Featured Post
পুরাণের গল্প ।। বলরাম অবতারের কথা ।। দীপক পাল
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বলরাম অবতারের কথা
দীপক পাল
দশাবতারের অষ্টম অবতার হলেন শ্রীকৃষ্ণের অগ্রজ হলধর বলরাম। তিনি পূজারী ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের। মহাভারতে ভালো লাগার মতো অনেক চরিত্র থাকলেও নিরপেক্ষ ও নিষ্কলঙ্ক চরিত্র এক মাত্র বলরামেরই। ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির অর্ধসত্য বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণ পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছেন, ভীম ও অন্যায় যুদ্ধ করেছেন যা বলরামের ঘৃণার উদ্রেক করেছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সবাই যখন উম্মত্ত তখন বলরাম সারা ভারতে তীর্থ ভ্রমণে ব্যস্ত। এহেন চরিত্রের অবতার রূপে পূজা পাবার কারণ তিনি সর্বলোক হিতকর চাষ প্রথা হল যোগে প্রবর্তন করেছেন ও দ্বাপর যুগ থেকে লাঙল ও মুষল সহ অবতার রূপে পূজা পেয়ে আসছেন। বর্তমান হাল যোগে যে চাষ প্রথা প্রচলিত রয়েছে তার আবিষ্কার করেন বলরাম স্বয়ং। হল চালনায় মাটির যে বড় বড় ঢেলা বা চাঙর উঠেছিল তা ভাঙার জন্য তিনি মুগুর ও আবিষ্কার করেন।
লাঙল দিয়ে চাষ প্রথা প্রবর্তনের আগে লোক সংখ্যা অল্প থাকায় 'জোম' প্রথা প্রচলিত ছিল। কিছু জায়গা খুঁড়ে গর্ত করে তখনকার আবিষ্কৃত খাদ্য বীজ তার মধ্যে রেখে মাটি চাপা দেওয়া হতো। আর সেই বীজ অংকুরিত হয়ে যথা সময় ফল ও শস্য জন্মালে সে সময় যেটি সংগ্রহ করার উপযুক্ত হতো তা কেটে নেওয়া হতো। সমাজ পত্তনের আদি অবস্থায় এ প্রথা ই প্রচলিত ছিল। যারা এ কাজ করতো তাদের ' জমিয়া ' বলা হতো। সমাজ সভ্যতার দিকে এগোতে গিয়ে এ প্রথা লোপ পেয়েছিল। সম্ভবত কোদাল দিয়ে বেশী করে মাটি খুঁড়ে শস্য উৎপাদন করা হতো। বলরাম লাঙল প্রথা আবিষ্কার করে সেই অভাব দূর করেন। এখানেই বলরাম অবতারের বিশেষত্ব। সহস্র প্রথায় কৃষিকার্য সুপ্রচার করে, অন্নের সুব্যবস্থা করে তিনি সমগ্র ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা পাশে বেঁধে রেখে গেছেন। তাই তিনি আমাদের কাছে ভগবান রূপে পূজিত।
-০-০-০-০-০--০-০-০-০-
Dipak Kumar Paul,
DTC Southern Heights,
Block-8, Flat-1B,
Diamond Harbour Road,
Kolkata - 700104.
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন