Featured Post

ছড়া ।। আকাশটাকে খোঁজে ।। দীনেশ সরকার

ছবি
আকাশটাকে খোঁজে দীনেশ সরকার            পড়তে বসলে জানলা দিয়ে মন ছুটে যায় দূরে গাইছে পাখি ওই যে গাছে মিষ্টি-মধুর সুরে। কিংবা যখন হাত বাড়িয়ে আকাশ আমায় ডাকে পড়ার পাতায় মন আমার কি বাঁধা তখন থাকে?   পূবের হাওয়া কড়া নাড়ে যখন আমার দোরে কিংবা অলি গুনগুনিয়ে চতুর্দিকে ঘোরে প্রজাপতি পাখা মেলে ওড়ে ফুলের মেলায় কখন যেন অবুঝ এ মন যায় হারিয়ে হেলায়।   কাঠবেড়ালি কাটুস্‌-কুটুস্‌ আমার দিকে তাকায় মন তখন কি আটকে থাকে পড়ার বইয়ের পাতায়? টুনটুনিটা তিড়িং-বিড়িং পুচ্ছ নাচায় গাছে মনটা বাঁধা তখন কি আর অঙ্কখাতায় আছে?   অঙ্ক কষতে ভুল হয়ে যায়, পড়া যাই যে ভুলে স্যারের বকা মাঝে মাঝেই খাই আমি ইস্কুলে। মনকে আমি কত্ত বোঝাই, মন তবু কি বোঝে সুযোগ পেলেই জানলা দিয়ে আকাশটাকে খোঁজে।   ******************************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

গল্প ।। কর্মফল ।। শংকর ব্রহ্ম


     

 

 


কর্মফল

(পুরাণ-কথা)

শংকর ব্রহ্ম




          

                          শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুন একদিন নগরে বেড়াবার সময় দেখলেন রাস্তায় একজন গরীব মানুষ ভিক্ষা করছে , তাই দেখে অর্জুনের খুব দয়া-মায়া হল। অর্জুন তাকে ডেকে, তার কাছে থাকা সোনার মোহর ভরা থলিটা তাকে দিয়ে বললেন, যাও তোমার আর ভিক্ষে করতে হবে না। এতগুলি সোনার মোহর পেয়ে, লোকটি খুব খুশি হয়ে অর্জুন কে প্রণাম করে সেখান থেকে তার জীর্ণ ঘরের দিকে রওনা হল। ঘরের দিকে যেতে যেতে সে ভাবল, এই সোনার মোহর দিয়ে আমার সব দুঃখ দুর্দশা দূর হয়ে যাবে এবার। 

              প্রথমে পাকা বাড়ি করব একটা , তারপর জমি কিনে চাষবাস শুরু করব, আরও কত কী করব।  আমার সব রকম শখ-আহ্লাদই পূরণ হবে এইসব সোনার মোহরগুলি দিয়ে। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে লোকটি যখন বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়েছে, ঠিক তখনই একটি চোর, যে তার পিছু নিয়ে ছিল অনেক আগে থেকেই, তার মোহরভরা থলিটা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল। লোকটি কিছুদূর পর্যন্ত তাকে তাড়া করে গেলেও তাকে আর ধরতে পারল না। তাই শেষে, নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে সে নিজের ঘরে ফিরে এলো।

             তারপরের দিন আবার সে ভিক্ষা করতে বেরোল। এভাবেই কাটল কিছুদিন। এর কিছুদিন পর আবার কৃষ্ণ আর অর্জুন সেই পথ দিয়ে যেতে  যেতে দেখেন সেই লোকটি আবারও ভিক্ষা করছে। দেখে অর্জুন খুব আশ্চর্য হয়ে গেলেন, ভাবলেন এতগুলো সোনার মোহর পাওয়ার পরেও লোকটি আবারও ভিক্ষা করছে কেন এখনও ! 

            অর্জুন তাই লোকটিকে কাছে ডেকে, তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি আবারও ভিক্ষা করছ কেন? 

          লোকটি তখন অর্জুনকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। সব শুনে অর্জুন নিজের গলার হীরার মালাটি খুলে লোকটিকে দিয়েদিলেন আবার।

             লোকটি সেটা নিয়ে এবার খুব সাবধানে ঘরে ফিরল। ঘরে ফিরে চিন্তায় পড়ল, হীরের মালাটি এখন সে কোথায় রাখবে? ঘরে তার একটি পুরনো মাটির কলসি ছিল, যেটা কোন কাজেই লাগত না। তাই সে হীরের মালাটি সেই পুরনো মাটির কলসিতেই রেখে দিল। সারাদিন ভিক্ষা করে সে বড়ই ক্লান্ত ছিল, আর যেহেতু পরের দিন আর তার ভিক্ষা করতে যাওয়ার দরকার নেই, তাই সে রাত্রে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পড়ল। 

            সকালে দেরী করে তার ঘুম ভাঙল। তার আগেই ঘুম থেকে উঠল তার বউ। 

           যখন সে ঘরের জন্য নদীতে জল ভরতে যাবে, তখন দেখল যেই মাটির কলসিতে রোজ জল ভরে নিয়ে আসে, তাতে একটি ছোট ফুঁটো হয়েছে। তাই সে সেই কলসিটি না নিয়ে গিয়ে, পুরনো অকেজো মাটির কলসিটি নিয়ে নদীতে জল আনতে গেল । যখন সে জল ভরার জন্য মাটির কলসিটি উল্টো করে জলে ডোবাল, তখন তার ভিতরে থাকা হীরের মালাটি নদীর জলে পড়ে গেল। 

            সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকটি যখন দেখল সেই মাটির কলসিতে জল ভরা। তখন তার বউকে জিজ্ঞাসা করে, সব কথা জানতে পেরে লোকটির মাথায় বাজ পড়ল। লোকটি তখন নিজের ভাগ্যকে আবার দোষারোপ করতে লাগল।


            পরেরদিন আবারও সে ভিক্ষা করতে বেরলো। তারপর কয়েকদিন ভিক্ষা করে কাটল তার।

          আবার একদিন কৃষ্ণ ও অর্জুন নগরে বেড়াবার জন্য বেরিয়ে লোকটিকে ভিক্ষা করতে দেখল।

          অর্জুন লোকটিকে দেখে ভাবল, আবার কী হল তার? সেদিন হীরের মালাটি পাওয়ার পর, আজও সে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে?  অর্জুন তখন সেই লোকটিকে কাছে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি আজও ভিক্ষা করতে বেরিয়েছো কেন?

           লোকটি তখন, সেই হীরের মালাটি জলে পড়ে যাওয়ার সমস্ত বৃত্তান্ত অর্জুনকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলল। সব শুনে অর্জুন ভাবলেন, লোকটির ভাগ্য সত্যিই খারাপ, ভাগ্যে তার ভিক্ষা করা ছাড়া বোধহয় আর কিছুই লেখা নেই। 


           শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের দিকে তাকিয়ে তখন মুচকি মুচকি হাসছিলেন। অর্জুন তার মুচকি হাসি দেখে জানতে চাইলেন, লোকটির এই দুর্ভাগ্য দেখে আপনি হাসছেন কেন প্রভু? 

            শ্রীকৃষ্ণ বললেন, লোকটির দুর্ভাগ্য দেখে আমি হাসছি না। হাসছি তোমার কথা ভেবে।


          তারপর তিনি লোকটিকে একটি ছোট মুদ্রা দিলেন। ছোট সামান্য একটি মুদ্রা দেখে লোকটি মোটেও খুশি হল না, বরং হতাশ হয়ে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করে, সেটা নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল। 


          সে যাবার পর অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার দেওয়া সোনার থলি এবং হীরার মালাটি যখন তার ভাগ্য ফেরাতে পারল না তখন আপনার দেওয়া এই  ছোট্ট একটি মুদ্রা আর কতটা  ভাগ্য ফেরাতে পারবে তার? 


              শ্রীকৃষ্ণ এবারও মধুর হেসে বললেন, তাহলে চলো আমরা ওই লোকটির পিছু  পিছু যাই, আর গিয়ে দেখি কী হয় শেষপর্যন্ত। 


            রাস্তা দিয়ে যেতে যেতেও লোকটি ভাবল  সামান্য এই ছোট একটি মুদ্রায় তো আমার পরিবারের একদিনেরও খাবার হবে না ভালভাবে।  


          হঠাৎ সে দেখতে পেল, একজন জেলের জালে একটি মাছ ধরা পড়েছে, তখন সে ভাবল, এই  মুদ্রাটি দিয়ে বরং মাছটি প্রাণ বাঁচিয়ে তার উপকার করি। ভেবে সে সেই জেলের কাছ থেকে মাছটি কিনে, তার ভিক্ষাপাত্রে জল ভরে, তাতে করে, সেই মাছটাকে নিয়ে ঘরে ফিরে এলো।


            পরের দিন লোকটি যখন মাছটিকে নদীতে ছাড়তে যাবে ভাবছে, ঠিক তখনই দেখলেন মাছটি একটি হীরের মালা তার মুখ থেকে বের করে দিল। এটা সেই হীরার মালা, যেটা তার বৌ নদীতে জল আনতে গিয়ে ফেলে দিয়েছিল। সেটা খাবার ভেবে এই মাছটি গিলে ফেলেছিল। 

                 লোকটি তা দেখে বিস্ময়ে খুশি হয়ে, জোরে জোরে চেঁচাতে লাগল, 'পেয়ে গেছি, আমি পেয়ে গেছি' বলে।

            তখন সেই চোরটি সেখান থেকে যাচ্ছিল, যে লোকটির সোনার থলি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল। যখন সে শুনল লোকটি জোরে জোরে চিৎকার করে বলছে, 'পেয়ে গেছি, আমি পেয়ে গেছি', তখন সেই চোরটি ভাবল, লোকটি নিশ্চয়ই আমাকে দেখে চিনে ফেলেছে, যার জন্য সে জোরে জোরে চিৎকার করছে। 

             এবারে যদি লোকটি আমার নামে মহারাজের দরবারে গিয়ে নালিশ জানায়, তবে তো আর রক্ষে নেই,  নিশ্চয়ই চুরি করার জন্য আমার কঠিন শাস্তি হবে মহারাজের দরবারে। শাস্তির ভয়ে চোরটি লোকটির পায়ে এসে পড়ল। আর তার কাছে ক্ষমা চাইল এবং তাকে তার সোনার মোহরের থলিটি ফেরৎ দিয়ে দিল। 

             লোকটি সোনার মোহরের থলিটি ফেরৎ পেয়ে চোরটিকে ক্ষমা করে দিল। তারপর সেই মাছটিকে নিয়ে নদীতে ছেড়ে দিতে গেল। নদীতে মাছটিকে ছেড়ে দিয়ে, ঘরে ফিরে এসে দেখল, অর্জুন আর শ্রীকৃষ্ণ তার জীর্ণ ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

           তাদের দু'জনকে দেখে লোকটি গড় হয়ে তাদের প্রণাম করল।


               অর্জুন তখন শ্রীকৃষ্ণেকে বললেন, প্রভু যেই কাজ আমার সোনার থলি আর হীরার মালা করতে পারল না সেটা আপনার দেওয়া একটি ছোট্ট মুদ্রা কিভাবে সম্ভব করল? 

           তখন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে একগাল হেসে  বললেন, সেটা লোকটির কর্মফলে সম্ভব হয়েছে। 

             অর্জুন জানতে চাইল, সেটা কেমন করে প্রভু,?

            শ্রীকৃষ্ণে এবার বললেন, তুমি যখন লোকটিকে সোনার থলি এবং হীরের মালা দান করেছিলে, তখন লোকটি শুধু নিজের সুখের কথাই ভেবেছিল। অন্যের সুখের কথা একবারের জন্যও ভাবেনি। কিন্তু যখন আমি তাকে একটা ছোট্ট মুদ্রা দিলাম তখন সে অন্যের দুঃখ দূর করার কথা ভাবল। যার জন্য তার নিজের দুঃখও, সে নিজেই দূর করতে পারল। আমরা যখন অন্যের দুঃখের ব্যাপারে ভাবি, যখন অন্যের জন্য ভাল কিছু করার কথা চিন্তা করি, তখন আমরা নিজেরা পরোক্ষভাবে নিজেদেরও ভাল করে থাকি। স্বার্থ চিন্তা নয়, পরার্থ চিন্তাই জীবনের প্রধান ধর্ম। এটা জানলে, বুঝলে আর এটা মানলে জীবনের অনেক সমস্যা সহজেই সমাধান করে ফেলতে পারা যায়।


           অর্জুন শুনে, বিস্ময়ে শ্রীকৃষ্ণের মুখে দিকে তাকিয়ে রইলেন অপলক।

____________________________________________________________________________________ 



শংকর ব্রহ্ম

SANKAR BRAHMA.
8/1, ASHUTOSH PALLY,
P.O. - GARIA,
Kolkata - 700 084.

  [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

কবিতা ।। আকাশ-সাগর ।। শান্তনু আচার্য

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

কবিতা ।। নতুন বছর ।। জীবন সরখেল

চোখের ভাষা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

ছড়া ।। শীতের দু'টি মাসে ।। গোবিন্দ মোদক

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 24th issue: September 2023

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় - ২২ ।। জুলাই ২০২৩

ছড়া ।। দৃষ্টিকাড়া বৃষ্টি ।। শচীন্দ্র নাথ গাইন

ছড়া ।। অদ্ভূতুড়ে ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

কবিতা ।। আকাশ-সাগর ।। শান্তনু আচার্য

ছড়া ।। শৈশবের রথ ।। ইয়াসমিন বানু

কবিতা ।। নতুন বছর ।। জীবন সরখেল

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

অণুগল্প ।। ঝুমুক ঝুমুক ।। ব্রজ গোপাল চ্যাটার্জি

ছোটগল্প ।। হেমন্ত দাদার সাথে ।। দীপক পাল

ছড়া ।। আকাশটাকে খোঁজে ।। দীনেশ সরকার

ছড়া ।। শীতবুড়িটা ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

কবিতা ।। খুকির বায়না ।। খগেশ্বর দেব দাস

বছরের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ত্রয়োত্রিংশ সংখ্যা ।। জুন ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। চতুর্ত্রিংশ সংখ্যা ।। জুলাই ২০২৪

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচীপত্র ।। 29th Issue: February

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 31st issue: April 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 32nd issue: May 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 30th issue : March 2024

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। পঞ্চত্রিংশ সংখ্যা ।। আগষ্ট ২০২৪

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২