশগুপ্ত

গল্প ।। সূর্যোদয় ।। দীপক পাল

ছড়া ।। চৈতালি সুর ।। দুর্গা চরণ ঘোষ

ছড়া ।। ঐক্যতান ।। সুদানকৃষ্ণ মন্ডল

ছড়া ।। ঝগড়া নিয়ে ছড়া ।। অরবিন্দ পুরকাইত

গদ্যরচনা ।। অচেনাকে ভয় ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

ছোটগল্প ।। একটি গাছ একটি প্রাণ ।। সুজয় সাহা

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। চতুর্ত্রিংশ সংখ্যা ।। জুলাই ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪০ ।। মার্চ ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ,39th issue: February 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 30th issue : March 2024

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২