পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

ছবি
    সম্পাদকীয় প্রিয় বন্ধুরা, পুজো শেষ! ঢাকের আওয়াজ থেমে গেছে, প্যান্ডেলগুলো ভাঙছে, বিজয়া শেষে একটু মনখারাপ হলেও পুরোপুরি আনন্দের রেশ কাটেনি। নতুন জামাগুলো আলমারিতে, ফুচকার স্বাদ এখনও জিভে, আর মনে এখনো সদ্য মজার দিনগুলোর রেশ! পুজো শেষ মানেই কিন্তু মন খারাপ নয়—কারণ সামনে আরও অনেক মজার দিন বাকি! এই মাসেই আসে কালী পুজো, দীপাবলি আর ভাইফোঁটা। অক্টোবর মানেই শরতের নীল আকাশ, সাদা মেঘ আর হালকা ঠান্ডা হাওয়া। অনেকে বেড়াতে গেছো, মজা করেছো। এখন সময় আবার নতুন করে শুরু করার—স্কুলে ফেরা, বন্ধুদের আড্ডা, পড়াশোনার মাঝে খানিকটা হাসি-মজা। পুজোর আনন্দের মতোই আমাদের মনটাও থাকুক রঙিন আর উজ্জ্বল। তবে বিভিন্ন জায়গায় বন্যার জন্য মনটা একটু খারাপ। প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়। অথচ সেই প্রকৃতির জন্য আমরা অনেকেই ভাববার সময় পাই না। প্রকৃতিকে ভালোবাসলে তবেই না আমরা প্রকৃতির ভালোবাসা পাবো! এই সংখ্যায় পাবে ভ্রমনের গল্প, মজার গল্প, ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ আর তোমাদেরই আঁকা ছবি। পড়ে ফেলো, মজা করো, আর পরের সংখ্যার জন্য তোমার লেখাটাও পাঠিয়ে দিও। তাহলে চল, পুজোর আনন্দটুকু সঙ্গে নিয়ে শুরু হোক নতুন উদ্যমের আগা...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন :

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ছবি
  সম্পাদকীয় প্রিয় বন্ধুরা, সেপ্টেম্বর মাস মানেই আমাদের হৃদয়ে ভেসে ওঠে এক আলাদা আনন্দের রঙ—দুর্গাপূজার উৎসব। আকাশে ভাসে সাদা মেঘ, চারপাশে বাজে ঢাকের শব্দ, প্যান্ডেলে ঝলমলে আলো আর রাস্তা ভরে ওঠে মানুষের হাসি-আনন্দে। পুজো মানেই যেন এক অন্যরকম উচ্ছ্বাস, যে আনন্দে মিশে থাকে নতুন জামা, মেলায় ঘোরা, প্রতিমা দর্শন আর মিষ্টির স্বাদ। কিন্তু দুর্গাপূজার মূল বার্তা হলো—অসুরের উপর সুরের জয়। দেবী দুর্গা যেমন অশুভ শক্তিকে পরাজিত করেছিলেন, তেমনি আমরাও পড়াশোনার আলস্য, ভয়, দুর্বলতা আর খারাপ অভ্যাসকে জয় করতে পারি সাহস, অধ্যবসায় আর সৃজনশীলতার মাধ্যমে। এই সংখ্যায় থাকছেশরতের আর দুর্গাপূজার ছড়া-কবিতা, কিশোরদের জন্য লেখা গল্প, বিজ্ঞান ও জ্ঞানের নিবন্ধ, আর অবশ্যই তোমাদের আঁকা ও লেখা। পুজোর আনন্দের মতোই আমাদের এই সংখ্যাও রঙিন আর প্রাণবন্ত। চলো, আমরা এই সেপ্টেম্বরকে করি উৎসব, জ্ঞান আর সৃষ্টির মাস। দুর্গাপূজার আলো যেমন চারপাশ আলোকিত করে, তেমনি আমাদের মনও হোক আলোয় ভরা, সাহসী ও সৃজনশীল।     শুভকামনাসহ-- প্রিয়ব্রত দত্ত ও কার্তিক চন্দ্র পাল। কার্যনির্বাহী যুগ্ম সম্পাদক, কিশলয় মাসিক শিশুকিশোর ই...

নিবন্ধ ।। বাঁচাও সবুজ জাগাও সবুজ ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

ছবি
            বাঁচাও সবুজ জাগাও সবুজ           মানস কুমার সেনগুপ্ত                                                     ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রশাসনিক ,  সামাজিক এবং সাংগঠনিক স্তরে আমরা পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ে অনেক ভাষন বা মতামত শুনতে পাই। আসলে সবুজ বা বৃক্ষরাজি বাঁচাতে গেলে  সারা বছর ধরে যে  মনন, মানসিকতা বা সদিচ্ছার প্রয়োজন দেখি , সেটি ওই ৫ইজুনের পর থেকে আমরা ক্রমাগত বিস্মৃত হতে থাকি। কোনো স্তরেই যে ব্যতিক্রমী  ভাবনা নেই তা নয়।তবে বাঁচাও সবুজ, জাগাও সবুজ এই কথাটি নিয়ে আর নতুন করে ভাবার কোনো অবকাশ নেই। সবুজ আমাদের রক্ষাকবচ , একে জাগিয়ে, বাঁচিয়ে রাখতেই হবে । বন্ধু এ আমার কথা নয়, পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন থেকেই বলে চলেছেন। গ্রামবাংলা আজও কিছুটা সবুজ। তবু সেখানেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। উন্নয়ন চলতে থাকুক , কিন্তু সবুজ ধ্বংস করে কখনও নয়। আর আমরা ‌‌‌‌‌‌যারা শহরে মানুষ তারা সত...

ছোটদের আঁকিবুঁকি ।। কিশলয় মাসিক পত্রিকা ।। ষটচত্বারিংশ সংখ্যা ।। সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি
               Toshani Mazumdar Class: VII Age: 12 School: Swami Vivekananda Academy for Educational Excellen __________________________________________     তৃষা দাস  নবম শ্রেণী  কৃষ্ণনগর অ্যাকাডেমি  _______________________________________________ সিমিকা বৈরাগ্য  সপ্তম শ্রেণী  কৃষ্ণনগর গভঃ গার্লস হাই স্কুল   _____________________________________________

গল্প ।। দিঘী ও টিয়াপাখি ।। অনুরাগ ভৌমিক

ছবি
  দিঘী ও টিয়াপাখি অনুরাগ ভৌমিক  অনেক দিনের বায়না এবং স্বপ্ন পূরণ হলো দিঘীর। নাচের ক্লাসে যাওয়া বা আসার পথে এই পাখির দোকান টা দেখে।মাকে বলে ,"মা পাখি কিনবো‌" মা বলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলে তবে কিনে দেবো।" যথারীতি হাফইয়ার্লি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে,তাই পাখি কিনে দিতে হবে। যদিও মা'র পাখি পোষা ভালো লাগেনা। পাখিদের খাঁচায় নয়, মুক্ত উড়তে দেখলেই বেশি ভালো লাগে। আজ শনিবার বিকেল চারটায় নাচের ক্লাস।ফিরতে প্রায় ছয়টা বাজবে। আষাঢ় মাসের সন্ধ্যা একটু দেরি তে হয়। পথের ধারের পাখির দোকানটায় ঢুকে দিঘী ও তার মা। খুব সুন্দর সুন্দর ছোট বড় পাখি।কি ভালো লাগছে।মনে হয় সবগুলো পাখি বাড়ি নিয়ে যায়। একপাশে দেখে তিন চারটা কুকুর ছানা।কুঁই কুঁই ডাকছে। অনেক দেখার পর একটা সবুজ টিয়া পছন্দ করে দিঘী।একটা ছোট্ট খাঁচায় করে দোকানী দিঘীর হাতে দিল।টাকাটা দিয়ে মা ও দিঘী মনের আনন্দে বাড়ি ফিরল।ভাত,লঙ্কা,চাল,গাজর ইত্যাদি অনেক কিছু খায়।রাতে টিয়াটা বেশি খাবার খেলোনা। রাতে দিঘীর ভালো ঘুম হয়নি। কিছুক্ষণ পর পর জেগে যায়। কখন ভোর হবে।পাখিটাকে দেখতে পাবে।কথা বলতে পারবে।খেলা করতে পারবে। বন্...

গল্প ।। আগ্নেয়গিরির পাহাড়ে বিপদ ।। অঞ্জনা মজুমদার

ছবি
  আগ্নেয়গিরির পাহাড়ে বিপদ অঞ্জনা মজুমদার   ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে এসেছে তিন ভাইবোন বাবা মায়ের সাথে। উবুদ থেকে বাটুরে রেস্টুরেন্টের বারান্দা থেকেই আগ্নেয়গিরি আর বাটুর লেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। আগ্নেয়গিরি শেষবার ১৯৭০ সালে লাভা উদগীরণ করেছিল। ন্যাড়া পাহাড়ের গায়ে লাভা গড়িয়ে পার চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যায়। ওখানে যে ড্রাইভার দাদা এনেছেন তিনি বললন আলাদা ওই আগ্নেয় পাহাড়ের মাথায় অন্য জীপগাড়ি করে ওঠা যায়। রাস্তা পাহাড়ি আর দুর্গম বলে সাধারণ গাড়ি উঠতে পারে না। ওই গাড়ির ভাড়া জনপ্রতি ইন্দোনেশিয়া টাকায় বেশ বেশি। বাবা  বললেন, আমরা এখান থেকেই কিন্তামনি আগ্নেয়গিরি দেখি। তোরা পাহাড়ের ওপর থেকে ঘুরে আয়। এমনিতেই ইন্দোনেশিয়ার সমস্ত জায়গায় এন্ট্রি ফি, বোট, জীপগাড়ির ভাড়া বেশ বেশি।  সিমি, আকাশ আর বিনি কিন্তামনি পাহাড়ে উঠার জন্য জীপগাড়িতে উঠেছে।  গাড়ি চলছে পাহাড়ি পথে। দুপাশে ঘন বন। সূর্য অস্ত হতে সামান্য সময় বাকি। গাড়ি চলছে দ্রুত গতিতে। বিনি বলল, দাদাভাই খাদে যদি পড়ে যাই?  আকাশ ধমকে বলল, অত ভয় পেলে আর কোথাও নিয়ে যাবোনা। তখনি ঝোপের ভেতর দুটো চোখের ঝলকানি আর ঝোপঝাড় তোলপাড় করে গর গর আওয়াজ শোনা গে...

গল্প।। জাদুকরী ঘুড়ি।।ইয়াছিন ইবনে ফিরোজ

ছবি
  জাদুকরী ঘুড়ি ইয়াছিন ইবনে ফিরোজ  মেহেদী সারা দিন গ্রামের মাঠে দাঁড়িয়ে অন্য ছেলেদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখত। তার বুকের ভেতর একটা হাহাকার জমত, আহা! যদি আমারও একটা ঘুড়ি থাকত! কিন্তু ঘরে অভাব। মা-বাবা প্রতিদিন কেবল দুই বেলা খাবার জোগাড় করলেই খুশি। ঘুড়ি কেনা তাদের জন্য বাড়তি বোঝা। একদিন বিকেলে মেহেদী হঠাৎ দেখল, পুরনো বাগানের ভেতর রঙিন একটা ছেঁড়া ঘুড়ি পড়ে আছে। কৌতূহলভরে তুলে নিতেই কানে ফিসফিস শব্দ,আমি জাদুকরী ঘুড়ি আমাকে উড়ালে তোমার জীবন বদলে যাবে। ভয়ে ভয়ে মেহেদী ঘুড়িটাকে উড়িয়ে দিল। আর আশ্চর্য! ঘুড়ি ডোর কেটে তাকে আকাশের ওপরে টেনে নিয়ে গেল। নিচে ছুটে চলা নদী, মাঠ আর গ্রামের ঘরগুলো ছোট হতে হতে বিন্দু হয়ে গেল। হঠাৎ সে দেখল মেঘ দিয়ে বানানো প্রাসাদ, রঙধনুর সেতু আর পাখিরা মানুষের ভাষায় গান গাইছে। ঘুড়ি বলল, এটাই কল্পনার রাজ্য। তুমি যত ভালো কাজ করবে, ততবার এখানে আসতে পারবে। মেহেদী পৌঁছাল এক ঝকঝকে মেঘ-শহরে। সেখানকার রাণী সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানালেন। রাণী বললেন, এই রাজ্যে কেউ মিথ্যা বলে না। কেউ লোভী হয় না। যদি কেউ নিয়ম ভাঙে, তাকে এখানে চিরকাল আটকে থাকতে হয়। মেহেদী ভয় পেলেও প্রতিজ্ঞা ক...

ছোটগল্প ।। মামাবাড়ির আম ।। চন্দ্রমা মুখার্জী

ছবি
মামাবাড়ির আম  চন্দ্রমা মুখার্জী পিকলু এবছর গরমের ছুটিতে মামাবাড়ি গিয়েছে। না, নিজের মামাবাড়ি নয়, সে তো এই কলকাতা শহরেই। ও গিয়েছে ওর বাবার মামাবাড়ি ফরাক্কায়। আসলে হয়েছে কি, পিকলু আম খেতে খুব ভালবাসে। তো বাবার মামাবাড়িতে মামাদের অনেকগুলো আম গাছ, তাতে প্রচুর আম হয় – হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলী আরো কতকিছু। এর আগে ঠাকুরমা বেঁচে থাকতে ছোটবেলায় ও অনেকবার গিয়েছে ঠাকুরমার সাথে। এখন প্রায় আটবছর আর যায়নি। পিকলু গতবছরই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে। তখনই জানতে পেরেছে, বাবার ছোটমামার ছেলেও ওর কলেজেরই সিনিয়র, থার্ড ইয়ারে পড়ে। কলেজ হস্টেলে থাকে। আমের গল্প তো আগে থেকেই ঠাকুরমা, বাবার কাছে শুনেছে। তাই কাকু যখন বলল, ওর সাথে ছুটিতে ওদের বাড়ি আম খেতে যেতে, ও রাজি হয়ে গেল। সেখানে গিয়ে কিরকম আম খাওয়া হল আর কি কাণ্ডটাই না হল, এবার সেটাই বলি। পিকলুর ওই কাকুর নাম লালু। যেহেতু এক কলেজে পড়ে, তাই সকলের সামনে কাকু না বলে লালুদা বলে। যদিও লালু ডাকনাম, তাও বলে। যাকগে, দিনতিনেক হল পিকলু আর লালু ফরাক্কার বাড়িতে এসেছে। এসেই তো দুবেলা, তিনবেলা করে আম খাচ্ছে। সকাল, বিকেল, রাত্তির। ছোটদাদু তো খ...

কবিতা ।। মিতালি ।। সুশান্ত সেন

ছবি
   মিতালি  সুশান্ত সেন   ভূতের সাথে যে মিতালি করলি              ভয় ডর নেই গাত্রে ওরা যদি পায়ে সুড়সুড়ি দেয়               অমাবস্যার রাত্রে। শুনছি কখন লক্ষীর প্যাঁচা                ডাক দিলো সুখ নিদ্রায় ঘাম দিয়ে দেখি জ্বর এসে গেছে                কাঁপুনি লেগেছে মজ্জায় আসে পাশে দেখি কেউ কাছে নেই                কার নাম ধরে ডাকব ! নাকি কম্বল টেনে নিয়ে কাছে                চোখ মুখ সব ঢাকবো। যদিও সবাই জোর দিয়ে বলে                ভূত বলে কোন কিছু নেই তবু কেন যে বুদ্ধিটা ব্যাঁকা                গোলমাল সে পাকাবেই। _________________________________  সুশান্ত সেন  ৩২বি শরৎ বোস রোড কলিকাতা ৭০০০২০           [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম...

ছড়া ।। খোকার ইচ্ছা ।। দীনেশ সরকার

ছবি
  খোকার ইচ্ছা দীনেশ সরকার   আমায় মাগো ব'লো না তো ভালো ছেলে হ'তে পরীক্ষাতে ব'লো না গো অনেক নাম্বর পেতে । ওই দেখো না বাবুদাদা স্কুলের সে ফার্স্ট বয় পরীক্ষায় তার নাম্বার দেখলে জাগতো সবার বিস্ময়। দেশের রত্ন তোমাদের সেই হীরের টুকরো ছেলে বিদেশেতে দিল পাড়ি বাবা মাকে ফেলে। ফিরলো না মা সে আর দেশে আপনজনের কাছে বাবা-মা তার বৃদ্ধ অতি বড়ই কষ্টে আছে। অর্থ তাদের হয়তো আছে, বাসবে কেবা ভালো রোগে কাতর শয্যাশায়ী জগৎ তাদের কালো। তোমার ছেলে তাই তো মাগো হয় যেন সে বাজে সবার সাথে হাত মিলিয়ে লাগে সবার কাজে।   হয় যেন সে ডানপিটে খুব কিংবা দুষ্টু ছেলে কোথাও যেন যায় না সে মা তোমাদেরকে ফেলে। তোমার কোলে রেখে মাথা তোমার আশিস নিয়ে তোমার ছেলে মানুষ হবেই নিও মা মিলিয়ে। ______________________________________________   দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর --- ৭২১৩০৬             [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ] ...

ছড়া ।। ভেবে দেখিস ।। সুজন দাশ

ছবি
  ভেবে দেখিস  সুজন দাশ  জানিস ভুতো করলে ছুতো  মোটেই কিন্তু পার পাবি না,  সত্য যেটা মানিস সেটা  অসৎ পথে তুই যাবি না।  করলে হেলা কাজের বেলা  ভুগতে হবে দিনের শেষে,  যাসনা রেগে থাকলে লেগে জয় দাঁড়াবে পাশটি ঘেঁষে!  অলস হলে পড়বি তলে  আর পাবি না যেদিন গেছে, শ্রমের দামে ভাগ্য নামে কাজ করে যা সঠিক বেছে। মানিস আরো সময় কারো  জন্য কভু রয়না থেমে,  ফুরালে দিন বাজবে না বিণ যতই কাজে উঠিস ঘেমে।  চললে বুঝে পথটি খুঁজে  পেয়ে যাবি নিজের মত,  কষ্ট ছাড়া বল কে কারা জয় পেয়েছে নিজের যত? _________________________________  সুজন দাশ  আটলান্টিক সিটি, নিউজার্সি,যুক্তরাষ্ট্র।     [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]

ছড়া ।। দাদু ।। নজমুল ইসলাম খসরু

ছবি
  দাদু   নজমুল ইসলাম খসরু দাদু পরেন সফেদ জামা টাক মাথায় টুপি, বুক পকেটে রাখেন টাকা অতি চুপিচুপি। মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে হাতে কাঠের লাঠি, ​দাঁত গুলো সব পড়ে গেছে আলগা মাড়ির পাটি। খুব সকালে উঠেন দাদু করেন ডাকাডাকি, আসছি বলে মাঝে মাঝে দেই যে তাকে ফাঁকি। মজার মজার গল্প বলেন শোনান নানান স্মৃতি, মানুষ ছিল সহজ সরল ছিল মায়া প্রীতি। দাদুর কাছে বায়না ধরে ষোল আনাই পাই, দাদুর স্নেহ আদর শাসন তুলনা যে নাই।  _________________________  নজমুল ইসলাম খসরু লাউয়াই, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট  [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]

ছড়া ।। শারদ শারদ দূর্গা আদর ।। বিবেকানন্দ নস্কর

ছবি
  শারদ শারদ দূর্গা আদর  বিবেকানন্দ নস্কর  শারদ শারদ হিমের চাদর  শিশির স্নাত ঘাস  জানলা তে রোদ আহ্লাদী বোধ  হাসছে পুজোর মাস। শারদ শারদ পেরিয়ে ভাদর  আশ্বিন মাসের উঁকি  শাপলা শালুক পুজোর শুলুক  গাভীন ধানের টুকি। শারদ শারদ খুশির পারদ  ছড়িয়ে আলোর ঢল  খুশির আভাস শিউলি সুবাস  বাজায় পুজোর মল। শারদ শারদ দুগ্গা আদর  দুগ্গা রাণীর দেশ  নরম গাঁয়ের মাটির মায়ের  স্নেহ আশীষ পেশ । ______________________________  বিবেকানন্দ নস্কর  সম্পাদক -ছন্দের ঘ্রাণ পত্রিকা  সন্তোষ পুর  ফলতা  দ: ২৪পরগনা  পিন 743503         [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]

ছড়া।। পুজো এলো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

ছবি
  পুজো এলো রঞ্জন কুমার মণ্ডল অবশেষে পুজো এলো হেসে  উঠলো বেজে শাঁখ, কাঁসর ঘন্টা ঢাকের বোল  তাক কুড়া কুড় তাক। অবশেষে পুজো এলো হেসে  শিউলি সুবাস ভাসে, শিশির মেখে সবুজ ঘাস মন খুশিতে হাসে। অবশেষে পুজো এলো হেসে  কাশের বনে দোলা, ধবল কাশ নদী তীরে হাসে  দারুণ সে চঞ্চলা। অবশেষে পুজো এলো হেসে  আগমনীর গানে, দেখব ঠাকুর মনের সুখে  মিলব সবার সনে। অবশেষে পুজো এলো হেসে  একটি বছর পরে, শারদোৎসব তো মিলনোৎসব  বাংলার ঘরে ঘরে।  _________________________       রঞ্জন কুমার মণ্ডল  সারাঙ্গাবাদ, বজবজ ২৪পরগণা (দক্ষিণ)  কোলকাতা -১৩৭. পশ্চিমবঙ্গ।           [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]  

ছড়া ।। সুকন্যে ।। সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়

ছবি
সুকন্যে  সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায় ঈশারায় কাজ সারে আমাদের কন্যে এই আছে , এই নেই খুঁজে হই হন্যে ; শেষে ন্যানো ক্যামেরায় ঝামেলার সুউপায় উড়ুক'গে যতখুশি আকাশে-অরণ্যে ! ___________________________________  ৪৫/১ , বি.জি.রোড ,  শ্রীরামপুর হুগলী ৭১২২০৩           [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]

ছড়া।। সবাই সেরা ।। গোবিন্দ মোদক

ছবি
  সবাই সেরা গোবিন্দ মোদক বললো সবুজ - আমিই সেরা,  গাছ-পালা সব আঁকি,  নইলে কিন্তু অক্সিজেনটা  দিতো ভীষণ ফাঁকি! নীল বললো - আমিই সেরা,  আকাশ, সাগর আঁকি,  সেই আকাশে যায় উড়ে যায়  কতো রকম পাখি! হলদে বললো – আমিই সেরা,  ফসল পাকা রঙ, তাইতো তোমরা পাও গো খেতে,   দেখাও আবার ঢঙ! লাল বললো - আমিই সেরা,  ফুল আর পাকা ফলে,  সূর্যোদয়ে আর সূর্যাস্তেও  পাবে তা প্রতি পলে। কালো বললো - আমিই সেরা,  রাত্রি হয়েই থাকি,  নইলে তোমরা চাঁদকে আর কোথাও পেতে নাকি! সাদা বললো - তর্কটা রাখ!  সবাই তোরা সেরা;  তোদের রঙীন বর্ণালীতেই বসুন্ধরা ঘেরা!! _____________________________   প্রেরক: গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ডাকসূচক - 741103               [চিত্রঃ : ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে সংগৃহীত ]  

সূচিপত্র

আরও দেখান

সপ্তাহের পছন্দ

ক্যুইজ, ধাঁধা, শব্দখেলা, 23rd issue: August 2023,

দুটি ছড়া ।। রথীন পার্থ মণ্ডল

ছড়া ।। মাছরাঙা রে ।। কার্ত্তিক‌ মণ্ডল

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গল্প ।। সত্যমেব জয়তে ।। মিঠুন মুখার্জী

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৪ ।। জুলাই ২০২৫

ছড়া ।। প্রত্যুষ ।। প্রবীর বারি

ছড়া ।। ভূতের বাড়ি ।। শচীন্দ্র নাথ গাইন

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 3rd issue: December 2021

মাসের পছন্দ

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৭ অক্টোবর, ২০২৫

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় ৪৬ ।। সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কবিতা ।। মুঠোফোন ।। জীবন সরখেল

কবিতা ।। হযবরলর জঙ্গলে ।। দীপক পাল

ছড়া ।। ভালো দাদু ।। জীবন সরখেল

ছড়া ।। চাঁদের বুড়ি ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

ছড়া ।। এসো আলো ।। গোবিন্দ মোদক

ছড়া ।। পুজো এসেছে ।। শংকর হালদার

ছড়ার কথা ।। দেবদাস কুণ্ড

ছড়া।। পুজো এলো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

অতি প্রিয়

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। আত্মপ্রকাশ সংখ্যা ।। অক্টোবর ২০২১

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। দ্বিতীয় সংখ্যা ।। নভেম্বর ২০২১

নিবন্ধ ।। শিশু-কিশোর সাহিত্যবলয়ে শিশুরাই যেন ব্রাত‍্য না থাকে ।। অরবিন্দ পুরকাইত

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 4th issue: January 2022,

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। 7th issue: April 2022

নিবন্ধ ।। দেশীয় উদ্ভিদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ? ।। ডঃ চিত্তরঞ্জন দাস

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১১ ।। আগস্ট ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১০ ।। জুলাই ২০২২

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র : 8th issue: May 2022

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। কিশলয় - ১২ ।। সেপ্টেম্বর ২০২২