পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য

ছবি
     মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

ছবি
সম্পাদকীয় শুভ নববর্ষ ছোট্ট বন্ধুরা । আশা করি সবাই এই তীব্র গরমে ভালো থাকার চেষ্টা করছো । কষ্ট হচ্ছে তোমাদের ভীষণ । উষ্ণতার পারদ পয়তাল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেললো ।   এর মাঝে স্কুল করা সত্যিই তোমাদের পক্ষে ভীষণ কঠিন ছিল । তাই ঠিক সময়েই গ্রীষ্মের ছুটি পেয়েছো । বাড়িতে আছো । খুব প্রয়োজন না থাকলে দিনের তীব্র রোদে তোমরা বাড়ির বাইরে বেরিও না যেন । বাড়িতে থেকেই পড়াশুনো করো এখন । পর্যাপ্ত জল পান করো । ডিহাইড্রেশন হলে " ও আর এস " পান করো । টক দই খাও ।  পড়াশুনো ও খেলাধুলার ফাঁকে কিশলয় পড়তে ভুলো না । এপ্রিল সংখ্যা কেমন হলো পড়ে জানিও ।  লেখা , আঁকা পাঠাও । সুস্থ থেকো , আনন্দে থেকো ছোট্ট বন্ধুরা । এটি বিলম্বিত এপ্রিল সংখ্যা। এই সংখ্যার জন্য মাত্র দুদিনের অবসরে আমরা প্রচুর লেখা পেয়েছি। সেগুলো সব পড়া ও বাছাই-লেখা প্রকাশ করা সম্ভব হল না। আগামী ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ (৮ মে ২০২৪) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে মে ২০২৪ সংখ্যা প্রকাশিত হবে। অবশিষ্ট মনোনীত লেখাগুলি ওই সংখ্যায় তো প্রকাশিত হবেই। সঙ্গে রবী

নিবন্ধ ।। নতুন বছরে অস্মিতাপূর্ণ বাঙালিয়ানা ।। বিশ্বনাথ পাল

ছবি
নতুন বছরে অস্মিতাপূর্ণ বাঙালিয়ানা বিশ্বনাথ পাল একটা নৌকো কতকগুলো যাত্রী নিয়ে এগিয়ে চলেছে তিরতির করে। কারো চোখে পলক পড়ছে না যেন। কেউ কোন‌ কথাও বলছে না। ভাবখানা এই, কথা বললেই যেন ফসকে যাবে সাধের তরী। ও হরি, শিব্রাম তো আরাম করে কবেই খালাস করেছেন, সবার মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা আবেগঘন সেই চরমতম বাস্তবতার কথা। যতই আদিখ্যেতা করো না, ৩৬৫ দিনের বেশী  টিকবে না নতুন বছর। মাঝে মাঝে ভাবি হলোটা কি? মাছে ভাতে বাঙালির এই বঙ্গাব্দ শুধু হৈ হুল্লোড়  আর ডিজের ডিস্কা ঢিসুম গগন বিদারি শব্দের ঝংকারে আটকে যাবে চিরতরে? না না, বাঙালি এতটা কাঙালী নয়। বোহেমিয়ান জীবনে পায়ে পায়ে সে শুধু পৌঁছে যাবে ১৪৩১ বঙ্গাব্দে। তারপর, সে তরতর করে পৌঁছে যাবে জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রনাথে, চুরুলিয়ার নজরুলে, গীতরসধারা সংসারের ধূলিজালে পড়েও খুঁজবে আবহমানের গল্প। এই করেছ ভালোর নিষ্ঠুর অন্তরায় দাঁড়িয়ে 'আমার মাথা নত করে দাও বলে'ও বাজারের বিক্রেতাদের মধ্যে 'কৃপণের যাশু' হয়ে বাঁচবে। গৃহিনীর পাকা চুলে জ্যোৎস্না চুঁইয়ে পড়লে মনে ভাববে,হায় জীবন এতো ছোট কেনে? এত তাড়াতাড়ি এইসব অঘটন ঘটে কেনে? পায়ে চপ্পল গলিয়ে তবুও

প্রবন্ধ ।। জয় বাবা মাণিকনাথ ।। রায়সী চক্রবর্তী

ছবি
জয় বাবা মাণিকনাথ  রায়সী চক্রবর্তী  দশম শ্রেণী, পাল্লারোড গার্লস হাই স্কুল, পূর্ব বর্ধমান।       একজন সফল বিখ্যাত চিত্র পরিচালক বা একজন নামী লেখক,বিশেষ করে ফেলুদার স্রষ্টা হিসাবে সত্যজিৎ রায় ওরফে মাণিক বাবু বা মাণিক দা ' কে আমরা অনেকেই কম বেশি জানি । তাঁর রচিত ফেলুদা চরিত্র টি এখনও অসম্ভব জনপ্রিয়। এতটাই যে  তাঁর পরে ফেলুদা নিয়ে তাঁর পুত্র সন্দীপ রায় বাবু ছাড়াও বহু পরিচালক সিনেমা বানিয়েছেন ।  বহু নায়কই সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন । ফেলুদা বলতে ক্যামেরার রিল  পিছিয়ে  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তার পর সব্যসাচী চক্রবর্তী থেকে হালের টোটা রায়চৌধুরী, আবির চ্যাটার্জীর মুখ ভেসে ওঠে। কিন্তু আসলে ফেলু দার নেপথ্যে কে আছেন? ফেলুদার চিন্তা ভাবনা, চেহারার বিবরণ পছন্দ অপছন্দ কার সাথে  প্রকৃতই মেলে  কে সেই তিনি ? তিনি আসলে লেখক স্বয়ং। সবার মাণিক দা। সত্যজিৎ রায়।  সেই কথাই বলব কিছু।    প্রথমেই বলি উনি কিন্তু তেমন কিছু ভাবনা চিন্তা না করেই এমনি নিছক একটি গোয়েন্দা গল্প হিসাবে ১৯৬২ সালে সন্দেশের পাতায় ফেলুদা কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন । তিনি নিজেও বোধায় ভাবেন নি যে এটি এমন জনপ্রিয়

প্রতিবেদন ।। বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার ।। পাভেল আমান

ছবি
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার  পাভেল আমান আজকে পশ্চিমবঙ্গে জোরে যখন তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে আছে অসহ্য গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা বুঝতে পারছি যদি আমাদের চারপাশে গাছপালা বেশি থাকতো জলাভূমি খাল বিল নদী নালাগুলো জলে পূর্ণ থাকত তাহলে নিশ্চিত ভাবে সূর্যের আগুনের গোলা আমাদের দগ্ধ করতে পারত না। আমাদের কৃতকর্মের জন্যই প্রকৃতি হয়ে উঠেছে বিক্ষুব্ধ তার মধুর প্রতিশোধ নিচ্ছে এই দাবদাহের মধ্যে দিয়ে। সেই সংকটের মুহূর্তে আবারো আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পৃথিবী ভালো নেই পৃথিবী আজ হারিয়েছে তার স্বাভাবিকতা ছন্দময়তা। আমাদের বেঁচে থাকার গ্রহকে তার বিপন্নতার হাত থেকে বাঁচাতে হবে। সেজন্যই বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আবারো আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে আমাদের বাসযোগ্য গ্রহ সম্পর্কে দায়বদ্ধতা কর্তব্য নিষ্ঠা। আমরা যে পৃথিবী গ্রহে বাস করি তাকে রক্ষা করতে, তার দেখাশোনায়, প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস হিসাবে পালিত হয়। অর্থাৎ আমাদের পৃথিবীর সুস্থতায় একটি দিন উদযাপন করা। আমাদের পৃথিবীর সুস্থতা অনুকূল পরিবেশ ও আবহাওয়া জলবায়ুর উপর নির্ভরশীল।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন

গল্প ।। ধরিত্রীর সংসার ।। বিকাশকলি পোল‍্যে

ছবি
ধরিত্রীর সংসার   বিকাশকলি পোল‍্যে  'দাদু আগে একটা গল্প শোনাও'। সমস্বরে বলে উঠল ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। আমার দাদু মানে ঠাকুর্দা তাঁর মাটির বাড়ির বারান্দায় বসে দুই বেলা ছেলে মেয়েদের পড়াতেন। তারা সব শিশু শ্রেণীর ছেলে মেয়ে ।পড়াশোনা হয়ে গেলে প্রতিদিন দাদু তাদের গল্প শোনাতেন। আজ তারা জেদ ধরেছে আগে পড়বে না। আজ তারা আগে গল্প শুনতে চায়।দাদু তাদের নিরাশ করলেন না।গল্প বলতে শুরু করলেন। 'তবে শোন।পাঁচ ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ধরিত্রীর। পাঁচ ছেলের যেমন রূপ তেমন তাদের গুণ।মেয়েটিও তাই। যেমনই রূপবতী তেমনই  গুণবতী। এক মেয়ে তাই বাবা মায়ের ভীষণ আদরের। পাঁচ ভাইয়ের এক বোন বলে কথা। বোনকে চোখে হারায় তারা। আদর করে তাই তাকে সবাই রানি বলে ডাকে।  ধরিত্রীর বড় ছেলের নাম নিদাঘ। প্রথম সন্তান। ধরিত্রীর স্বামী প্রকৃতি খুবই ভালো,তবে খুব খামখেয়ালী। এই ভীষণ রাগ তো একটু পরে রাগ পড়ে গিয়ে একেবারে শান্ত।নিপাট ভদ্রলোক। নিদাঘ খানিকটা তার বাবার স্বভাব পেয়েছে। রাগলে একেবারে চন্ডাল। তখন তার দিগ্বিদিক জ্ঞান থাকে না। তার সেই রাগত তেজে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে মানুষজন। ধরিত্রী আর প্রকৃতি তখন তাদের সব কাজ ফেলে নিদাঘক

গ্রন্থ আলোচনা ।। কবিতা অর্ধশত / পড়াতে তুষ্টি কত! ।। অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
কবিতা অর্ধশত পড়াতে তুষ্টি কত! অরবিন্দ পুরকাইত  তোমরা যারা ছড়া পড় কিংবা তা আবৃত্তি কর জানো নিশ্চয়ই উত্থানপদর নাম, বিজলী তাঁর পদবি হয় ছড়ায়ও কম বিজলী নয় মগরাহাটের নারিকেলডাঙ্গা ধাম। কবিতা ছড়াতে চিনি, অশীতিপর মানুষ তিনি গড়ায় দক্ষ হরেক রকম ছড়া, শিশু কিশোর মনটি নিয়ে শীতলপাটি দেন বিছিয়ে— শব্দ ছন্দে গড়েন মিঠেকড়া। কোনও ছড়া ছবি ধরে আকাশ থেকে মাটির পরে গাছ পাখি ফুল চাঁদ নদীরা আসে, উদাস-করা কোনও ছড়া কোনওটি ভয়-বিস্ময়ভরা বেদন জাগায়, ভরেও সুবাসে। ইদানীং তাঁর বই 'কিশোর কবিতা ৫০' নামেই বুঝছ পঞ্চাশটি কবিতার প্রকাশ পড়ে মজা পাবে, কখনও ভাবাবে পড়ার শেষেও তারা রেশ রেখে যাবে : "ছড়া লিখি শুধু কি আর? ছড়ায় ছবি আঁকি গাছপালা ও ফুলের বাগান সঙ্গে হরেক পাখি। ছড়ায় আঁকি বন-প্রান্তর নৌকো, মাঝি, যদি— আসবে ছুটে ঢেউ তুলে ঠিক উচ্ছ্বসিত নদী। কিছু ছড়ায় প্রীতি ছড়ায় গভীর ভালবাসে কিছু ছড়ায় দূরের মানুষ কাছে ছুটে আসে।" 'আমরা যারা ছড়া লিখি'তে এ দেখি পড়লে বইটি বুঝবে এ সত্য, নয় মেকি। আরও দু-এক দৃষ্টান্ত রাখি বই থেকে বুঝবে কত ছবি সে হাত গেছে এঁকে : "এই যে ছবি চতুর্দিক

ছড়া ।। বোশেখ আসে ।। সুব্রত চৌধুরী

ছবি
বোশেখ আসে সুব্রত চৌধুরী বোশেখ আসে হলুদ ছোপে আম কাঁঠালের বাগে, মৌ মৌ সুরে মৌপিয়াসীর মধুর অনুরাগে । বোশেখ আসে চাঁদি ফাটা প্রখর রোদের তাপে, উদোম গায়ে দুষ্ট খোকা দীঘির জলে ঝাঁপে। বোশেখ আসে লোনা ঘামে মজুর উদোম গায়, তপ্ত পিচে ঠেলে গাড়ি খালি দু'টো পায়। বোশেখ আসে রোদের তাপে গলা শুকায় কাঠ, ছায়া খুঁজে পাবে কোথায় ফাঁকা ধূ ধূ মাঠ। ———————  সুব্রত চৌধুরী, আটলান্টিক সিটি, নিউ জারসি, আমেরিকা

ছড়া ।। প্রকৃতির এই পাঠশালাতে ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
প্রকৃতির এই পাঠশালাতে  জয়শ্রী সরকার ছোট্টসোনা বন্ধুরা সব, 'গাছদাদু'কে জানো? আজকে থেকেই গাছ লাগিয়ে ধরায় সবুজ আনো! প্রকৃতির এই পাঠশালাতে গুরুমশাই যিনি, নামটি যে তাঁর 'গাছদাদু' তো, সবাই তাঁকে চিনি! পুরুলিয়ার 'গাছদাদু'কে বলতো লোকে পাগল, সেই মানুষই আজকে কেমন দিলেন খুলে আগল!  যার সুবাদে ধন্য ধরা, ধন্য ভারতবাসী নামটি যে তাঁর দুখু মাঝি, সবার মুখে হাসি! ছোট্ট থেকেই নেশা ছিল গাছের সেবা করা অক্সিজেনের যোগান পেয়ে সজীব বসুন্ধরা! একদিনেতে হয়নি এ তো, অনেক ত্যাগের ফসল তবেই ইনি হলেন যে আজ সত্যিকারের সফল! পদ্মভূষণ খেতাব যে তাঁর এক্কেবারে খাঁটি, এমন মানুষ আছেন বলেই ধন্য ধরার মাটি! এ বিশ্বকে দূষণমুক্ত করতে যদি চাও নিত্যনতুন গাছ লাগিয়ে বসুন্ধরা বাঁচাও! ************************ জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

কয়েকটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন

ছবি
কয়েকটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন    সারাদিন সকাল বেলায় ঘুমটা ভেঙে হলো বিষম চিন্তা ভালোয় ভালোয় কেমন করে কাটাব আজ দিনটা !  দিনটা জানি সকাল থেকেই বাড়ে ডাইনে বামে অনেক খানি গড়িয়ে শেষে রাত্রি হলে থামে, তারই মাঝে ওলট পালট ঘটনা সব ঘটে নানা গুজব নানা মুখের কৌশলেতে রটে। নানান দলের নানান কথায় কান টা হল ভারী অর্থ সে তো দৌড়ে পালায় , বুঝতে কি পারি ? আমায় যারা ডেকে ছিল তাস খেলবে বলে হঠাৎ দেখি খুড়োর ডাকে সটকে গেল সরে। কনের মাসী বরের পিসি কখন এল চলে কি করবো এখন আমি এইটুকু দাও বলে।     আহ্বান  তিন কাল গিয়ে এক কালে থাকা দাঁত কড়মড় বুড়ি, নেড়া ছাদে উঠে বিকেলের রোদে উড়িয়েছে নীল ঘুড়ি। বিকাশের দাদু তাই দেখে শুনে মিটমিট হাসি হাসে দিদু বিকাশের হাতে নিয়ে চা দাঁড়িয়েছে এসে পাশে। বিকাশের এক সঙ্গী জুটেছে তার সাথে দেখি রোজ চলে যায় দেখি এখানে ওখানে পাইনা কোনোই খোঁজ। আকাশের ডাকে সবাই দেখছি ঘর ছাড়া হয়ে যায় পায়ে যে কখন শিকল পড়েছি বসে থাকি নিরুপায়।     খাবো সকাল থেকে ভাবছি বসে              কি খাবো কি খাবো কোন পাড়াতে পৌঁছে গেলে               কসা মাংস পাবো ! কোন পাড়াতে পাওয়া যাবে               মিহ

অণুগল্প ।। পুরস্কার ।। চন্দন দাশগুপ্ত

ছবি
পুরস্কার চন্দন দাশগুপ্ত            হোটেল থেকে বেরিয়ে আমরা ঠিক করলাম আজ আর দূরে কোথাও যাব না। পায়ে হেঁটেই আজ পাঁচমাড়ি শহরটা ঘুরব। আমরা বলতে আমি আর আমার বন্ধু সৌরভ। জব্বলপুর ঘুরে আজই বিকেলে আমরা পাঁচমাড়ি এসেছি, এখানে তিন-চার দিন থাকব।              বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। সময়টা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। বেশ কনকনে ঠাণ্ডা আবহাওয়া।  ঘুরতে ঘুরতে বাজার  এলাকায় এসে দেখি একটা জায়গায় বেশ ভিড় জমেছে। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম একটু অদ্ভুত ধরণের ক্যারাম প্রতিযোগিতা চলছে। দুরকম সিস্টেম। প্রথমটাতে একশো টাকার টিকিট কেটে উদ্যোক্তাদের একজনের সাথে খেলতে হবে চার বোর্ড। ঐ চার বোর্ডের মোট পয়েন্টে যদি হারো, তাহলে সেই টিকিটের একশো টাকা আর ফেরত পাবেনা। যদি জেতো, তাহলে মোট দুশো টাকা পাবে। আর দ্বিতীয়টাতে যেকোনো দুজন প্রতিযোগী সমান টাকা জমা রাখবে। খেলায় যে জিতবে , সে মোট জমা টাকার ৯০% পাবে। আর উদ্যোক্তারা বাকি ১০% পাবে।           সৌরভ আমাদের কলেজের ক্যারাম টুর্নামেন্টের সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন, ফিসফিস করে বলল,----"খেলতেই হবে"।           লক্ষ্য করলাম,উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে যে মধ্যবয়স্ক লোকটা খেলছে, সে পাকা খেলোয়াড়। কে

ছড়া আমার ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

ছবি
ছড়া আমার তীর্থঙ্কর সুমিত  (মানকুণ্ডু, হুগলী ) লিখতে গিয়ে ছড়া আমার মিলছে না যে শব্দ ভূতের বাপের গাল খেয়ে তাই হলাম ভারী জব্দ। ঘেঙড় ঘ্যান পেনর প্যান নানান রকম বুলি গাছের ডাল, মটকা ভাঙা হাওয়ায় ওড়ে খুলি। এমনি সময় বিকট আওয়াজ এক এক্কে দুই নামতাগুলো গেলাম ভুলে আওয়াজটা ছুঁই ছুঁই। হিসেব নিকেষ ভুলে ভরা চাঁপা গাছের ডাল খানিক বাদে বার্তা পেলাম আসবো আবার কাল।

ছড়া ।। গ্রীষ্মের দাবদাহে ।। প্রদীপ কুন্ডু

ছবি
গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রদীপ কুন্ডু  লাগছে গরম ভীষণ রকম চিত্ত নিরুপায়, মধ্যদিনের রবির কিরণে আগুণ বর্ষায়। ফাটল ধরা ধরণীর বুক ওষ্ঠাগত প্রাণ, জরা জীর্ণ সবুজ কণ্ঠে  বৃষ্টির আহ্বান। মেঘের দেখা নেই বহু দিন হয়েছে নিরুদ্দেশ, বৈশাখী ঝড় আসবে কবে প্রতীক্ষা হয় না শেষ। কংক্রিট ভরা শহর গাথা বিরহ অন্তঃপ্রাণ, বৃক্ষ ছেদন সীমাহীন ভুল  তাই কি অভিমান? নদী নালা সবই জলহীন  ফল্গুও মৃতপ্রায়, রুদ্ররূপী প্রকৃতির দায়  মানবেই বর্তায়। কঠিন এ এক পরিস্থিতি  পরিত্রাণ আশা ক্ষীণ, সচেতন হয়েও শোধ হবে কি সবুজ বিনাশ ঋণ? =============       প্রদীপ কুন্ডু বৈদ্যবাটি, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ

একটি ভূতের ছড়া ।। সুহাস বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
        ভূত         সুহাস বন্দ্যোপাধ্যায়                ভূত ---- ভূত ----- ভূত                   অমাবস্যার রাতে ,                  নেত্য করে শাকচুন্নি                    আনন্দেতে মেতে ।                   ভূত --- ভূত ---- ভূত                    গ্রাম গঞ্জের মাঠে ,                স্কন্ধকাটা - মামদো ভায়া                     ভয় দেখিয়ে হাঁটে।                   ভূত --- ভূত ---- ভূত                    ব্রহ্ম দৈত্যির নামে ,                বুকের মাঝে করে ঢিপ্ ঢিপ্                     রক্ষা নেইকো রামে।                         *********        সুহাস বন্দ্যোপাধ্যায়।            কুমারহাটী।   পোস্ট -- কেশিয়াড়ী।  জেলা -- পশ্চিম মেদিনীপুর। পিন -- ৭২১১৩৩                     ********* (Photo Credits: Pixabay)

অণুগল্প ।। ইচ্ছেশক্তি ।। রমলা মুখার্জী

ছবি
ইচ্ছেশক্তি রমলা মুখার্জী   জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই অঞ্জনার। শিরদাঁড়া এবং দুটো পা-ও কিছুটা বিকৃত। এমন প্রতিবন্ধকতা থাকলে অনেকেই ভেঙে পড়েন। সমাজ ও পরিবারের নানারকম চাপ তাঁদের কাছে অসহ‍্য হয়ে ওঠে। অঞ্জনাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। খুব কম বয়সেই বাড়ি ছেড়ে অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি। তখন তো আর জানতেন না, জীবন তাঁর জন্য কী পরিকল্পনা করে রেখেছে! কোনওদিনই জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই থামাতে চাননি অঞ্জনা। ভাগ্যের জেরে হাজির হন ঋষিকেশে। সেই সময় ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না তাঁর। তাতে একরকম ভাবে দিন কেটে যাচ্ছিল বটে, কিন্তু অঞ্জনা ঠিক করেন, তিনি নতুন কিছু করবেন। এদিকে তাঁর তো হাত নেই। তাই পা দিয়েই কাগজের উপর দেবতাদের নাম লেখা শুরু করেন তিনি। আর সেই লেখা পাশে নিয়েই সাহায্য চাইতে শুরু করেন।                এভাবেই কোনওক্রমে দিন কাটছিল তাঁর। প্রায়শই অদ্ভুত কৌশলে পা দিয়ে খাতায় আঁকিবুঁকি কাটতেন। ঠাকুরের নাম লিখতেন। এরকমই একদিন তাঁর এই কৌশল নজরে পড়ে জনৈক বিদেশি পর্যটকের। তিনিই অঞ্জনাকে পরামর্শ দেন, শুধু ঠাকুরের নাম না লিখে, ওইভাবে ছবি আঁকার চেষ্টা করতে। তিনিই দায়িত্ব নিয়ে আঁকা শেখানোর কথাও বলেন

কবিতা ।। রক্তের ললাটে ।। গোলাপ মাহমুদ সৌরভ

ছবি
রক্তের ললাটে  গোলাপ মাহমুদ সৌরভ  আজ প্রিয় স্বাধীনতা এলো লক্ষ শহীদের প্রাণনাশে, বিষাদ সিন্ধুর রক্তের ললাটে  নয়ন খানি জলে ভাসে।  একাত্তরের ঐ নির্মম গণহত্যা  অমানবিকতার হাতছানি, নির্দয় আর নির্মমতার আবহে হয় মা-বোনদের মানহানি।  পাকবাহিনীর মানবতাবিরোধী  ধ্বংসলীলার সেই চিত্র, তাদের বন্দুকের নলের সামনে  হার না মানা এক মানচিত্র।  মৃত্যু দেখেছি চোখের সামনে  পড়েছিল কত লাশের স্তূপ,  বাকস্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি  ছিলাম বোবার মতো নিশ্চুপ।  বুকের ভিতরের প্রবাহিত ঢেউ  প্রতিশোধের স্পৃহায় আনে,  টগবগ করে রক্ত প্রবাহিত হয়  সেই একাত্তরের কথা শুনে।

পুরাণের গল্প ।। বলরাম অবতারের কথা ।। দীপক পাল

ছবি
বলরাম অবতারের কথা দীপক   পাল দশাবতারের অষ্টম অবতার হলেন শ্রীকৃষ্ণের অগ্রজ হলধর বলরাম। তিনি পূজারী ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের। মহাভারতে ভালো লাগার মতো অনেক চরিত্র থাকলেও নিরপেক্ষ ও নিষ্কলঙ্ক চরিত্র এক মাত্র বলরামেরই। ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির অর্ধসত্য বলেছেন , শ্রীকৃষ্ণ পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছেন , ভীম ও অন্যায় যুদ্ধ করেছেন যা বলরামের ঘৃণার উদ্রেক করেছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সবাই যখন উম্মত্ত তখন বলরাম সারা ভারতে তীর্থ ভ্রমণে ব্যস্ত। এহেন চরিত্রের অবতার রূপে পূজা পাবার কারণ তিনি সর্বলোক হিতকর চাষ প্রথা হল যোগে প্রবর্তন করেছেন ও দ্বাপর যুগ থেকে লাঙল ও মুষল সহ অবতার রূপে পূজা পেয়ে আসছেন। বর্তমান হাল যোগে যে চাষ প্রথা প্রচলিত রয়েছে তার আবিষ্কার করেন বলরাম স্বয়ং। হল চালনায় মাটির যে বড় বড় ঢেলা বা চাঙর উঠেছিল তা ভাঙার জন্য তিনি মুগুর ও আবিষ্কার করেন।            লাঙল দিয়ে চাষ প্রথা প্রবর্তনের আগে লোক সংখ্যা অল্প থাকায় ' জোম ' প্রথা প্রচলিত ছিল। কিছু জায়গা খু

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 28th issue: January 2024

ছড়া ।। তোর ।। বিবেকানন্দ নস্কর

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 25th issue: October 2023

ছড়া ।। সবুজ ঘাসেতে প্রাণ খুঁজে পাই ।। জয়শ্রী সরকার

অনুবাদ ।। কথা না-বলা টিয়া ।। সুস্মিতা পাল

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 23rd issue: August 2023

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ষড়ত্রিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ষড়ত্রিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছড়া ।। খোকাবাবু ।। মেশকাতুন নাহার

কবিতা ।। মাটির কাছে যায় ।। অবশেষ দাস

ছড়া ।। তোর ।। বিবেকানন্দ নস্কর

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 28th issue: January 2024

ছড়া ।। বর্ষার উৎসবে ।। আরতি মিত্র

ছড়া ।। পুজোর খুশী ।। আরতি মিত্র

কবিতা ।। ব্যাঘ্রমশাই ।। দীনেশ সরকার

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 5th issue: February 2022