রূপলু আর নীল পাখি
সোমা চক্রবর্তী
রূপলু বাবাকে বললো,
- একটা গল্প বলো।
বাবা গল্প বলতে শুরু করলো,
- সমুদ্রের ধারে এক যে ছিল পাখিদের দেশ। তার নাম ক্রৌঞ্চদ্বীপ। সেখানে থাকে শুধু পাখিরা। সেখানে জলে পাখি, ডাঙায় পাখি, গাছের ডালে পাখি, নদীর পাড়েও পাখি। সেই দেশের রাজা হলো এক মস্ত সোনালী ঈগল।
- আর রাণী?
রূপলু জিজ্ঞেস করলো।
- রাণী হলো এক মস্ত বাদামী ঈগল। লাল পুঁতির মতো তার দুই চোখ। রাজা ঈগল আর রাণী ঈগল সমুদ্রের ধারে একটা বিশাল পাথরের ওপর বসে বসে তাদের রাজত্ব চালায়। দেশের সব সমস্যার সমাধান করে।
- পাখিদের দেশেও সমস্যা হয়?
- হয় তো। তবে তা মানুষের দেশের থেকে অনেক কম।
- কি কি সমস্যা হয় সেখানে?
রূপলু জানতে চাইলো। পাখিদের দেশে সমস্যা থাকাটা তার ভালো লাগছে না, এটা স্পষ্ট বোঝা গেলো। বাবা একটু ভেবে নিয়ে বললো,
- ওই তো, ধরো, কোনো ছোট পাখিকে বড়ো পাখি বিরক্ত করেছে, বা তার খাবার খেয়ে নিয়েছে। কিম্বা দুই শক্তিধর পাখি নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে- এই সব।
- যাঃ। এতো আমাদের স্কুলের মতো হয়ে গেলো।
- মানে?
বাবা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
- হয় না? এই যে কাল অনিরুদ্ধ, বৈজয়ন্তীর টিফিন খেয়ে নিল। অরিত্র আর নির্মাল্য সবসময় মারামারি করে। প্রিয়াঙ্কাও সবার সঙ্গে খুব ঝগড়া করে, সবার চুল টেনে দেয়।
- আর তুমি?
মা এবার পাশে এসে শুয়েছে। মুখ টিপে হেসে জিজ্ঞেস করছে রূপলুকে। রূপলু এবার বেজায় রেগে গেলো।
- মোটেই আমি ঝগড়া করি না। প্রিয়াঙ্কা আমার লাল রঙের পেনসিলটা হারিয়ে ফেলেছিলো টিফিনের সময়, সেইজন্যই তো...
কথাটা শেষ হলো না। রূপলুর গলাটা একটু দমে গেলো। সেদিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে একটু ঝগড়া সে করেছিলো বটে। রূপলু আবার মিথ্যে বলা একেবারে পছন্দ করে না। তাই স্বীকার করতেই হলো। বাবা-মা হেসে ফেললো। বাবা বললো,
- ঠিক আছে, ঠিক আছে। একটু ঝগড়া না হলে বন্ধুত্বের রঙ গাঢ় হয় না।
- বন্ধুত্বের রঙ কি বাবা?
- সে একটা দারুণ রঙ। বন্ধুদের মধ্যে যতো ভালবাসা, যতো বিশ্বাস, ততো এই রঙ ফুটে বেরোয়। তোর রঙের বাক্সে কিন্তু এই রঙ পাবি না, বুঝলি?
- তাই বলে পাখিদের দেশে পাখিদের মধ্যেও আমাদের মতো ঝগড়া হবে, এটা আমার ভালো লাগছে না।
- বাঃ। ঝগড়া হলেই তো রাজা আর রাণী তাদের মিলমিশ করিয়ে দেয়। এইটুকু কাজ না থাকলে, তাদের রাজাগিরি, রাণীগিরি চলবে কি করে বলতো?
- রাজাগিরি, রাণীগিরি কি?
- রাজা আর রাণীদের কাজ।
- না। এই গল্পটা ভালো লাগছে না।
- আচ্ছা, তুমি শোনো না পুরোটা।
রূপলু চুপ করে রইল। বাবা আবার শুরু করলো,
- পাখিদের দেশে তো শুধুই পাখি। কতো যে তাদের নাম আর কতো যে তাদের রঙ। লাল পাখি, নীল পাখি, হলুদ পাখি, সবুজ পাখি। খয়েরী, বাদামী, সোনালী, কালো, সাদা, আকাশী, গোলাপী হরেক রঙের পাখি। সবার আলাদা আলাদা থাকার জায়গা। সবার আলাদা ডাক, আলাদা খাবার। কেউ গান গায়, কেউ মানুষের মতো কথা বলে, কেউ আকাশের নীলে উড়ে চলে যায়, কেউ দুই পায়ে ভীষণ জোরে দৌড়াতে পারে, কেউ বা সাঁতার দিয়ে মাঝ সমুদ্রে চলে যায়, কেউ আবার ডুব সাঁতারে মহা ওস্তাদ। সবাই আলাদা আলাদা রকমের বাসা বানায়। এই পাখিদের মধ্যে কেউ কেউ উড়তে উড়তে কখনো কখনো মানুষের দেশে চলে আসে। মানুষের বাড়ির বাগানের গাছে এসে বসে। মানুষরা কি করে, কি বলে, অবাক হয়ে সেই সব দেখে আর শোনে। তারপর নিজের দেশে ফিরে গিয়ে বন্ধু পাখিদের গল্প শোনায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ছিল একটা ছোট্ট নীল পাখি। মানুষের দেশে আসতে তার ভারী ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই সে ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে আসে মানুষের দেশে। আর এই ভাবে আসতে আসতে তার বন্ধুত্ব হয়ে গেলো রূপলুর মতো একটা ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে।
বাবা দেখলো রূপলু ঘুমিয়ে পড়েছে। অতঃপর শুয়ে শুয়ে ঘরের ছাদের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে বাবা গল্পের শেষটুকু ভাবতে লাগলো।
**
দুপুরবেলা ঘরের কাজ সারতে মায়ের যেটুকু সময় লাগে, সেই সময়টা বিছানায় বসে বসে রূপলু ওর আঁকার খাতায় ছবি আঁকে। আঁকার দিদিমনির শেখানো আঁকা গুলো আঁকতে রূপলুর একদম ভালো লাগে না। এই সময়টা ও তাই নিজের মনের থেকে ছবি আঁকে। আজ বসে বসে রূপলু একটা ছোট্ট নীল পাখির ছবি আঁকছিলো। একটা সমুদ্রের ধারে বড়ো একটা গাছ। তাতে লাল রঙের অনেক ফল হয়েছে। সেই গাছের ডালেই বসে আছে ছোট্ট নীল পাখিটা। মন দিয়ে পাখিটার গায়ে নীল রঙের প্যাস্টেলটা ঘসছিলো রূপলু। হঠাৎ শুনলো কে যেন চাপা গলায় ওকে ডাকছে,
- রূপলু, এই রূপলু ...
রূপলু মুখ তুলে দেখে, ওমা! জানলার বাইরে একটা ছোট্ট নীল পাখি বসে আছে। আরে, কি আশ্চর্য! ওই নীল পাখিটাই তো ডাকছে রূপলুকে। একবার আঁকার খাতার পাতায় আর একবার জানলার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো রূপলু। পাখিটা অবিকল রূপলুর আঁকা পাখিটার মতো দেখতে।
- তুমিই কি আমায় ডাকছো?
- হ্যা৺। আমিই ডাকছি।
- তুমি মানুষের ভাষায় কথা বলতে পারো?
- না পারলে তুমি বুঝতে পারছো কি ভাবে?
- তাই তো। কিন্তু কে তুমি?
- আমাকে চিনতে পারছো না?
- না তো।
- আমি তো তোমারই আঁকা নীল পাখি।
- এমা। তাই কি আবার হয়?
- হয় তো। আসলে আমার বাড়ি সেই ক্রৌঞ্চদ্বীপে। আমি সেখান থেকেই এসেছি। কিন্তু তুমি তো আমাকেই আঁকছিলে, তাই না? আর আমার কথাই তো ভাবছিলে?
- তুমি কি করে বুঝলে?
- কেউ খুব মন দিয়ে আমার কথা ভাবলে আমি বুঝতে পারি। তুমি আমার ছবি আঁকছিলে, আমার কথা ভাবছিলে। তাই আমি তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে এলাম।
- কি মজা। আজ থেকে আমরা বন্ধু?
- নিশ্চয়ই। একদম আসল বন্ধু।
- আচ্ছা, তাহলে তোমার দেশের গল্প বলো আমায়।
- আমার দেশ তো ভীষণ সুন্দর। কতো গল্প আর তার বলবো। তার চেয়ে এক কাজ করলে কেমন হয়? তুমি আমার সঙ্গে চলো। তোমাকে আমি আমার দেশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। তুমি নিজের চোখেই দেখে আসবে।
- সে তো অনেক দূর!
- তা তো অনেক দূর।
- তাহলে সেখানে যাবো কি করে?
- কেন? আমার পিঠে চড়ে।
- তোমার পিঠে করে? তুমি তো এইটুকু ছোট্ট।
হেসে ফেললো রূপলু। কিন্তু নীল পাখি গম্ভীর গলায় বললো,
- হাসির কথা নয়। যাবে কিনা বলো। গেলেই দেখতে পাবে কিভাবে যাওয়া হয়।
- যেতে তো খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু এক্ষুনি যে মা এসে পড়বে।
- মা আসার আগেই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাবো।
- যাঃ। তা কি করে হবে? মা তো এক্ষুনি চলে আসবে।
- আমাদের দেশের সময় আর তোমাদের সময় এক রকম নয়। আমাদের সময় অনেক তাড়াতাড়ি চলে। দেখবে, তোমার মা এসে পড়ার আগেই আমরা ফিরে আসবো। যাবে?
রূপলুকে আর পায় কে! এবার সে তক্ষুনি রাজি। নীল পাখি বললো,
- তাহলে তুমি জানলাটা দিয়ে বেরিয়ে এসো তাড়াতাড়ি।
- এই জানলাটা দিয়ে?
- হ্যা৺। তাড়াতাড়ি করো।
জানলার ছোট ছোট গরাদ গুলোর দিকে তাকিয়ে রূপলু হতাশ হয়ে পড়লো। বললো,
- এই জানলা দিয়ে বেরোবো কি ভাবে?
- ঠিক পারবে। তুমি জানলার কাছে এসো তো আগে।
রূপলু খাট থেকে নেমে জানালাটার সামনে এসে দাঁড়ালো। ওমা জানালা কোথায়? এতো দিব্যি দরজার মতো বড়ো। আর গরাদ টরাদ কিচ্ছু নেই। অনায়াসে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলো রূপলু। দেখলো, সামনেই নীল পাখি। রূপলুকে বললো,
- শিগগিরই আমার পিঠে উঠে বসো।
নীল পাখির পিঠে উঠে বসলো রূপলু।
- কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো?
- না নীল পাখি। খুব মজা লাগছে।
- বেশ। এবার তাহলে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করি?
- পড়ে যাবো না তো?
- পড়বে কেন? শক্ত করে ধরে থাকো আমায়।
নীল পাখি ধীরে ধীরে আকাশে উড়ে গেলো ঘুড়ির মতো। প্রথমে আস্তে, তারপর জোরে... আরো জোরে। রূপলুর কানের পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই করে হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। হাওয়ায় বেগে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চোখ। নীল পাখি বললো,
- রূপলু, নীচের দিকে তাকিয়ে দেখো।
অনেক কষ্ট করে চোখের পাতা দুটো খুলে নীচের দিকে তাকালো রূপলু। কি সুন্দর সবুজ রঙের একটা উপত্যকার ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে নীল পাখি। রূপলু একবার প্লেনে করে আগরতলা গেছিলো। প্লেনের জানালা দিয়ে নীচের পৃথিবীটা যেরকম দেখেছিলো, ঠিক সেইরকম লাগছে ওর। আনন্দে আত্মহারা হয়ে ও বলে উঠলো,
- কি মজা।
- দেখো, আমাকে শক্ত করে ধরে রেখো। ছেড়ে দিলেই কিন্তু বিপদ।
রূপলু তাড়াতাড়ি নীল পাখির পিঠের পালক চেপে ধরলো। উড়তে উড়তে কিছুক্ষণ পর সমুদ্রের ওপর এসে পড়লো নীল পাখি। এতো উঁচুতে রয়েছে ওরা যে, সমুদ্রটাকে একটা গামলার মতো দেখতে লাগছে। রূপলুর কিন্তু ভয়ডর কিছু লাগছে না। নীল পাখির গলা জড়িয়ে ধরে ও জিজ্ঞেস করলো,
- আর কতক্ষণ লাগবে গো তোমাদের দেশে পৌঁছাতে?
- সমুদ্রের ওই পারেই আমাদের দেশ।
**
নীল জল, হলুদ বালি, সবুজ অরণ্য। মধ্যখানে মস্ত বড়ো উঁচু পাহাড়। এই হলো ক্রৌঞ্চদ্বীপ। ঢেউয়ের মাথায় মাথায় সাদা ফেনা, সবুজ গাছে পাকা ফল আর রঙ বেরঙের ফুল। হলুদ বালিতে নানা রঙের পাথর আর ঝিনুক ছড়িয়ে আছে। নীল পাখি রূপলুকে দেখিয়ে দিল, মস্ত পাহাড়ের মাথায় বিরাট বিরাট দুটো পাখি বসে রয়েছে। সূর্যের আলোয় একজনের সোনালী পালক ঝলমল করছে। আর একজনের গাঢ় বাদামী পালক চকচক করছে। বড়ো বড়ো পুঁতির মতো চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারা খেয়াল রাখছে সারা দেশটার। নীল পাখি রূপলুকে বললো,
- চলো, তোমাকে আমাদের দেশটা ঘুরিয়ে দেখাই।
প্রথমে পড়লো লাল পাখির দেশ। এরা মানুষের মতো কথা বলতে পারে। বালির মধ্যে গর্ত করে থাকে। এই দেশের সর্দার হলো ঝুঁটিওয়ালা এক বিরাট পাখি। টকটকে লাল রঙের পালক, লাল ঠোঁট, লাল ঝুঁটি। শুধু চোখ আর পা দুটো কুচকুচে কালো। লাল পাখির দেশে ফল লাল, ফুল লাল, সবকিছু লাল রঙের। এখানে অনেক খেলা করার পর, নীল পাখি বললো,
- আর নয়। এবার চলো। বাকি দেশটাও দেখতে হবে তো।
লাল পাখির দেশ থেকে বেরিয়ে রূপলু জিজ্ঞেস করলো,
- তোমাদের দেশের রাজা আর রাণী তো ঈগল পাখিরা। তাহলে আবার সর্দার কেন?
- রাজা আর রাণী তো সবসময় সব জায়গায় থাকতে পারে না। তাই সর্দাররা ছোট ছোট জায়গার দায়িত্বে থাকে। ছোটখাটো জিনিস তারাই সামলায়। বড়ো কিছু হলে রাজা আর রাণীর কাছে সেই কথা পৌঁছায়, বুঝলে?
- বুঝলাম। সব আমাদের মানুষের মতোই।
- খানিকটা। তবে, তোমাদের মতো আমাদের মধ্যে অতো হিংসা নেই। একে অপরের ক্ষতি করেও না, ক্ষতি করার কথা ভাবতেও পারে না।
- তা হবে।
রূপলু বললো।
লাল পাখির দেশের পর একে একে হলুদ পাখি, সবুজ, সাদা, কালো পাখির দেশ ঘুরে বেড়ালো রূপলু। এখন শুধু বাকি নীল পাখির দেশ দেখা। এর মধ্যেই রূপলুর হাত আর জামার পকেট ভরে উঠেছে পাখিদের দেওয়া নানা উপহারে। রঙীন পাথর, ঝিনুক, বাহারি পালক, ফল, ফুল, গাছের পাতা, এই রকম আরো কত কি! নীল পাখির দেশে যাবার পথে রূপলু দেখলো, সমুদ্রের ওপারে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। আর কলসী কলসী রঙ কে যেন ঢেলে দিয়েছে সমুদ্রের নীল জলে। কমলা, গোলাপী, হলুদ আর লাল রঙে যেন হোলি খেলায় মেতেছে সমুদ্র। এত রঙ দেখে রূপলুর হঠাৎ মায়ের জন্য ভীষণ মন কেমন করে উঠলো। ও নীল পাখিকে বললো,
- সন্ধ্যা হয়ে গেলো যে নীল পাখি। আমার মা যে আমার জন্য ভাববে এবার। কতো দেরী হয়ে গেলো।
- দেরী একটু হয়েছে বটে, তবে এমন কিছু না। তুমি আমার দেশে যাবে না রূপলু? আমাদের নীল পাখিদের দেশই কিন্তু এখানকার সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।
- আজ আর যাবো না, নীল পাখি। আজ বাড়ি যাই। আর একদিন তুমি নিয়ে এসো আমাকে। সেদিন শুধু তোমার দেশেই যাবো আমি। সারাক্ষণ সেখানেই থাকবো।
- কথা দিচ্ছো তো? রাখবে সে কথা?
- হ্যাঁ। কথা রাখবো নীল পাখি। আমার বাবা বলেছে, বন্ধুত্বের মধ্যে যতো ভালবাসা, যতো বিশ্বাস, বন্ধুত্বের রঙ ততো গাঢ় হয়। আমি আমাদের বন্ধুদের রঙ গাঢ় করে রাখবো। ফিকে হতে দেবো না, তুমি দেখো।
- রূপলু, এই রূপলু, রূপলু মা। ওঠো তো দেখি। কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ঘুম আর ভাঙতে চায় না মেয়ের।
বলতে বলতে মা রূপলুর কাছে এসে দেখে, সে আঁকার খাতাটা মাথার নীচে দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে। খাতা খানা টেনে নিয়ে মা দেখলো, কত কি এঁকেছে রূপলু। সমুদ্র, বালি, অরণ্য, নানা রঙের পাখি, পাথর, ঝিনুক, পাখির পালক, রঙ বেরঙের ফল আর ফুল। এ আবার কেমন ধারা আঁকা। অবাক হয়ে দেখতে থাকে মা। দেখতে দেখতে বুঝতে চেষ্টা করে এই সব কি এঁকেছে ছোট্ট মেয়েটা!
ওদিকে ঘুম ভেঙে উঠেই রূপলু মা'কে জিজ্ঞেস করলো,
- নীল পাখি আমাকে কখন বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেলো মা?
_____________________________________________________________________________________________________
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন