পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

ছড়া ।। আকাশটাকে খোঁজে ।। দীনেশ সরকার

ছবি
আকাশটাকে খোঁজে দীনেশ সরকার            পড়তে বসলে জানলা দিয়ে মন ছুটে যায় দূরে গাইছে পাখি ওই যে গাছে মিষ্টি-মধুর সুরে। কিংবা যখন হাত বাড়িয়ে আকাশ আমায় ডাকে পড়ার পাতায় মন আমার কি বাঁধা তখন থাকে?   পূবের হাওয়া কড়া নাড়ে যখন আমার দোরে কিংবা অলি গুনগুনিয়ে চতুর্দিকে ঘোরে প্রজাপতি পাখা মেলে ওড়ে ফুলের মেলায় কখন যেন অবুঝ এ মন যায় হারিয়ে হেলায়।   কাঠবেড়ালি কাটুস্‌-কুটুস্‌ আমার দিকে তাকায় মন তখন কি আটকে থাকে পড়ার বইয়ের পাতায়? টুনটুনিটা তিড়িং-বিড়িং পুচ্ছ নাচায় গাছে মনটা বাঁধা তখন কি আর অঙ্কখাতায় আছে?   অঙ্ক কষতে ভুল হয়ে যায়, পড়া যাই যে ভুলে স্যারের বকা মাঝে মাঝেই খাই আমি ইস্কুলে। মনকে আমি কত্ত বোঝাই, মন তবু কি বোঝে সুযোগ পেলেই জানলা দিয়ে আকাশটাকে খোঁজে।   ******************************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। 18th issue: March 2023

ছবি
     [প্র   সম্পাদকীয় বসন্ত হল প্রকৃতির উৎসব। নতুন পাতা আর রঙিন ফুলের সৌরভে চারিদিক কেমন মেতে উঠেছে। তোমরাও রঙ আর আবির নিয়ে দোলযাত্রার দিনে বেশ আনন্দেই কাটিয়েছো আশাকরি। যারা এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলে, তাদের তো এখন অনেকখানি অবসর সময়। আত্মীয়, বন্ধুদের বাড়ি ঘুরে বেড়ানো, খেলাধুলা নিয়ে দারুণ কাটছে সময়। নিত্যদিনের পড়াশোনা থেকে একটু বিশ্রাম। এই সময় গল্প পড়া, ছবি আঁকা এগুলোর জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। আমাদের কিশলয়ের বসন্তেও একটু নিজেদের রাঙিয়ে নাও। একটু লেখালিখি করলে বা আঁকলে মনে বেশ একটা ভালোলাগা ছড়িয়ে যায়। ভালোলাগার বিষয়ে প্রতিষ্ঠা পেলে আরও ভালো লাগে। তাই যারা এসব ভালোবাসো তারা চর্চা ছেড়ো না। তোমাদের এই ছোট ছোট সৃষ্টিগুলোকে ভারি আদর করে প্রকাশ করে কিশলয়। তাই নিয়মিত লেখা আঁকা পাঠিও। তোমাদের মনের কথা ছড়িয়ে দাও দূরে থাকা বন্ধুদের কাছে।    এবারের কিশলয় কেমন লাগলো জানিও। সুস্থ থেকো, আনন্দে থেকো।     শুভকামনাসহ-- প্রিয়ব্রত দত্ত ও কার্তিক চন্দ্র পাল। কার্যনির্বাহী যুগ্ম সম্পাদক, কিশলয় মাসিক শিশুকিশোর ই-ম্যাগ। ১২ই মার্চ, ২০২২   =============  ...

ছড়া ।। বসন্তে ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

ছবি
   [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত] বসন্তে নিরঞ্জন মণ্ডল লাল টুকটুক কৃষ্ণচূড়ায় ফাগুন এলো দ্বারে দখিন হাওয়া ফুরফুরিয়ে ডাক দিয়ে যায় কারে? রোদেল দুপুর করছে উপুড় উদাস সুরের ডালা, পথিক বাউল তার বুঝি আজ গান শোনানোর পালা নাচিয়ে আঙুল কাঁপিয়ে দিয়ে একতারাটার তার অলোক মায়ায় ভরিয়ে দিলো একলা নদীর ধার। নদীর ধারে ছইয়ের আড়ে যে জন নড়েচড়ে আপন মনে গুনগুনিয়ে পোক্ত বাদাম গড়ে তিরতিরে ঢেউ নদীর জলে ভাসিয়ে কাজল নাও হাওয়ার ভরে সাগর মুখো ছুটবে ছেড়ে গাঁও তার দু'চোখে ভাসবে যখন গাঙচিলেদের ডানা নীল সাগরে মুক্তো খোঁজায় থাকবে না আর মানা। সাগর ঢেউয়ে মুক্তো-ঝিনুক মেলবে অবাক চোখ বালির চরের কিনার ছুঁলেই দেখবে অযুত লোক। কোন জহুরি বুঝবে বুকে মুক্তো আছে তার? বুঝবে কেবল বালির দানা, দখিন হাওয়াটার কপাল ছুঁয়ে চিলের ডানায় চমকে যাবে আলো; ঢেউয়ের দোলায় সফেদ ফেনা বলবে--সোহাগ ঢালো! এই ডাকেতেই ফাগুন দিনের হাওয়ায় আগুন আঁচ কৃষ্ণচূড়ার আলতা-ডালে মৌমাছিদের নাচ। ============ নিরঞ্জন মণ্ডল/উত্তর 24 পরগণা।

গল্প ।। বাঘের পিকনিক ।। উত্তম চক্রবর্তী

ছবি
  বাঘের পিকনিক                   উত্তম চক্রবর্তী    " তারপর , তারপর। "  ছোট্ট বাবলু মাকে ইশারায় চলে যেতে বলে দাদুর গায়ের সাথে আরও বেশি করে চেপে বসে জিজ্ঞাসা করল কথাটা। ছেলেকে স্নান করাবার জন্য ডাকতে এসেছিল বাবলুর মা। কিন্তু বাবলু তো এখন দাদুর কাছে বাঘের গল্প শুনতে ব্যস্ত। রিটায়ার্ড স্কুল মাষ্টার শচীন ঘোষ রোজ সকালে তার একমাত্র নাতির আবদার রাখতে রোজই একটা করে নতুন গল্প বানিয়ে শোনান। কত আর গল্প বানাবেন লোকটা , শেষে আজ একটা বাঘের পিকনিকের গল্প শোনাচ্ছেন এখন। " তারপর তো সে এক বিশাল ঝগড়া শুরু হল। বাঘ , তার বৌ বাঘিনী , ছেলে বাঘা আর মেয়ে বাঘী সবাই মিলে মিটিঙে বসল যে কে কোন ভাগটা খাবে। গভীর জঙ্গলে বিভিন্ন জীব জন্তু শিকার করে খেতে অভ্যস্ত ওরা আজ এই প্রথম একটা মানুষকে শিকার করেছে। লোকটার চেহারা মোটেই অন্য জীব জন্তুর মত নয়। ভোর রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর বাঘাই প্রথম দেখেছিল লোকটাকে , এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতে। বাঘা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ওর মা বাবাকে ডেকে তুলে দেখায় ঐ জন্তুটাকে। ওদ...

ক্যুইজ, ধাঁধা, শব্দখেলা, 18th issue: March 2023,

ছবি
    শব্দখেলা -১৮ ।। কার্ত্তিক চন্দ্র পাল       পাশাপাশি ১। আরবিতে অদৃশ্য বা   অন্তর্হি ত ৩।   ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ৫। রেখার একটি সসীম অংশ যার দুইটি প্রান্তবিন্দু থাকে ৬। সৌন্দর্য , শ্রী ৮। স্নানাগার ১০। বৃহদাকার নির্বিষ সাপ ১২। বিরোধ , মিলের অভাব ১৪। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য যার রাজধানী আইজল ১৫। নেউল , বেজি ; চতুর্থ পান্ডব ১৬। ছুতারের বা সূত্রধরের কাজ।   উপরনিচ ১। বাটির মতো বড় পাত্র বিশেষ, তাগাড়ি   ২। শ্রেষ্ঠ, বরণীয় ৩। মাঠেঘাটে, নদীর ধারে জন্মানো লম্বা ঘাসের বন ৪। দুর্ভিক্ষ, পুরাণ মতে এক এক মনুর অধিকার কাল   ৭। পানের ক্ষেত   ৯। গৃহকারক, কুটির নির্মাতা   ১০। যেদিন রান্না করা নিষিদ্ধ   ১১। অসামঞ্জস্য, অমিল   ১২। আপত্তি, অসম্মতি   ১৩। চিহ্ন, আভাস।     কার্ত্তিক চন্দ্র পাল বর্ধমান।   (যে কেউ উত্তর পাঠাতে পারো। নাম, ঠিকানা, ছবি আর কোন শ্রেণীতে পড় তা পাঠিয়ে দাও নিচে দেওয়া ইমেল-এ: kishalaymag@gmail.com কেউ সূত্রসহ নূতন শব্দছক করে পাঠাতে পারো/ পারেন এই ইমেল ঠিকানায়।তব...

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় - ১৮।। মার্চ ২০২৩

ছবি
Name : Sreeja Baksi, Class : IX, Age : 15yrs,  School's Name : Welkin National School,  Address : Dakshin Barasat, South 24 Parganas  _ ____________________________________________________________________________________    তনুশ্রী পাল চতুর্থ শ্রেণী কারমেল হাই স্কুল, বর্ধমান। ______________________________________________________________________________________

ছড়া ।। বৈশাখী ঝড় ।। দীপক পাল

ছবি
[ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত] বৈশাখী ঝড়       দীপক পাল   বৈশাখেতে বৈশখী ঝড় হুড়মুড়িয়ে আসে সব কিছুকে উড়িয়ে নিতে বড্ড ভালোবাসে, বট- অশত্থ হেলে দুলে যুদ্ধ করতে থাকে, ভয় পেয়ে তাই খোকন সোনা আঁকড়ে ধরে মাকে। ধূলো উড়িয়ে ঝড় ছুটছে পুকুর পাড়ের মাঠে ছেলেরা সব খেলা ছেড়ে পালায় রে একসাথে। বৈশাখ মাসে ঝড় যে ওঠে এটা সবাই জানে, একবার না দশবার সেটা ভগবানই জানে। হঠাৎ করে ভ্যাপসা গরম চলতে থাকে কদিন, আকাশ কালো করে কালবৈশাখী, ছুটবে দেখো একদিন। দরজা জানলা দেবার আগেই ভরে যায় যে ধূলোয়, ধূলো ঝাড়বে সবাই তখন যতটুকু কুলোয়। তারপরেতে যখন বৃষ্টি ঝম ঝমিয়ে নামে, শান্তি নামে তখনরে ভাই পুরো ধরাধামে। জানলা দিয়ে খোকন সোনা তাকিয়ে থাকে বাইরে, বৃষ্টি ধারায় ভয় কেটে যায় তাইরে নাইরে নাইরে। ________________________________________ Dipak Kumar Paul, DTC Southern Heights, Block-8, Flat-1B, Diomond Harbour Road, Kolkata - 700104.

ছড়া ।। সকালবেলা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
  [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   সকালবেলা দীনেশ সরকার  চাঁদবুড়ি যেই ঘুমের দেশে সূয্যিমামা ওঠে হেসে গাছে গাছে পাখিরা সব ডাকে । ফুলকলিরা ফুটে ওঠে দলে দলে অলি জোটে মনখুশিতে ফুলের পরাগ মাখে । ফুটে ওঠে দিনের আলো পালিয়ে যায় আঁধার কালো পূব আকাশটা রঙ মেখে যে হাসে, গঙ্গাফড়িং শিশির মেখে লাফায় সুখে এঁকে বেঁকে শিশির ভেজা শ্যামল দুর্বাঘাসে । ভোর হতেই নাচিয়ে ঝুটি ডেকে ওঠে মোরগদুটি বলে, 'সবাই, এবার উঠে পড়ো । খোকা-খুকু পড়ো উঠে ঘুমের রেশটা যাবেই টুটে সকাল হ'লো বিছানাটা ছাড়ো ।  লেগে পড়ো সবাই কাজে সময় থেমে থাকে না যে অলস লোকের দু:খে জীবন কাটে, পরিশ্রম আর অধ্যবসায় সাফল্যেরই চূড়ায় বসায় জীবনটা ঠিক সোজা পথে হাঁটে ।' ___________________________________   দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ----৭২১৩০৬

ছড়া ।। পাঁচটি ছড়া ।। সুশান্ত সেন

ছবি
[ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   বাড়ি  সুশান্ত সেন  নদীর ধারে আছে আমার ছোট্ট একটা বাড়ি রাত্রি দিন সেই বাড়িতে চলছে কাড়াকাড়ি কোন ঘর টায় বসা হবে কোন ঘরটা শোবার চিন্তা আর বাক বিতন্ডায় সারাটা দিন কাবার। দখিন দিকের জানলা দিয়ে বিকেল বেলার রোদ হিমেল হাওয়ার সাথে মিশে বাড়ায় সংযোগ। সেই বাড়িটির ভেতর দিকে একটি উঠান আছে শিউলি ফুলের গন্ধ ঝরে দু পাশে দুই গাছে , বাড়ির পাশে ছোট্ট বাগান বাঁশের বেড়ায় ঘেরা সেই বাগানে খেলা করে দুষ্টু শালিখেরা। তোমার যখন সময় হবে এই বাড়িতে এসো ছোট্ট হলেও লাগবে ভালো বাড়ির পরিবেশ ও। [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   কথা যত কথাই বল না কেন সব কথারই শেষে হুক্কা হুয়া র মতন আওয়াজ শ্বাসের সাথে মেশে, সেই শ্বাসেতে বাটনা বাটে শিল নোড়াতে বুড়ি অন্ধকারে মাঞ্জা দিয়ে যদু ওড়ায় ঘুড়ি। তাল পাতার বাতাস খেলে, সর্দি কেন সারে আলপনা দেয় হস্তী মূর্খ কাপড় মেলার তারে। এই জগতের আজব খেলায় খাচ্ছি বেজায় দোল জিরাফ দাদা মুখ তুলে চায়, ভালুক বাজায় খোল। গান গাইতে হলো যখন বঙ্গ মেলার প্রান্তে উচ্চস্বরে হেশ্র্যা রব , কি করে হয় জানতে ! সর্ব কথার শেষেই জা...

কবিতা ।। মানুষের বিধান ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ছবি
[ছবিঃইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]     মা নুষের বিধান  হারান চন্দ্র মিস্ত্রী             পশু পাখি মানুষ বৃক্ষ   নিয়মে হয় অগ্রসর।  একের ক্ষতি হলে তখন  অন্যের ক্ষতি দেখে নর।             এই প্রকৃতি ক্ষুন্ন হলে  সেই প্রভাবে ধুকবে সব,     দূষণে কেউ অন্ধ বনে  কেউবা হারায় মুখের রব।              অনিয়মে বাড়ছে যারা  তাদের খাটো করতে চায়,    প্রকৃতির এই বিধান থেকে  বলো বা কে মুক্তি পায়।             অসৎ কর্মে নিষ্ঠ যিনি   কেহ ভালো বাসে না,  মন ও মতি ক্ষুন্ন হলে  আশীষ যে তার মেলেনা।           নিজের সুখের জন্যে বিধান  করলে চালু মানবে কে?  সেই বিধানে সবার ক্ষতি  হলে আঘাত হানবে যে।            মনুষেরই উপকারে   করলে আইন হবে জয়,   ক্ষতির দিকে লক্ষ্য হলে  দেখা দেবে অব...

ছড়া ।। যখন ফাগুন আসে ।। তপন মাইতি

ছবি
  [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   যখন ফাগুন আসে   তপন মাইতি চারদিক যখন সবুজ ধরে  ফুলের সুবাস হাওয়া ঢালে  ফাল্গুনী চাঁদ নদীর চরে  হৃদয়ের ফুল ফোটা কালে।  তখন সুন্দর ফাগুন আসে  দোয়েল কোয়েল বিকেল বেলায়  শিমুল পলাশ সজনে হাসে  রঙিন ফাগুন ফাগুন মেলায়।  তখন মধুর ফাগুন আসে  বাংলা মায়ের মুখটি ভাসে  মানুষ মানুষ ভালবাসে  রঙিন হলে ফাগুন হাসে            তখন ফাগুন আসে... ____________________  তপন মাইতি গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর;   জেলাঃ দঃ ২৪ পরগণা;পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। ছাতা ।। সুশান্ত সেন

ছবি
     [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   ছাতা সুশান্ত সেন বংকু বাবুর একটা ছিল ছাতা সেই ছাতা তে বাঁচলো জবর সাধের কবিতা টা। বৃষ্টি তখন পড়ছিল বেঘোরে সবাই তখন ঘরের ভেতর , বেজায় আতান্তরে। ঘর টা তাহার গলির ভেতর দূরে জমা জলেই হাঁটতে হবে একটু ঘুরে ঘুরে ,  অঝোর ধারায় পড়ছে বারিধারা ছাতা আর কবতে খাতায় বংকু দিশাহারা। ছাতার ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে খাতা বংকু বাঁচায় কবতে খাতা , ভিজতে থাকে মাথা। ______________________________________ সুশান্ত সেন ৩২বি, শরৎ বসু রোড কলকাতা ৭০০০২০

ছড়া ।। নীরব কান্না ।। আরতি মিত্র

ছবি
   [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত] নীরব কান্না আরতি মিত্র ছোট্ট  থেকেই  যেন কেমন অদ্ভুত ভাবভঙ্গী আনন্দকে দেখে অবাক হত তার খেলার সঙ্গী গাছের গায়ে লাগলে আঘাত তার গায়ে  লাগে এই বয়সে কেমন করে এতটা বুদ্ধি জাগে? গাছপালা আর ফুলের সাথে গভীর ভাব তার       যখন তখন তাদের সাথে গল্প গুজব আর দিন রাত্তির তাদের কথা ভাবাই তার কাজ ছোট্ট বেলা থেকেই, ভেব না শুধুই আজ !  মনে মনে দুঃখ পায় আনন্দ একা একাই নিজের স্বার্থে গাছপালাকে কাটে যখন সবাই গাছ তো সবকিছু দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ায় মানুষ কেন এত নিষ্ঠুর হয়ে মমতা তার হারায়? তাই উজাড় করে দেয় সে ভালোবাসার বুক গাছেদের প্রাণ বাঁচাতে তার হৃদয় যে উৎসুক কিন্তু সে যে ছোট এখন পায় না নাগাল সব কষ্ট জমে মনে যে তার খুবই করে অনুভব। নীরব কান্নায় ভেজা থাকে আনন্দর দু'চোখ  মনে মনে জমে যে তার কী নিদারুণ শোক। ___________________________________ আরতি মিত্র নয়াবাদ, গড়িয়া।

ছড়া ।। ছোট্ট খুকুমণি ।। জয়শ্রী সরকার

ছবি
   [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত] ছোট্ট খুকুমণি জয়শ্রী সরকার  কলসী কাঁখে ছোট্ট খুকু  নূপুর পায়ে হাঁটে জল আনতে যাচ্ছে সে তো খোয়াই নদীর ঘাটে ! পথের মাঝে রবিঠাকুর মিষ্টি হেসে বলে, চল্ খুকু আজ তোর সাথে যাই গল্প করার ছলে ! ছোট্ট খুকুর মন ভালো নেই ভাই যে ভুগছে জ্বরে ফিরতে হবে আগেই তাকে ভুলবে কেমন করে ? তাই না শুনে রবিঠাকুর বলেন সোহাগ ভরে, ভাইটাকে তোর দেখতে যে চাই যাবো তোদের ঘরে ? ছোট্ট খুকু বললো তখন আমতা আমতা করে, ঠিক আছে আজ সঙ্গে চলো কলসীটা নাও ধরে ! কবিগুরুর সাথে চলে ছোট্ট খুকুমণি হাতেই যেন চাঁদ পেয়ে যায়, যেন সোনার খনি ! _______________________ জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

প্রবন্ধ ।। বিশ্ব মানবতার আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা ।। পাভেল আমান

ছবি
   [ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   বিশ্ব মানবতার আলোকে শবে বরাতের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা  পাভেল আমান সারা জাহান মুসলিমদের কাছে শবে বরাত একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। শবে বরাত অত্যন্ত মহিমান্বিত প্রভূত বার্তা বাহক মুসলিম মানসে। সেই চিরন্তন গুরুত্বকে মনেপ্রাণে উপলব্ধ করে মুসলিমরা শবে বরাতের মহানুভবতা আধ্যাত্মিকতা বাস্তবিক জীবনে ইসলামকে আরো বেশি মনে প্রানে আঁকড়ে ধরে। পুরো বিশ্বব্যাপী মুসলমান সম্প্রদায় কাছে একটি প্রায়শ্চিত্তের রাত ও মুক্তির রাত বলে বিশ্বাস করে। তাই সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতিবছর এটা বিশ্বাসের সাথে পালন করে। হাদিসে অনুসারে নবী মুহাম্মদের কথা অনুযায়ী শবে বরাতেকে এমন একটি রাত হিসাবে বিবেচনা করা হয় যখন মহান আল্লাহ আগামী বছরের জন্য মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাতে রহমত ও ক্ষমার দরজা প্রশস্ত খোলা থাকে এবং মানুষ তার অসীম রহমতের জন্য আল্লাহর কাছে যেতে পারে। এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাদের দিকে তাকিয়ে থাকে কে কি তার কাছ থেকে এই রাতে চেয়ে নিচ্ছেন। এ কারণেই শবে বরাত সমস্ত মুসলমানদের জন্য ...

ছড়া ।। লোকায়ত গানওলা ।। চন্দন মিত্র

ছবি
[ছবি: ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত]   লোকায়ত গানওলা     চন্দন মিত্র চালচুলো নেই তার সম্বল গলা সেইটুকু রসদেই লোকায়ত চলা। ডুবকি-খমক আর হাতে একতারা       ঝোলা কাঁধে হেঁটে যায় পাড়া থেকে পাড়া।                 ঈশ্বর-আল্লা বা স্বর্গ-নরকে মতি নেই, মজে থাকে মেঠো ইহলোকে। ধর্ম বা জাতপাতে নেই তার ভেদ আছে তার আপামর মেলানোর জেদ। ___________________________________________ চন্দন মিত্র ভগবানপুর (হরিণডাঙা) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক- ৭৪৩৩৩১    

সপ্তাহের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

কবিতা ।। আকাশ-সাগর ।। শান্তনু আচার্য

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

কবিতা ।। নতুন বছর ।। জীবন সরখেল

চোখের ভাষা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

ছড়া ।। শীতের দু'টি মাসে ।। গোবিন্দ মোদক

প্রচ্ছদ ও সূচীপত্র ।। 24th issue: September 2023

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় - ২২ ।। জুলাই ২০২৩

ছড়া ।। দৃষ্টিকাড়া বৃষ্টি ।। শচীন্দ্র নাথ গাইন

ছড়া ।। অদ্ভূতুড়ে ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 38th issue: January 2025

কবিতা ।। আকাশ-সাগর ।। শান্তনু আচার্য

কবিতা ।। নতুন বছর ।। জীবন সরখেল

ছড়া ।। শৈশবের রথ ।। ইয়াসমিন বানু

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সুচিপত্র ।। 37th issue: December 2024

অণুগল্প ।। ঝুমুক ঝুমুক ।। ব্রজ গোপাল চ্যাটার্জি

ছোটগল্প ।। হেমন্ত দাদার সাথে ।। দীপক পাল

ছড়া ।। আকাশটাকে খোঁজে ।। দীনেশ সরকার

ছড়া ।। শীতবুড়িটা ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

কবিতা ।। খুকির বায়না ।। খগেশ্বর দেব দাস

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২