Featured Post

লেখা-আহ্বান : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য

ছবি
     মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@

কল্প বিজ্ঞানের গল্প ।। জীবনদাতা ।। মিঠুন মুখার্জী

 

       [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]

             

                     জীবনদাতা

                      মিঠুন মুখার্জী


আজ আমি যার কথা লিখতে বসেছি তাঁর সাথে বছর দশেক আগে আমার কলকাতার জাদুঘরে দেখা হয়েছিল। বড়ই অদ্ভুত স্বভাবের মানুষ। পরনে একটা রামধনু রং-এর পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা। মাথার সব চুল দুধের মত সাদা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো গালে দাড়ি-গোঁফ। চোখে পুরু লেন্সের চশমা। সারা মুখে আট-দশটা দাঁত আছে। পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি উচ্চতা। গায়ের রং নাতিফর্সাকালো। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। আবিষ্কার করেছেন অনেক বিষয়, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না। সকলে তাঁকে প্রফেসর অর্জুন নামে চেনেন। কিন্তু তাঁর আসল নাম প্রফেসর নাগার্জুন শর্মা। বাবার নাম কৃষ্ণার্জুন শর্মা। তিনিও খুব বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। নিজের বাড়িতেই গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরী বানিয়ে নিয়েছেন। একবার নিজের সামান্য ভুলের জন্য এক বিস্ফোরণে ল্যাবরেটরিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। তারপর অনেক কষ্টে পুনরায় প্রায় ভষ্মিভূত হয়ে যাওয়া ল্যাবরেটরি সংস্কার করেছেন। তিনি তাঁর কাজের সহযোগিতার জন্য মিস্টার সিরাজ খান নামের একজন গবেষক রেখেছেন। আর আছে বাড়ির চাকর ডমরুধর ও একটি পোষা কুকুর, নাম আইজ্যাক। গবেষণার স্বার্থে তিনি বিবাহ করেন নি।
          এ জগতে প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য যাকিছু প্রতিকূল তার বেশ কিছু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন প্রফেসর নাগার্জুন তাঁর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। তিনি আবিষ্কার করেছেন "কোল্ড কিওর" নামক একটি ট্যাবলেট, যেটি শীতপ্রধান দেশের মানুষেরা প্রচন্ড ঠান্ডায় খেলে বারো ঘন্টা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। অর্থাৎ ঠান্ডায় মরে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। "অক্সিজেন সলভ" নামক একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করেছেন, যেটি শ্বাসের সমস্যার হাত থেকে রোগীকে চিরতরে ভালো করে দেবে।"ভবিষ্যৎ দর্শন চশমা" নামক একটি চশমা আবিষ্কার করেছেন, যা পড়লে পরক্ষনেই কি হতে চলেছে তা তাঁর সামনে ভেসে উঠবে। প্রফেসরের এই আবিষ্কারটি সারা বিশ্বে তাঁকে যেমন প্রতিষ্ঠা দান করেছে, তেমনি এটির জন্য অনেক বিপদেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এই চশমা তাঁর কাছেই মাত্র পাঁচটি আছে। তৈরি করতে হীরের প্রয়োজন হয় বলে তাঁর আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এর বেশি তিনি বানাতে পারেননি।
         ছোটবেলা থেকেই প্রফেসর নাগার্জুন স্বপ্ন দেখতেন, বড় হয়ে এমন একজন বিজ্ঞানী হবেন যাকে সারাবিশ্ব চিনবে। চিরকাল মানুষের উপকারী বন্ধু হয়ে পাশে যেন দাঁড়াতে পারেন তা মনেপ্রাণে সংকল্প করেছিলেন। বাবা কৃষ্ণার্জুন শর্মা প্রফেসরকে সবসময় বলতেন --- " মানুষ জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছো, মানুষের উপকারে সর্বদা কাজ করে যেও। মনে রেখো, জীব সেবার মধ্যেই শিব সেবা লুকিয়ে আছে। এমন কোন ভুল জীবনে করো না, যেটির কারণে তুমি মানবজাতির কাছে লজ্জার কারণ হয়ে যাও‌" বাবার এই কথাগুলি প্রতিটি পদক্ষেপে মেনে চলতে চেষ্টা করতেন প্রফেসর নাগার্জুন। আজ তাঁর বয়স পঁচাত্তর বছর। এই এতগুলো বছরে অনেক ভালো-মন্দের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। নিজের মানুষেরা একে একে তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়া যেমন তাঁকে দুঃখ দিয়েছে, তেমনি নিজের আবিষ্কার মানুষের উপকারে লাগবে দেখে খুব আনন্দ পেয়েছেন তিনি। শুধু দুবার তাঁর একটু একটু ভুলের জন্য তাঁকে এখনো পর্যন্ত আফসোস করতে হয়।
         তখন প্রফেসরের বয়স পঞ্চাশ বছর। ইংল্যান্ডের রাজদরবার থেকে ডাক এসেছিল তাঁর। রানী এলিজাবেথের প্রচন্ড শ্বাসের সমস্যা। বিশ্বের অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখিয়ে ক্লান্ত রাজ পরিবার। তখন ভারত ইংরেজদের শাসনাধীন। ভারতীয়দের তাদের বিপক্ষে কথা বলার সাহস ছিল না। "অক্সিজেন সলভ" ট্যাবলেট এর আগে আমাদের দেশের অনেকের এই সমস্যার সমাধান করেছিল। যে খবর এদেশের খবরের কাগজে ছেপেছিল। সেই সময় এ দেশে থাকা ইংরেজ গভর্নর লর্ড ক্লাইম্যাক্স-এর চোখে পড়েছিল এই খবরটি। তিনিই ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারকে এই তথ্য জানিয়েছেন। লর্ড ক্লাইম্যাক্স নিজে প্রফেসরের বাড়িতে এসেছিলেন। রানীর শ্বাসের সমস্যার কথা সব খুলে তাঁকে বলেন। তাঁকে ইংল্যান্ডে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রফেসর যেতে রাজি হননি।  তিনি চাননি তার আবিষ্কৃত ঔষধ ইংরেজদের কোন উপকারে আসুক। কারণ, পেশী শক্তির বলে দরিদ্র ভারতবাসীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে শাসন করছে যে ইংরেজরা, তাদের উপকারে তাঁর কোন আবিষ্কার লাগুক তা তিনি চাননি। তিনি যেতে রাজি না হওয়ায় একপ্রকার জোর করেই ক্লাইম্যাক্সের দলবল প্রফেসরকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যান। প্রফেসর সঙ্গে করে নিয়ে যান তিনটি "অক্সিজেন সলভ", দশটি "কুইক সেন্সলেস" ট্যাবলেট ও একটি "ভবিষ্যৎ দর্শন চশমা"।
            প্রফেসর ও লর্ড ক্লাইম্যাক্স লন্ডনের বিমানবন্দরে নামার পর রাজকীয় সংবর্ধনা জানানো হয় তাদেরকে। একটা কালো রঙের ফোর্ড গাড়িতে প্রফেসরের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আগে-পিছে ঘোড়ায় চড়ে রানীর প্রশাসনিক কর্তারা ও মধ্যে গাড়িতে নাগার্জুন শর্মা ও গভর্নর লর্ড ক্লাইম্যাক্স। রাজবাড়ীতে ঢোকার সময় দুপাশ থেকে রানীর সকল সভাসদরা প্রফেসরের এই আবিষ্কারকে নিয়ে ধন্য ধন্য করছিলেন আর সুন্দরী নারীরা পুষ্পবৃষ্টি করছিলেন।
          রাজপ্রাসাদের একটা অতি মনোরম কক্ষে প্রফেসরের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি প্রথমেই রানীকে দেখার জন্য রানীর ঘরে যান। রানীর কষ্ট দেখে প্রফেসরের চোখের কোনে জল দেখা যায়। তিনি যতই মনস্থির করুক তাঁর আবিষ্কার ইংরেজদের দেবেন না, তাঁর ভেতরের নরম মানুষটি সেটি পারেননি। অ্যাজমা বা শ্বাসের রোগ যে কি ভয়ঙ্কর, তা যাদের নেই তারা বুঝবেন না। পকেট থেকে ট্যাবলেটের বোতলটি বের করে একটি "অক্সিজেন সলভ" ট্যাবলেট রানীর পরিচারিকার হাতে দেন প্রফেসার এবং চুষে চুষে রানী যাতে খান তার ব্যবস্থা করতে বলেন। রানী শ্বাসের সমস্যায় ঠিকমত কথা বলতে পারছিলেন না। এরপর পরিচারিকা ট্যাবলেটটি রানীর মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন এবং রানীকে সেটি চুষে চুষে খাওয়ার কথা বললেন। রানী কোনরকমে টেবলেটটি চুষে চুষে খেয়ে নিলেন। এরপর প্রফেসর বললেন --- "এক ঘণ্টার মধ্যে শ্বাসের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। আর কোনদিন ভুগতে হবে না। শ্বাসের সমস্যা টা টা বাই বাই।" এরপর নিজের থাকার ঘরে চলে গিয়ে বিশ্রাম নেন তিনি। সন্ধ্যা সাতটার সময় প্রফেসরের ডাক পড়ে। রানী এলিজাবেথ তাঁকে ডাকছেন। প্রফেসর রানির ঘরে গিয়ে দেখেন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। দেখে বোঝার উপায় নেই কিছুক্ষণ আগে তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কি কষ্টই না পাচ্ছিলেন। এরপর রানী প্রফেসরকে বসতে বললেন। তারপর বললেন--- "আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যই আমি আবার নতুন জীবন ফিরে পেলাম। আপনার এই ঔষধটি সারা বিশ্বের মানুষের উপকারে লাগতে পারে। আমি চাই, আপনাকে রাজ বৈদ্য ও বিজ্ঞানী করে আমার প্রাসাদে রেখে দিতে। তার জন্য মাসিক বেতন আপনি নিজেই ঠিক করবেন। আপনার জন্য একটা ল্যাবরটরি এখানে নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আপনি যা যা ভারতে আবিষ্কার করেছেন, তা এখানে করবেন। প্রথমেই ঔষধগুলোর ব্যবহার আমার দেশের মানুষের জন্য করতে হবে। এদেশের মানুষকে বাঁচিয়ে যদি বেশি উৎপন্ন করা যায় তবে বিদেশীরা পাবেন। আর ইন্ডিয়ায় আমাদের যারা আছেন তাদেরকেও এখান থেকে ঔষধ সরবরাহ করতে হবে। আপনি রাজি তো?" এরপর বিস্ময়ের সঙ্গে প্রফেসর জানান --- "আমি একেবারে রাজি নই। আমি যে দেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে বড় হয়েছি, বিজ্ঞানী হয়েছে, সেই দেশের সাথে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবোনা। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি সবার প্রথম ভারতীয়দের উপকারে এই ঔষধ ব্যবহার করেছি এবং ভবিষ্যতেও করতে চাই। তারপর অন্য দেশকে।" রানী এলিজাবেথ প্রফেসরের কথা শুনে প্রচন্ড রেগে যান। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রফেসরকে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তখন তিনি প্রহরীকে ডেকে প্রফেসরকে বন্দী করতে বললেন। প্রহরীরা ছুটে আসতেই "কুইক সেন্সলেস" নামের একটি ট্যাবলেট প্রফেসর গুঁড়ো করে প্রহরীদের দিকে উড়িয়ে দেন, কিছুক্ষণের মধ্যে প্রহরীরা অজ্ঞান হয়ে যায়। আরেকটি ট্যাবলেট রানীকে উদ্দেশ্য করে উড়িয়ে দেন তিনি, রানীও মুহূর্তের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যান। সেই সুযোগে প্রফেসর রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে যান। যেই তাঁর কাছে যান সেই ওই ওষুধের গুনে অজ্ঞান হয়ে যান।
            এর পর প্রফেসর একটি গাড়ি ধরে সোজা এয়ারপোর্টে চলে আসেন। এদিকে রানী ও তাঁর লোকেদের জ্ঞান ফিরলে তাঁরা প্রফেসরকে ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। কিন্তু তাদের এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর দশ মিনিট আগেই প্রফেসর কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। তাঁর শুধু আফসোস থেকে যায় তাঁর সৃষ্ট ঔষধ ইংরেজদের উপকারে লেগেছে।
          আর একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল প্রফেসর নাগার্জুনের। সেই বছরটা যথাসম্ভব ১৯৪০ ছিল। একটি গবেষণার কাজে তিনি ফ্রান্সে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সহকর্মী গবেষক মিস্টার সিরাজ খান ও তাঁর কুকুর আইজ্যাক। প্যারিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।  বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রফেসর মিস্টার সিরাজ খানকে নিয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বিশ্ব কাঁপানো আবিষ্কার "ভবিষ্যত দর্শন চশমা" নিয়ে তিনি সবার সামনে বলবেন। এই আবিষ্কার ছিল সকলকে অবাক করে দেওয়ার। অনেকদিন আগে এই আবিষ্কারটা তিনি করলেও সকলের সামনে আনেননি। তিনি ভয় পেয়েছেন, কেউ যদি তাঁর কাছ থেকে এগুলি চুরি করে নেন, কিংবা আগাম ভবিষ্যৎ দেখলে কোন সমস্যার যদি উদয় হয়। কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর বাবা তাঁকে বলছেন--- "অর্জুন, তোর এই ভবিষ্যৎ দর্শনের চশমাটা মানুষের কাজে লাগা। আগাম ভবিষ্যৎ দেখতে পেলে অনেক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে। নিজেরা সাবধান হতে পারবে। অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তুই নিজের কথা চিন্তা না করে মানুষের কল্যাণে এই চশমাটি কাজে লাগা।" তারপর থেকে প্রফেসর চেয়েছিলেন তাঁর ফ্রান্সে যে আলোচনা সভাটি রয়েছে সেখানেই তিনি এই চশমাটা নিয়ে আলোচনা করবেন।
           আলোচনা সভার দিন। প্যারিসের সবচেয়ে সুন্দর হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ফ্রান্সের বড় বড় বিজ্ঞানী, দার্শনিক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন এই সভায়। অনুষ্ঠানটির হোস্ট ছিলেন উইলিয়াম সেন্ট নামের একজন ব্যক্তি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রিন্স জনসন, অ্যালিস্টার কুক; ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী বরিস জনসন ও জার্মানির পক্ষীবিজ্ঞানী মিস্টার আর্গাস। ভারত থেকে শুধু মিস্টার নাগার্জুন শর্মা। দুপুর বারোটা থেকে আলোচনা সভা শুরু হয়েছিল। বরিস জনসন, অ্যালিস্টার কুকের আলোচনার পর মিস্টার নাগার্জুন শর্মার সময় উপস্থিত হয়। আইজ্যাককে নিয়ে তিনি স্টেজে ওঠেন। আইজ্যাক স্টেজের চারপাশে ভালো করে শুখে এক পাশে এসে বসে। প্রফেসর মাইক্রোফোনে তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন। সভায় উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন প্রফেসর। তিনি বলেন --- "আমি ভারতবর্ষের একজন সাধারন বিজ্ঞানী, নাম মিস্টার নাগার্জুন শর্মা। আপনাদের সামনে আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনারা কোনদিন ভাবতেও পারেননি। অনেকদিন আগে এটা আবিষ্কার করলেও এই প্রথম এই বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে এসেছি। তবে এটার মূল্য এতই বেশি এবং ঝুঁকি এত বেশি কেউ চাইলে আমি এটা দিতে পারব না। তবে কারও মনে হলে সে একবার পরখ করে দেখতে পারেন। আমার আবিষ্কারের নাম "ভবিষ্যৎ দর্শন চশমা"। এই চশমাটি যিনি পড়বেন সেই মুহূর্তের মধ্যে তিনি দেখতে পারবেন কিছুক্ষণ পর তাঁর জীবনে কি ঘটতে চলেছে। এতে তিনি সাবধান হয়ে চলতে পারবেন। যেটা হওয়ার সেটা যে একেবারেই হবে না তা নয়। সাবধানতা অবলম্বন করলে সমস্যার হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পেতে পারেন।" এই বলে প্রফেসর নাগার্জুন তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে একটি হীরের তৈরি চশমা বের করলেন এবং সবাইকে দেখালেন। কি দিয়ে তিনি এটি তৈরি করেছেন সেটিও বললেন তিনি। দর্শকদের আসন থেকে তিনজনকে স্টেজে আসতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু কেউ যেতে সাহস করছিলেন না। যদি ভবিষ্যতের কোনো খারাপ বিষয় দেখে ফেলে, তাহলে কি করবেন -- এই ভেবে কেউই যাইনি। অবশেষে প্রফেসরের অনেক অনুরোধে মিস্টার কুক, বরিস জনসন ও মিস্টার আর্গাস স্টেজে গেলেন।
            প্রফেসর  নাগার্জুন প্রথমে রুমাল দিয়ে চশমাটি ভালো করে মুছে মিস্টার কুকের চোখে পরিয়ে দেন। চশমাটি পড়ার পর মিস্টার কুক দেখেন, তাঁর বাড়িতে না থাকার সুযোগে অন্য একটি পুরুষের সঙ্গে তাঁর পত্নী ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি ঘরের দরজা আচমকা খুলে এই দৃশ্য দেখে প্রচন্ড রেগে গিয়ে কোমরের বেল্ট খুলে তাদের দুজনকে প্রহার করতে থাকেন। এমন সময় ছেলেটি পিছন থেকে এসে একটা ফুলদানি নিয়ে তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করেন। তিনি মেঝের উপরে পড়ে যান। মাথা ফেটে প্রচন্ড রক্তপাত হয় এবং তিনি সেখানেই মারা যান। এরপর মিস্টার কুক ভয়তে চশমাটি হাত দিয়ে খুলে নেন। তিনি ঠান্ডার মধ্যেও ঘেমে যান। তিনি প্রচন্ড টেনশনে পড়ে যান। প্রফেসরকে বলেন-- "হে প্রফেসর, আমি যা দেখলাম তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার ইহজগতের মেয়াদ আজ শেষ। আমি তবে কি করি?" এরপর প্রফেসর  বলেন --- "যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেই জায়গায় আপনি আজ আর যাবেন না। এড়িয়ে যাবেন। নতুবা যা দেখেছেন তা সত্য হবে।" মিষ্টার কুক পুরো বিষয়টি যে ঘটতে পারে তা নিজেও বুঝেছেন। কারণ, তাঁর পত্নীর যে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক আছে সেটা সে অনেক দিন আগে থেকেই সন্দেহ করেছেন।
             এরপর প্রফেসর বরিস জনসনের চোখে চশমা পরিয়ে দিলেন। প্রথম প্রথম এই কালো চশমা চোখে দিয়ে বরিস অন্ধকার দেখছিলেন। তারপর হঠাৎ দেখলেন, লন্ডনের রাস্তা দিয়ে তিনি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার বিপরীত দিক থেকে একটি বাস প্রচন্ড স্পীডে তাঁর গাড়ির দিকে ছুটে আসছে। তিনি নিজের গাড়িকে ও নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন ও গাড়িটি একটি বড় গাছের সঙ্গে মেরে দেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পত্নী,দুই ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা প্রচণ্ড চিৎকার-এর সহিত কান্নায়  ভেঙে পড়েন। এই আঘাত সহ্য করতে না পেরে বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। বাবাও মারা যান।" এই ঘটনাগুলি দেখার পর চশমা পরা অবস্থায় বরিস জনসন 'না' বলে চিৎকার করে ওঠেন। প্রফেসর বুঝতে পেরে চশমাটি তাঁর চোখ থেকে খুলে নেন। চশমা খোলার পরে জনসনের চোখের কোনে জল দেখা যায়। সে পাগলের মতো হয়ে প্রফেসর নাগার্জুনকে বলেন -- "এবার আমি কি করব প্রফেসর!! আমার সোনার সংসার যে একেবারে জলে ভেসে যাবে।" তখন প্রফেসর তাকেও একই যুক্তি দেন। বলেন-- "যে কারণে ফলাফলটি ঘটতে চলেছে সেটি কয়েকদিন এড়িয়ে চলুন। দেখবেন নাও ঘটতে পারে।"
            এরপর প্রফেসর ভালো করে রুমাল দিয়ে চশমাটি মুছে আর্গাসের চোখে পরিয়ে দেন। আর্গাস দেখলেন, এই অডিটোরিয়াম থেকে বেরিয়ে তিনি যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন, তখন হঠাৎ একটা গুলি এসে তাঁর বুকে লাগে। কিন্তু পকেটে একটি যীশুর স্টিলের বাঁধানো ছবি থাকায় সেটিতে লেগে গুলিটি রিটার্ন চলে যায়। তিনি সে যাত্রায় বেঁচে যান। তাঁর দেহরক্ষীরা সেখান থেকে তাকে তাড়াতাড়ি সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে যান। এরপর তিনি চশমাটা খুলে প্রফেসরের হাতে দেন এবং স্টেজ থেকে নেমে সিটে গিয়ে বসেন। তিনি চশমায় দেখা সমস্ত বিষয়টিকে অবিশ্বাস করেন। এদিকে প্রফেসর বলেন-- "এই চশমা সারা পৃথিবীতে যুগান্তর ঘটাবে। এটাকে যারা অবিশ্বাস করবে তাদের সত্যিই অনেক বিপদের মুখে পড়তে হবে। এটি স্বাভাবিক চশমার মতো ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু কেউ ভবিষ্যৎ দেখতে চাইলে এটিতে একটি ছোট্ট সুইচ আছে সেটি টিপে দিলেই এর কাজ শুরু হয়ে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি যাতে মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যে দাম থাকে তার চেষ্টা করে তৈরি করব। তবে দুই-তিন বছরের আগে তা সম্ভব হবেনা।" এরপর তাঁর আরো অন্যান্য আবিষ্কার সম্পর্কে তিনি বললেন। আলোচনা শেষ হওয়ার পর মিস্টার আর্গাস প্রফেসরের সাথে আলাপ-আলোচনা সেরে যখন দেহরক্ষীদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে তাঁর গাড়িতে উঠতে যাবেন, তখন হঠাৎ  চশমার পূর্ব নির্দেশমতো একটা গুলি এসে তাঁর বুকে লাগে। কিন্তু যীশুর একটি স্টিলের ফটো পকেটে থাকায় সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। দেহরক্ষীরা তাঁকে গার্ড দিয়ে নিয়ে যান। মিস্টার আর্গাসের সেই মুহূর্তে প্রফেসরের আবিষ্কৃত চশমার ভবিষ্যৎ বাণী সত্য বলে মনে হয়। এই ঘটনায় চারিপাশে শোরগোল পড়ে যায়। অডিটোরিয়ামের সকলের কাছে সত্বর এই খবর পৌঁছে যায়। মিস্টার কুক ও বরিস জনসন সেদিনকার মতো প্রফেসর নাগার্জুনের সাথে তাঁর হোটেলে থেকে যান। মনে মনে খুব ভীত হয়েছিলেন তাঁরা।
              পরদিন সকালবেলা প্রফেসর মিস্টার সিরাজ খান ও আইজ্যাককে নিয়ে প্যারিস শহর ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। ঘুরে দুপুর একটা নাগাদ হোটেলে এসে দেখেন তাদের ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘর ওলট-পালট করা। সুটকেস খোলা। তার ভিতরে তাঁর আনা দু'নম্বর চশমাটি নেই। এই দেখে প্রফেসরের মাথা গরম হয়ে যায়। প্রফেসর মনে করেন তাদের পাশের ঘরে থাকা মিস্টার কুক ও বরিস জনসনের মধ্যে কেউ এই কাজটা করেছেন। তিনি তাদের ঘরে গিয়ে চুরির খবর পারতেই তারা বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। কিন্তু প্রফেসরের সন্দেহ তাদের উপর দিয়ে যায় না। তিনি তাদের সমস্ত কিছু চেক করেও কিছুই পান না। এরপর খুব চিন্তায় পড়ে যান তিনি। এদিকে আইজ্যাক একটি মানুষের পায়ের ছাপ শুঁকতে শুঁকতে একতলায় ম্যানেজারের ঘরে এসে দাঁড়ায়। প্রফেসর আইজ্যাককে লক্ষ্য করে ম্যানেজারের ঘরে যান। ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, 'একজন কালো কোট পরা ভদ্রলোক আপনার ঘরের দু- নম্বর চাবিটা আমার কানে বন্দুক রেখে নিয়ে যান। তারপর কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা।'
             অনেক ভেবে চিন্তে প্রফেসর অনুমান করেন কাল তিনজনকে চশমা পরানো হয়েছিল, তার মধ্যে দুজনের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। তার মানে ওই লোকটি অর্থাৎ মিস্টার আর্গাস এই কাজ করেছেন। এরপর পুলিশকে সকল বিষয়টি জানিয়ে তিনি আর্গাসের হোটেলে যান। কিন্তু তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। প্রফেসর বলেন, আপনি যদি নিয়ে থাকেন তবে এখনই দিয়ে দিন। আর ওটা আমার ভবিষ্যৎ জানার যন্ত্র নয়, ওটা আমার বাবার দেওয়া একটা মূল্যবান চশমা। ভবিষ্যৎ জানার চশমাটি আমার কাছেই আছে,-- এই বলে প্রথম চশমাটি প্রফেসর তাঁর পকেট থেকে বের করে দেখান। প্রফেসরের দেখানো চশমা দেখে মিস্টার আর্গাস প্রফেসরের সমস্ত কথা সত্য ভেবে নেন। কিন্তু নাগার্জুন শর্মা দ্বিতীয় চশমাটি বের করানোর জন্য এই চালটি চেলেছিলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে মিস্টার আর্গাস চশমাটি পড়েও দেখেননি।
            এই কথোপকথনের মধ্যেই আইজ্যাক কখন আর্গাসের শোবার ঘরে ঢুকে যায় তা কেউ খেয়াল করেন না। আইজ্যাক গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে আর্গাসের দেরাজের থেকে একটি চশমা নিয়ে এসে প্রফেসরদের সামনে দাঁড়ায়। প্রফেসর তার কাছ থেকে মুহূর্তের মধ্যে চশমাটির নিয়ে নেন। ভাল করে পরখ করে দেখেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া চশমাটি এটি নয়। বারবার আর্গাসকে পুলিশ জেরা করলেও প্রত্যেকবারই তিনি অস্বীকার করেন। পুলিশের অনেক তদন্ত সত্বেও দ্বিতীয় 'ভবিষ্যৎ দর্শন চশমা'টির হদিস পাওয়া সম্ভব হয়নি। চশমাটি হারিয়ে প্রফেসর প্রচন্ড অনুতপ্ত হয়েছিলেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দুইদিন পর তিনি মিস্টার সিরাজ ও আইজ্যাককে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে ওই চশমাটি  হারানোর যন্ত্রণা থেকেই গিয়েছিল।
_____________________________________________

মিঠুন মুখার্জী 
গ্ৰাম - নবজীবন পল্লী
পোস্ট + থানা - গোবরডাঙ্গা
জেলা - উত্তর ২৪ পরগনা
পিন - ৭৪৩২৫২

মন্তব্যসমূহ

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 28th issue: January 2024

ছড়া ।। তোর ।। বিবেকানন্দ নস্কর

লেখা-আহ্বান : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 25th issue: October 2023

ছড়া ।। সবুজ ঘাসেতে প্রাণ খুঁজে পাই ।। জয়শ্রী সরকার

অনুবাদ ।। কথা না-বলা টিয়া ।। সুস্মিতা পাল

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 23rd issue: August 2023

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ষড়ত্রিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ষড়ত্রিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছড়া ।। খোকাবাবু ।। মেশকাতুন নাহার

কবিতা ।। মাটির কাছে যায় ।। অবশেষ দাস

ছড়া ।। তোর ।। বিবেকানন্দ নস্কর

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 28th issue: January 2024

ছড়া ।। বর্ষার উৎসবে ।। আরতি মিত্র

ছড়া ।। পুজোর খুশী ।। আরতি মিত্র

কবিতা ।। ব্যাঘ্রমশাই ।। দীনেশ সরকার

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 29th Issue: February

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। চতুর্ত্রিংশ সংখ্যা ।। জুলাই ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 30th issue : March 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। পঞ্চত্রিংশ সংখ্যা ।। আগষ্ট ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ষড়ত্রিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 26th issue: November 2023

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 5th issue: February 2022