প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪১ ।। এপ্রিল ২০২৫

ডেডলক
ইয়াছিন ইবনে ফিরোজ
ঢাকা শহর। রাত ২:৩৫। একটি অন্ধকার কক্ষে কেবল কম্পিউটারের স্ক্রিন জ্বলজ্বল করছে। স্ক্রিনে একের পর এক নাম ভেসে উঠছে, সঙ্গে ছবি, বয়স, পেশা, এবং একটি ছোট্ট লাল চিহ্ন,"লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে"।
স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা ব্যক্তি ঠোঁটের কোণে এক অদ্ভুত হাসি ফুটিয়ে তুলল। "সময় হয়ে এসেছে।"বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাহির ইসলামকে তার নিজের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। ল্যাপটপ খোলা, স্ক্রিনে একটি মাত্র লাইন "খেলায় স্বাগতম"। পুলিশের ধারণা, এটা আত্মহত্যা। কিন্তু সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অফিসার আদনান রহমান বুঝতে পারলেন, এটা তার চেয়ে অনেক বড় কিছু। এটা শুধু এক রাতের ঘটনা নয়। এটা "ডেডলক" নামে এক রহস্যময় হ্যাকার-সিরিয়াল কিলারের খেলা। যে মানুষগুলো মরছে, তারা সবাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিবিদ, গবেষক বা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। কিন্তু কেন? আদনান যখন খোঁজ নিতে শুরু করলেন, তখনই তার ইমেইলে এল এক অদ্ভুত মেসেজ,"আমাকে ধাওয়া করা বন্ধ করুন, গোয়েন্দা। না হলে পরবর্তী শিকার আপনি হবেন।" কিন্তু আদনান জানেন, তিনি থামবেন না। কিন্তু তিনি জানেন না, এই খেলার শেষ কোথায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তার চোখে কম্পিউটার স্ক্রিনের আলো প্রতিফলিত হচ্ছিল। হঠাৎই তার মনে পড়ে গেল সেই দিনটার কথা, যখন তার ছোট বোনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। সেই দিন থেকেই সে শপথ করেছিল, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।"
ঢাকার সকালটা নরম রোদের নিচে স্বাভাবিক মনে হলেও, পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ভেতর এক অদৃশ্য আতঙ্ক কাজ করছিল। "মাহির ইসলামের ল্যাপটপে কোনো হ্যাকিং ট্রেস পাওয়া গেছে?" আদনান রহমান দ্রুত জিজ্ঞেস করলেন ফরেনসিক এক্সপার্ট শাওনকে। শাওন মাথা নাড়ল। "একটি সংকেতাবদ্ধ ফাইল পাওয়া গেছে, কিন্তু সেটি খোলার চেষ্টা করলেই পুরো সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কেউ অত্যন্ত শক্তিশালী সাইবার অস্ত্র ব্যবহার করেছে।" "মানে?" আদনান ভ্রু কুঁচকালেন। "এটা কোনো সাধারণ হ্যাকার না, এ ধরনের কোড সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবহার করে।" এই ফাইলটি AES-256 এনক্রিপ্টেড। ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক করতে আমাদের সুপারকম্পিউটার লাগবে, সময় লাগবে কয়েক সপ্তাহ!' আদনান বিরক্ত হয়ে বলল, 'তাহলে বিকল্প কী?' শাওন বলল, 'ডার্ক ওয়েবে একজন রিভার্স ইঞ্জিনিয়ার আছে, সে হয়তো পারবে। আদনানের শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। "মানে এই সিরিয়াল কিলার আমাদের দেশের কোনো সংস্থার ভেতর থেকে কাজ করছে?" শাওন কিছু বলল না, কিন্তু তার চোখের ভাষা বলছিল হয়তো এর চেয়েও ভয়ংকর কিছু ঘটছে।
"লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে" অন্ধকার ঘরে এবার আরেকটি নাম স্ক্রিনে ভেসে উঠল," আদনান রহমান।"সঙ্গে একটি ছোট্ট মেসেজ—"গোয়েন্দা, আমি আপনাকে সতর্ক করেছিলাম। এবার আপনার পালা।" রাত ১:৪৫ মিনিটে আদনান যখন অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে যাবেন, ঠিক তখনই তার ফোন ভাইব্রেট করল। অপরিচিত এক নাম্বার থেকে। "তুমি ভাবছো, আমাকে ধরতে পারবে?"কণ্ঠটা ঠান্ডা, শীতল। আদনান দ্রুত চারপাশে তাকালেন। "তুমি কে?" "ডেডলক।" "তুমি কি সত্যিই মানুষ খুন করছো, নাকি এটা বড় কোনো ষড়যন্ত্র?" হাসির শব্দ ভেসে এলো। "তুমি সত্যের খুব কাছে চলে এসেছো, আদনান। এখন হয় থেমে যাও, নাহলে তোমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে!" লাইন কেটে গেল। ঠিক তখনই আদনানের সামনে একটি কালো ভ্যান এসে থামল। দুজন মুখোশধারী লোক ভ্যান থেকে নামল, তাদের হাতে সাইলেন্সার লাগানো পিস্তল! "শালার বোকা গোয়েন্দা! এবার মরার জন্য প্রস্তুত হও!"আদনান দ্রুত পাশের গাড়ির আড়ালে লাফ দিলেন। ঠিক তখনই ঠাস! ঠাস! শব্দে দুটো গুলি তার ঠিক আগের জায়গাটা ভেদ করে চলে গেল। "ওকে দ্রুত শেষ কর!"দুজন মুখোশধারী আগাতে লাগল, কিন্তু আদনান ইতোমধ্যে নিজের সার্ভিস পিস্তল বের করে ফেলেছেন। ঠাস! এক সুনির্দিষ্ট শটে প্রথম হামলাকারী পড়তে লাগল। কিন্তু দ্বিতীয়জন খুব দ্রুততার সাথে পাশের দেয়ালের আড়ালে চলে গেল। "দেখো, তুমি চাইলে বেঁচে যেতে পারো। শুধু আমাকে বলো, ডেডলক কে?" আদনান হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন। কিন্তু উত্তরে আবারও গুলি! আদনান বুঝলেন, এই হামলাকারীরা কথার চেয়ে গুলিতেই বেশি বিশ্বাসী। ঠিক তখনই পেছন থেকে একটি কালো বাইক এসে থামল। "আদনান, উঠো!" আদনান ঘুরে তাকিয়ে দেখলেন সালমান! কোনো সময় নষ্ট না করে তিনি বাইকে লাফ দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে সালমান দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে বেরিয়ে গেল। "তুই এখানে কীভাবে?"—আদনান অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন। সালমান হেসে বলল, "ভাই, তোর এই খেলায় আমি আগেই ঢুকে গেছি। তুই শুধু জানিস না।"সকালে আদনান ও সালমান শহরের বাইরে একটি নিরাপদ স্থানে বসে তথ্য বিশ্লেষণ করছিলেন। সালমান বলল, "ডেডলক শুধু একজন সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলার নয়, তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগও রয়েছে। সে এমন কিছু শক্তিশালী মানুষের জন্য কাজ করছে, যারা সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করে!" "মানে?" সালমান কম্পিউটারে কিছু টাইপ করল। কিছু সময় পর একটি অজানা ডার্ক ওয়েব সাইট খুলে গেল, যেখানে এক ভয়ানক তালিকা দেখা গেল— "পরবর্তী লক্ষ্য: বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের প্রধান।" আদনান স্তব্ধ হয়ে গেলেন। "তারা কি সরকারকে হ্যাক করার চেষ্টা করছে?" সালমান মাথা নাড়ল। "এটা আরও খারাপ। তারা পুরো দেশের ডিজিটাল সিস্টেম ধ্বংস করতে চায়!" ঠিক তখনই, কম্পিউটার স্ক্রিন কালো হয়ে গেল। তারপর ভেসে উঠল একটি ভয়ানক মেসেজ— "থামো, অথবা মরতে হবে।" আদনান আর সালমান একে অপরের দিকে তাকালেন। গেম এখনও শেষ হয়নি, এটা শুধু শুরু।
স্ক্রিনে ভেসে ওঠা "থামো অথবা মরতে হবে।" মেসেজটা মুহূর্তেই অদৃশ্য হয়ে গেল, যেন কখনোই ছিল না।"আমাদের প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে," সালমান ধীরে বলল। কিন্তু কিভাবে? "আমার ফোন ট্র্যাক প্রুফ, ল্যাপটপ এনক্রিপ্টেড!"—আদনান উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন। সালমান চিন্তিত মুখে বললেন, "তোর শরীরের কোথাও ট্র্যাকার লাগানো হয়েছে কি না, সেটা চেক করা দরকার।" আদনান চমকে উঠলেন। "মানে? আমি কি একটা চলন্ত ট্র্যাকিং ডিভাইস?" সালমান উঠে দাঁড়িয়ে বললেন।"ভাই, ডেডলক যে লেভেলের হ্যাকার, সে চাইলে তোকে ট্র্যাক করা কোনো ব্যাপারই না। আমরা এতদিন ওর দিকে নজর রাখছিলাম, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, সে আসলে শুরু থেকেই আমাদের ট্র্যাক করছিল!" "আমরা কি তাহলে ওর ফাঁদে পড়েছি?" সালমান হেসে বলল, "না ভাই, ফাঁদে পড়েছিও। এখন ওর খেলা আমরাই খেলব!"রাত ৩:১০। ঢাকার বাইরে এক পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরির ভেতর, এক অন্ধকার কক্ষে একটি বিশাল স্ক্রিনে কিছু লাইভ ফিড দেখা যাচ্ছে। একজন মানুষ ঘরের কোণে বসে, তার পুরো শরীর ছায়ায় ঢাকা। "তাদের এবার সত্যিই থামাতে হবে," সে নিচু গলায় বলল। আরেকজন এসে মাথা নাড়ল। "তাদের খেলা এখানেই শেষ হওয়া উচিত, স্যার?" "না। খেলা শেষ হবে আমার নিয়মে। এবার পরিকল্পনা বদলাতে হবে।"
"সকাল ৮:০০। আদনান আর সালমান যখন তাদের গোপন ডেটা সেন্টারে ঢুকলেন, তখনই চারপাশের বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠল।"আমাদের সব ব্যাকআপ ডেটা ডিলিট হয়ে গেছে!" এক মুহূর্তে সালমানের মুখ শুকিয়ে গেল। "কি? সেটা তো তিনটা ভিন্ন সার্ভারে রাখা ছিল!" "সবই হ্যাকড! আমাদের এক স্টেপ আগেই ডেডলক আমাদের গেম বুঝে গেছে!"ঠিক তখনই একটা মেইল নোটিফিকেশন ভেসে উঠল, "তোমার পকেট চেক করো।"আদনান দ্রুত পকেটে হাত দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে গা শিউরে উঠল। একটা ছোট USB ড্রাইভ। কিন্তু সেটা কবে, কিভাবে এল?সালমান ফিসফিস করে বলল, " সে আমাদের এত কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যে আমরা জানতেই পারিনি।"আদনান চোখ বন্ধ করলেন, তারপর ফিসফিস করে বললেন,"গেমের এন্ডগেম শুরু হয়ে গেছে।"
সকাল ৮:১০ মিনিটে আদনান থমথমে চোখে USB ড্রাইভটা ঘুরিয়ে দেখছিলেন। সালমান দ্রুত ল্যাপটপ খুলে বলল, "এটা খুলব?" "না," আদনান মাথা নাড়লেন। "এটা একটা ফাঁদ হতে পারে। আমাদের আগে বুঝতে হবে, এটা কে দিল।" সালমান ড্রাইভটাকে স্ক্যান করতে লাগল। "ভাই, এটা এনক্রিপটেড, কিন্তু ভিতরে একটা মাত্র টেক্সট ফাইল আছে!"
"ফাইলটা খুলতে পারবি?"
"চেষ্টা করি।" সালমান এনক্রিপশন ভাঙার জন্য কোড চালু করল। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্রিনে ফাইলের কন্টেন্ট ভেসে উঠল,"তোমরা এখনো বুঝতে পারোনি, তোমাদের চারপাশেই আমি। এবার সত্যি শেষের খেলা শুরু হবে।" সঙ্গে একটি লোকেশনের লিঙ্ক।
"এটা কোথায়?" সালমান দ্রুত গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখে বলল, "গাজীপুরের এক পুরনো পরিত্যক্ত কারখানা!" আদনান দাঁড়িয়ে গেলেন। "আমরা যদি সত্যিই ডেডলককে ধরতে চাই, তাহলে আমাদের এখানেই যেতে হবে। কিন্তু সাবধানে, ওর খেলা সহজ হবে না।"
গাড়িতে করে কারখানায় যাওয়ার পথে। "সালমান হঠাৎ বলল, 'ভাই, মনে পড়ে ২০১৮ সালে আমরা সেই সাইবার ক্যাফেতে কত হ্যাকার ধরে ছিলাম?' আদনান হেসে বলল, 'হ্যাঁ, তুই তখন বার্গার খেয়ে কি অবস্থা করেছিলি!' দুজনের হাসি গাড়ির জানালা দিয়ে বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।"গাজীপুর রাত ১১:৪৫ টায় পুরনো কারখানার ভিতরে সবকিছু অন্ধকার। "কারখানার ভিতরে ঢুকতেই আদনানের নাকে এল পচা তেলের গন্ধ। দেয়ালজুড়ে মাকড়সার জাল, আর মেঝেতে পড়ে থাকা রাস্টেড মেশিনপার্টস দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো "দুঃস্বপ্নময় চলচ্চিত্রের দৃশ্যপট।" বাইরে কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। সালমান ফিসফিস করে বলল, "ভাই, খারাপ লাগছে। এটা একটা ফাঁদ হতে পারে।"আদনান পিস্তল হাতে এগিয়ে গেলেন। "ডেডলককে ধরতে হলে আমাদের ঝুঁকি নিতেই হবে।" ভিতরে ঢুকে দেখলেন, একটা বিশাল মনিটরে এক লাইভ ভিডিও চলছে। স্ক্রিনে একজন মুখোশধারী ব্যক্তি বসে, যার পেছনে সারি সারি সার্ভার ঝলঝল করছে।
"অবশেষে চলে এলে, গোয়েন্দা!"
আদনান মনিটরের দিকে তাকিয়ে বললেন, "তুমি আসলেই কি সিরিয়াল কিলার, নাকি অন্য কারও জন্য কাজ করছো?"
তুমি কি সত্যিই মনে করো, সব সিদ্ধান্ত মানুষ নিজে নেয়? না নেয় না, ডেডলক বললেন।
"মানে?"
"মানে, এই দেশটা আসলে কার হাতে? সরকার? না, বড় কর্পোরেশন? যারা তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই ক্ষমতায় থাকে। আমি শুধু খেলায় ভারসাম্য আনছি।"
সালমান ফিসফিস করে বলল, "ভাই, এই লোক তো পুরো দেশের ডিজিটাল সিস্টেম ধ্বংস করতে চায়!"
ডেডলক হেসে উঠল, "তোমরা কি সত্যিই থামাতে পারবে?"ডেডলকের কণ্ঠে হঠাৎ করেই রাগ ফুটে উঠল, "আমার বাবা ছিলেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সরকার তাকে ফ্রেম করে জেলে পুরেছিল, কারণ তিনি তাদের দুর্নীতির কথা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন! এখন আমি তাদের সিস্টেমই ধ্বংস করব!" ঠিক তখনই, চারপাশের বাতি জ্বলে উঠল। সশস্ত্র লোকেরা চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলল তাদের! "আমরা ধরা পড়ে গেছি," সালমান ফিসফিস করল। ঠাস! একটা বুলেট সোজা গিয়ে মনিটর ভেঙে দিল! একটি ছায়ামূর্তি দরজা দিয়ে ঢুকল, হাতে বন্দুক। "খেলা এখানেই শেষ, ডেডলক!"
আদনান চমকে উঠলেন। "তুমি!" ছায়ামূর্তি সামনে এল বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের প্রধান ইফতেখার আহমেদ! তিনি বললেন, "ডেডলক কোনো একক হ্যাকার নয়। এটি একটি শ্যাডো অর্গানাইজেশন যারা সরকারের ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কিনে নিতে চায়! তারা ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড, হাসপাতাল সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেবে।" আদনান চমকে বললেন, "তাহলে এতদিন তুমি জানতেই?" ইফতেখার মাথা নাড়লেন। "আমরা জানতাম, কিন্তু ধরতে পারিনি। ডেডলক হাসল। "তুমি কি মনে করো, এটা আমার শেষ চাল?" তার চোখে এক ভয়ানক দৃষ্টি ফুটে উঠল। ঠিক তখনই কারখানার ভিতরে প্রবল বিস্ফোরণ! আদনান ও সালমান দ্রুত লাফিয়ে বেরিয়ে আসলেন, কিন্তু পুরো বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেল। ডেডলক কি মরে গেছে?সকাল ৫:৪৫ মিনিট সাইবার ক্রাইম ইউনিটের হেডকোয়ার্টারে বসে আদনান গভীরভাবে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছেন। ডেডলকের অস্তিত্ব কি সত্যিই শেষ? ঠিক তখনই একটি নতুন ইমেইল এল। "তোমরা হয়তো ভাবছো, খেলা শেষ কিন্তু আসল খেলা তো এখন শুরু হলো। আমি ছিলাম, আছি,থাকব" প্রেরকঃ ডেডলক।
______________________________________________________________________________________
ইয়াছিন ইবনে ফিরোজ
অর্থনীতি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন